অবসাদ কাটিয়ে উঠতেও গানেরই সাহায্য নিয়েছিলেন লোপামুদ্রা।
লোপামুদ্রা মিত্র কি কখনও অবসাদে ভুগেছেন?
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের আড্ডায় এসে এই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন গায়িকা। অকপট গায়িকার উত্তর, “ভয়ঙ্কর অবসাদ এসেছে। একটা সময় এ রকম অবসাদ এসেছে যে গান গাইতে যেতে ইচ্ছে করেনি। সে ক্ষেত্রে আমার এক শিল্পী বন্ধুর কাছে কৃতজ্ঞ। সে আমাকে টেনে তুলে নিয়ে যেত।” শৈশব থেকে গানই যাঁর অভিন্ন সঙ্গী, এক সময় গান গাইতে ইচ্ছে করত না তাঁর। লোপামুদ্রার কথায়, “কেন ভাল লাগছে না, সেটা সব সময় বোঝা যাচ্ছে না। কোথা থেকে সমস্যা শুরু, সেটাও অনেক সময় বোঝা যায় না। কিন্তু একটা সময় ভয়ঙ্কর ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়েছিলাম।”
অবসাদ কাটিয়ে উঠতেও গানেরই সাহায্য নিয়েছিলেন লোপামুদ্রা। কিন্তু গান-হীন মুহূর্তে ফের হতাশা গ্রাস করত তাঁকে। গায়িকার কথায়, “এই সমস্যা আমার বাবার ছিল। সেখান থেকে আমি কিছুটা পেয়েছি। কিন্তু এর পর আমি নিজেকে বদলে ফেলি। বুঝতে পারি, বিষয়টা ঠিক হচ্ছে না।”
অবসাদ সারিয়ে তোলার জন্য মনোবিদের সাহায্য নেন লোপামুদ্রা। গায়িকা বললেন, “এখনও পান থেকে চুন খসলে আমি মনোবিদের কাছে যাই। আমি যখন দেখি নিজে কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না, তখনই সোজাসুজি চলে যাই। সব কিছু বলে দিই। বলার পর যে উত্তরটা পাব, সেই উত্তরও বলে দিতে পারি। কিন্তু বাইরের কেউ একজন তো কথা শুনছেন। কথা বলছেন। এই চলটা আমি বজায় রেখেছি।”
এক সময় অবসাদের ওষুধও খেয়েছেন নিয়মিত। কিন্তু গান গাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হন তিনি। “গান গাইতে গিয়ে দেখছিলাম, আমি কিছুই অনুভব করতে পারছি না। সবটাই কেমন যন্ত্রের মতো হচ্ছে। শ্রোতারা হয়তো বুঝতে পারছেন না। কিন্তু আমি গেয়ে আনন্দ পাচ্ছিলাম না। ঘাসকে ইট চাপা দিলে হয়, নিজেকে ঠিক সে রকম একটা চরিত্র মনে হচ্ছিল”, নিজেকে নিয়ে অকপট লোপামুদ্রা।
সেই চাপা অনুভূতির সঙ্গেও লড়াই করেছিলেন লোপামুদ্রা। নতুন করে গড়ে তুলেছেন নিজেকে। লাইভের মাধ্যমেই গায়িকার পরামর্শ, যাঁরা অবসাদে ভুগছেন, তাঁরাও যেন দ্বিধা না করে মনোবিদের সঙ্গে কথা বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy