কঙ্গনা রানাউত ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিতে। ছবি: সংগৃহীত।
আইনি জট কাটিয়ে উঠতে পারছে না কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। সেন্সর বোর্ড থেকে কিছুতেই ছাড়পত্র পাচ্ছে না ছবিটি। ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কঙ্গনা পরিচালিত ছবির। কিন্তু ছবিমুক্তির উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। অবশেষে ছাড়পত্র মিলল। স্থির হল, নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পাবে। তিনটি দৃশ্য বাদ দেওয়া ও কিছু সম্পাদনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ছাড়পত্রে। ছবিটিকে ‘ইউ/এ’ তকমা দেওয়া হয়েছে।
ইউ/এ সার্টিফিকেট মানে হল ছবিটি বিভিন্ন বয়সের লোকেরা দেখতে পারে, তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে তা অভিভাবকদের অনুমতিসাপেক্ষ। খবর, সিবিএফসি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এই ছবিতে দেখানো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির সময় ‘ডিসক্লেমার’ দিতে বলেছে।
যে দৃশ্যগুলি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখানো হয়েছে— পাকিস্তানি সৈন্যরা বাংলাদেশি শরণার্থীদের আক্রমণ করছে। বিশেষত, একজন সেনার হাতে একটি শিশুর মাথা থেঁতলে দেওয়ার দৃশ্য রয়েছে এবং তিন জন নারীর শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে। কমিটি ছবির একটি জায়গায় উল্লিখিত একটি পরিবারের পদবি পরিবর্তন করতেও বলেছে।
সেন্সর বোর্ড থেকে ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিটি ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব ছাড়া অন্য সমস্যাও রয়েছে। ছবিটি নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিখ সংগঠনগুলি। অকাল তখ্ত এবং ‘শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি’-সহ বিভিন্ন শিখ সংগঠন ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাতে শুরু করে গত মাস থেকেই। সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি ও পাঠায় তারা। যে কারণে একাধিক বার পিছিয়েছে এই ছবির মুক্তি।
এই ছবিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনাকে। তাঁর আমলে ভারতে যে একুশ মাস জরুরি অবস্থা জারি ছিল, সেই সময়কেই তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবিতে চিত্রনাট্য ও পরিচালনা ও অভিনয়, তিনটিরই দায়িত্ব পালন করেছেন কঙ্গনা। ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই ছবির কিন্তু, এ বার ১৮ সেপ্টেম্বরের পরবর্তী শুনানির পরে মুক্তির তারিখ জানানো হবে বলেই খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy