Karan Nath became flop hero in spite of successful start dgtl
bollywood
বাবার হাতে তৈরি মাধুরীর কেরিয়ার, সুপারহিট প্রথম ছবির পরেও বিস্মৃত তাঁর নায়ক ছেলে
১৯৮৭ তে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ কর্ণের। ছবিতে ভারী কাচের চশমা পরা অনাথ বালকের ভূমিকায় কর্ণের অভিনয় মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ১১:০৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
মাধুরী দীক্ষিতকে বলিউডের তারকা তৈরির পিছনে তাঁর বাবার অবদান অনস্বীকার্য। মা-ও জড়িয়ে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে। তার পরেও তিনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অন্য প্রযোজনা সংস্থায়।
০২১৭
অনেক আশা জাগিয়ে বলিউডে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ফিল্মি পটভূমি থেকে এসেও যাঁরা অভিনেতা হিসেবে ব্যর্থ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কর্ণ নাথ।
০৩১৭
কর্ণের জন্ম ১৯৮৩ সালের ২৪ মে। তাঁর বাবা রাকেশ নাথ ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত রিক্কু নামে। মাধুরী দীক্ষিতের সেক্রেটারি হিসেবে তিনি দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। মাধুরীর যশ ও খ্যাতির পিছনে তাঁর কর্মদক্ষতার প্রভাব গভীর। পরে ‘দিল তেরা আশিক’ ছবিটি প্রযোজনাও করেন রাকেশ নাথ।
০৪১৭
রিক্কুর স্ত্রী তথা কর্ণের মা রীমা ছবির জগতে পরিচিত লেখিকা হিসেবে। ‘সাজন’ ছবির গল্প তাঁরই লেখা। অতীতের জনপ্রিয় অভিনেতা ডি কে সপ্রুর মেয়ে রীমা।
০৫১৭
১৯৮৭ তে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ কর্ণের। ছবিতে ভারী কাচের চশমা পরা অনাথ বালকের ভূমিকায় কর্ণের অভিনয় মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের।
০৬১৭
তবে ছোটবেলায় কর্ণের নেশা ছিল টেনিস। জাতীয় স্তর পর্যন্ত টেনিস খেলা এই তরুণের এক সময় স্বপ্ন ছিল টেনিস খেলায়োড় হওয়ার। কিন্তু শেষ অবধি তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি।
০৭১৭
পরে তিনি টেনিস ছেড়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন। ২০০১-এ তিনি আত্মপ্রকাশ করেন নায়ক হিসেবে, ‘পাগলপন’ ছবিতে। বিপরীতে নায়িকা ছিলেন আরতি আগরওয়াল।
০৮১৭
বক্স অফিসে ‘পাগলপন’ মাঝারি সফল ছবি ছিল। এর আগে অবশ্য কর্ণ সই করেছিলেন ‘ইয়ে দিল আশিকানা’ ছবিতে। তবে সেই ছবি মুক্তি পায় পরে। বিপরীতে নায়িকা ছিলেন নবাগতা জিবিধা শর্মা।
এর পর নবাগত নায়িকাদের সঙ্গে কিছু ছবিতে অভিনয় করেন কর্ণ। কিন্তু হয় সেগুলির মুক্তি পিছিয়ে যায়। নয়তো বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। কেরিয়ারের সূত্রপাতে যে সাফল্য পেয়েছিলেন, কোনও ভাবেই তা আর ফিরে আসেনি কর্ণের কাছে।
১১১৭
২০০৩ থেকে ২০০৯ অবধি কর্ণের ছবির সংখ্যা মাত্র চার। তার মধ্যে প্রথম দু’টি ছবি ‘শসসসসস...’ এবং ‘এলওসি কার্গিল’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০৩-এ। তার পরের বছর তিনি অভিনয় করেন ‘তুম: এ ডেঞ্জারাস অবসেশন’-এ।
১২১৭
পরের ছবির জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় পাঁচ বছর। ২০০৯-এ মুক্তি পায় কর্ণের ছবি ‘তেরা ক্যায়া হোগা জনি’। কিন্তু কোনও ছবিই বক্স অফিসে টিকে থাকতে পারেনি। ফলে কর্ণের নামের পাশে সহজেই বসে যায় ‘ফ্লপ হিরো’-র পরিচয়।
১৩১৭
দীর্ঘ ১১ বছর পরে এ বছর কামব্যাক করেন কর্ণ। কয়েক মাস আগে মুক্তি পায় ‘গানস অব বনারস’। ছবির ট্রেলর মুক্তিতে উপস্থিত ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। এই প্রথম কোনও ট্রেলর প্রকাশে দেখা যায় মাধুরীকে। তিনি জানান, রাকেশ নাথের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কে খাতিরেই তিনি এই অনুষ্ঠানে এসেছেন।
১৪১৭
শেখর সুরী পরিচালিত এই ছবি তামিল ছবি ‘পোল্লাধবন’-এর অনুসরণে তৈরি। ছবিতে কর্ণের নায়িকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রাজিলের মডেল নাতালিয়া কৌর। ২০ বছর পরে এ ছবিতে কামব্যাক করেছেন শিল্পা শিরোদকর। ২০১৭ সালে প্রয়াত বিনোদ খন্নারও শেষ ছবি এটি।
১৫১৭
কিন্তু এত তারকা সমাহারেও ভাগ্য ফেরেনি কর্ণের। বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ করেনি তাঁর এই ছবিও। যদিও ছবিটি নিয়ে কর্ণ এবং তাঁর বাবা রাকেশ, দু’জনেরই অনেক আশা ছিল।
১৬১৭
দীর্ঘ দিন কাজ না পেয়ে অতীতে এক বার হতাশা ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন কর্ণ। সেই সমস্যা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠলেও অভিনয়ের দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি ব্যর্থই থেকে গেলেন।
১৭১৭
মাধুরী ছাড়াও অন্য তারকাদের সফল কেরিয়ারের অন্যতম কারিগর রাকেশ নাথ। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর পরিচিতির গণ্ডিও নিছক ছোট নয়। তার পরেও রাকেশের ছেলের ব্যর্থতা চেনা হিসেবের নিরিখে অনেকটাই অপ্রত্য়াশিত।