ছবি—সংগৃহীত
ছেলেমেয়ের অতীত সম্পর্ক নিয়ে বাগ্যুদ্ধ পৌঁছেছিল চরমে। পরোক্ষ ভাবেই সমাজমাধ্যমে পরস্পরকে তির ছুড়ছিলেন ক্যাটরিনা কইফের মা সুজ়ান টারকোট এবং রণবীর কপূরের মা নীতু কপূর। সম্প্রতি সেই লড়াইয়ে দাঁড়ি টানলেন সুজ়ান। নিজের ভাইরাল পোস্টের উপর একটি নতুন বিবৃতি যোগ করে লিখলেন, “কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি।”
রণবীর কপূরের সঙ্গে ক্যাটরিনা কইফের সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। শোনা যায়, ‘আজব প্রেম গজব কহানি’-র পরেই তাঁরা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এর পর ‘রাজনীতি’, ‘জগ্গা জাসুস’-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। পর্দায় সফল এই জুটির বাস্তবে ঘর বাঁধা হয়নি। তবে সে সব এখন অতীত। ভিকি কৌশলের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন ক্যাটরিনা। অন্য দিকে মেয়ে রাহা ও স্ত্রী আলিয়াকে নিয়ে সুখী দাম্পত্যে রয়েছেন রণবীরও। তবে আচমকা ফের চর্চায় চলে এসেছিল রণবীর-ক্যাটরিনার সম্পর্কের সাতকাহন। নেপথ্যে অভিনেতার মা নীতু কপূর। দিন কয়েক আগে একটি ধোঁয়াশাপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন রণবীরের মা।
ঋষি-পত্নী নাম না করেই বলেছেন, “সাত বছর সে তোমার সঙ্গে সম্পর্কে ছিল মানে এই নয় যে, সে তোমাকেই বিয়ে করবে। আমার কাকা ছ’বছর ডাক্তারি পড়েছিলেন, এখন তিনি ডিজে (ডিস্কো জকি)।” অনেকেই ধরে ফেলেছিলেন, নাম না করলেও তিনি বিঁধেছেন ক্যাটরিনাকে।
এর পরই একটি পোস্ট করেছিলেন ক্যাটরিনা মা। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “আমি বাড়ির পরিচারক আর কোনও সংস্থার প্রধানকে সমান মর্যাদা দেওয়ার শিক্ষা পেয়েছি।” ক্যাটরিনাকেও সেই শিক্ষায় বড় করেছেন বলে জানান।
সুজ়ানের সেই মন্তব্য নীতুর পোস্টের পাল্টা হিসাবেই ধরেছিলেন নেটাগরিকরা। এতে ভুল বার্তা যায় সুজ়ানের কাছেও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বুঝেই কি আবার নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করতে চাইলেন ক্যাটরিনার মা?
তিনি নতুন বিবৃতিতে লিখলেন, “পুরনো ছবি দেখছিলাম ফোনে। সেখান থেকেই মেয়ের সঙ্গে পছন্দের এক মুহূর্ত ভাগ করে নিই। কিন্তু কাউকে লক্ষ্য করে আমার সেই পোস্ট ছিল না। কোনও মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও সেই পোস্ট করিনি।”
যদিও কোনও দিনই রণবীরের সঙ্গে প্রেম ভাঙা নিয়ে মুখ খোলেননি ক্যাট, কিন্তু এর মাঝেই অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকারের একটি পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে রণবীরের মা নীতু কপূরের তাঁকে অপছন্দ হওয়ার কারণ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সেই সাক্ষাৎকারে ক্যাটরিনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় নীতু কপূরের কেন তাঁকে অপছন্দ? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি এর দায় নিজের উপর নিলাম, কারণ গত সাত-আট বছরে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও কথা বলিনি, আগামী দিনেও বলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy