মেদ জমেছিল করিশ্মার শরীরে, অদ্ভুত নির্দেশ অভিনেত্রীর প্রাক্তন স্বামীর। ফাইল চিত্র।
গোটা বলিউড জানত বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হবেন করিশ্মা কপূর। কিন্তু নিয়তির যে অন্য ইচ্ছে। সব ঠিকঠাক হয়ে গেলেও আচমকাই ভেঙে যায় করিশ্মা কপূর ও অভিষেক বচ্চনের বিয়ে। ২০০৩ সালে দিল্লির শিল্পপতি সঞ্জয় কপূরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বলিউডের ‘জুবেইদা’। তার পর থেকে অশান্তি যেন অভিনেত্রীর নিত্যসঙ্গী। টালমাটাল দাম্পত্যের মাঝেই জন্ম মেয়ে সামাইরা ও ছেলে কিয়ানের। সন্তানের বাবা-মা হওয়ার পরও কিন্তু সুখ ফেরেনি অভিনেত্রীর সংসারে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর শরীরে মেদ জমা নারীশরীরের এক স্বাভাবিক পরিবর্তন। করিশ্মারও তেমনটাই হয়েছিল। কিন্তু শরীরে বাড়তি মেদের কারণে রীতিমতো গার্হস্থ্য হিংসার স্বীকার হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
১৩ বছরের দাম্পত্যে আচমকা কেন ইতি টেনেছিলেন করিশ্মা! এই প্রসঙ্গে একটা সময় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। বিবাহবিচ্ছেদের পর দাম্পত্য জীবনের গোপন সব কথা প্রকাশ্যে আনেন তিনি। করিশ্মা জানান, বিয়ের পরের দিন থেকেই তাঁর স্বামী সঞ্জয় কপূর এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপর মানসিক অত্যাচার করতে আরম্ভ করেন। প্রতিনিয়ত চলত শারীরিক নির্যাতন। শুধু কি তাই? অভিনেত্রী জনান, এক বার সঞ্জয় অভিনেত্রীকে থাপ্পড় মারার নির্দেশ দেন নিজের মাকে। কারণটা ছিল, ছোট পোশাকে করিশ্মাকে মানাচ্ছিল না। সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। সেই সময় শরীরে মেদ জমায় ছোট পোশাক পরতে রাজি হননি অভিনেত্রী। যার ফলেই স্বামীর এমন নিদান শুনতে হয় তাঁকে।
এক সাক্ষাৎকারে করিশ্মার স্বামীর বিষয়ে বলতে গিয়ে অভিনেত্রীর বাবা রণধীর কপূর বলেছিলেন, ‘‘সঞ্জয় একেবারেই নিম্ন শ্রেণির মানুষ ছিল। হিংস্রতা ছাড়া ওর মধ্যে আর কিছুই ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy