মধুমিতা সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
আঠারো বছর পেরোতে না পেরোতেই বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন মধুমিতা সরকার। কিন্তু গত পাঁচ বছরে তিনি টলিপাড়ার অন্যতম ‘সিঙ্গল’ অভিনেত্রী। ২০১৯ সালে পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। তার পর থেকে আর কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জনও শোনা যায়নি অভিনেত্রী সম্পর্কে। তাঁর নেশা, বেড়াতে যাওয়া। সমাজমাধ্যমের পাতায় পাওয়া যায় নানা রকমের ছবি। বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও অভিনেত্রীর পছন্দ একাকিত্ব। ‘সোলো ট্রাভেল’-এর নানা মুহূর্ত তিনি ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে।
ঈশ্বর বিশ্বাসী মধুরিমার সমাজমাধ্যমে আজকাল বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মন্দিরে পুজো পাঠের ছবি বা ভিডিয়ো। ইদানীং প্রায়ই মধুমিতার সিঁথিতে সিঁদুর দেখা যাচ্ছে। তবে মধুমিতা চুপিচুপি দ্বিতীয় বিয়ে সেরে নিয়েছেন মধুমিতা? প্রশ্ন তুলছেন অনুসরণকারীরাই।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন মধুমিতা একটি ভিডিয়ো ভাগ করেছেন সমাজমাধ্যমে। সেখানেও দেখা গিয়েছে মধুমিতার সিঁথিতে সিঁদুর। তার পর মন্তব্য বাক্সে উপচে পড়ছে অনুরাগীদের কৌতুহূল, কেন মধুমিতা সিঁদুর পরেছেন?
বলিউডের অভিনেত্রী রেখা বহু বছর ধরেই সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। রেখার স্বামী মারা গিয়েছেন বহু বছর আগে। তা হলে এই সিঁদুর কার জন্যে পরেন তিনি? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। এ বার টলিপাড়ার অভিনেত্রী মধুমিতার সিঁথির সিঁদুর নিয়েও প্রশ্নের অন্ত নেই। কার নামে এই সিঁদুর পরছেন তিনি?
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে হাসতে হাসতে মধুমিতা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “প্রথমেই জানিয়ে দিই, আমি কিন্তু সৌরভ চক্রবর্তীর নামের সিঁদুর পরছি না। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। শিবের ভক্ত। কোনও মন্দিরে পুজো দিতে গেলে আমি সিঁথিতে সিঁদুর পরি। দেব বিগ্রহে ছোঁয়ানো সিঁদুর, খুব সহজাত ভাবেই সেটা পরি।”
হিন্দু ধর্মে বিবাহিতা নারীদের মধ্যে সিঁদুর পরার প্রচলন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কি কোনও চলতি প্রথা ভাঙতে চাইছেন অভিনেত্রী? এই প্রসঙ্গে মধুমিতা বলেন, “আমি আমার ধর্মে বিশ্বাসী। কোনও প্রথা ভাঙতে চাই না। আমি মনে করি সিঁদুর কোনও ছেলে খেলার জিনিস নয়। বিবাহিতা নারীদেরই কেবল সিঁদুর পরা উচিত। আমি সেটার সম্মানও করি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy