শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী প্রয়াত রাশিদ খান আর সুরকার-পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সখ্য বাংলা গানের দুনিয়ায় সুপরিচিত। সেই সূত্রে পরিচালকের আগামী ছবি ‘গৃহপ্রবেশ’-এ নেপথ্যশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শিল্পীপুত্র আরমান খান। প্রযোজনায় সমীরণ দাসের ক্যালাইডোস্কোপ। খবর জানার পরেই ইন্দ্রদীপের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার ডট কম। তিনি খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন। জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গান রেকর্ড হবে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন গায়ক-পুত্রও। আরমানের কথায়, “ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরে বাবা একাধিক গান গেয়েছেন। এ বার আমি গাইব। মনে হচ্ছে, বাবার পথেই যেন এগোচ্ছি।”
আরমান দীর্ঘ দিন ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন। বাংলা ছায়াছবিতে কী ধরনের গান শোনা যাবে তাঁর কণ্ঠে? এ প্রশ্নের উত্তরে ইন্দ্রদীপ বলেছেন, “রাগাশ্রয়ী বাংলা গান শোনা যাবে। গানের প্রথম পঙ্ক্তি ‘ঋতু আসে ঋতু যায়, অভিমান রয়ে যায়’। গানটি প্রসেনের লেখা। মিশ্র রাগে তৈরি। নেপথ্যে ব্যবহৃত হবে।”
প্রেমের গানে বিরহের ছোঁয়া! প্রসঙ্গ উঠতেই সুরকার দাবি করেন, “বিরহেই তো প্রেমের সার্থকতা। মিলন মানেই প্রেমের মৃত্যু।” জানা গিয়েছে, বাংলা গানের পাশাপাশি ছবির জন্য একাধিক রাগাশ্রয়ী বন্দিশ গাইবেন আরমান। সবটাই শোনা যাবে নেপথ্যে। ইন্দ্রদীপের দাবি, আরমানের কণ্ঠে তিনি পেয়েছেন প্রয়াত শিল্পীর ছায়া। যথেষ্ট মিল রয়েছে উভয়ের গায়কিতে। ইন্দ্রদীপের আশা, রাশিদ খানের শূন্যতা তাঁর পুত্র পূরণ করতে পারবেন আগামী দিনে। আরমানের গলা শুনতে শুনতে এ রকমই মনে হয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন:
ইতিমধ্যেই ইন্দ্রদীপের সুর দেওয়া গান পৌঁছে গিয়েছে শিল্পীর কাছে। তিনি নিয়মিত রেওয়াজ করে বাংলা উচ্চারণ সমেত গানটি নিখুঁত ভাবে গলায় তুলেছেন। রেকর্ডিংয়ের আর এক দিন বাকি। এই প্রথম বাংলা ছবির গান গাইতে চলেছেন আরমান। সামান্য ভয় যে পেয়ে বসেছে তাঁকে, অস্বীকার করেননি গায়ক। জানিয়েছেন, বুক দুরুদুরু করছে। তবে তিনি মনে করেন, বাবার আশীর্বাদ তাঁর সঙ্গে রয়েছে, তাই এই সংযোগ তৈরি হয়েছে। এই অনুভূতিই তাঁকে প্রেরণা জোগাচ্ছে।
‘গৃহপ্রবেশ’-এর আগে অবশ্য আরমান পরিচালক অরিন্দম শীলের ‘মিতিন মাসি ৩’-এ গান গেয়েছেন। কিন্তু সেটি হিন্দি গান। তা ছাড়া, ছবিটি এখনও মুক্তি পায়নি। সে দিক থেকে ইন্দ্রদীপের ছবি দিয়েই বাংলা ছায়াছবির অন্দরমহলে ‘গৃহপ্রবেশ’ ঘটছে তাঁর।