Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kangana Ranaut on Emergency

‘সকলে শুধু শান্তি চান!’ ঘুমন্ত দেশকে জাগাতে চেয়ে হতাশ কঙ্গনা কি এ বার ‘মাথাগরম’ করবেন?

এখনই মুক্তি পাচ্ছে না ‘ইমার্জেন্সি’। বোম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্মাতারা। এ বার ফুঁসে উঠলেন কঙ্গনা।

কঙ্গনা রানাউত।

কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৬
Share: Save:

এখনই মুক্তি পাচ্ছে না ‘ইমার্জেন্সি’। হতাশ কঙ্গনা মাথা ঠান্ডা রাখতে পারছেন না আর! বুধবার বোম্বে হাইকোর্টের রায়ের পর ফুঁসে উঠলেন তিনি। তাঁর কথায়, “সবাই মিলে আমাকে নিশানা করছে। যখন একটা ঘুমন্ত দেশকে জাগিয়ে তুলতে হয়, এই মূল্যগুলো দিতেই হয়। আমি কী নিয়ে কথা বলছি, কেউ বুঝতেই পারছে না।”

কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ও পরিচালিত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে বিতর্কের জট কাটতেই চাইছে না। ৬ সেপ্টেম্বর ছবিমুক্তির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এই ছবিমুক্তির অনুমতি দেয়নি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন। সেন্সর বোর্ড নির্বিচারে, বেআইনি ভাবে আটকে দিচ্ছে ‘ইমার্জেন্সি’র ছাড়পত্র— অভিযোগ ছবি নির্মাতার। সেই কারণে বোম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্মাতারা। যদিও তাতে খুব সুবিধা করে উঠতে পারেনি ছবিটি।

এই ছবিতে ইন্ধিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়কেই তুলে ধরছেন কঙ্গনা। নিজেই অভিনয় করছেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে। কিন্তু ছবিতে শিখ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত লাগছে বলে ইতিমধ্যেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছে শিরোমণি অকালি দল-সহ বেশ কিছু শিখ সংগঠন। হুমকি পেয়েছেন স্বয়ং কঙ্গনা। যার ফলে ছাড়পত্র দেয়নি সেন্সর বোর্ড।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বোম্বে হাই কোর্টে বিচারপতি বিপি কোলাবাওয়ালা এবং ফিরদোস পুনিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছে। ছবি নির্মাতাদের দাবি, ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও মুক্তির অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এ দিন সেন্সর বোর্ডের আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড়কে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ছবি নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বাইরে তারা কিছু বলতে পারবে না। একই সঙ্গে সিবিএফসিকে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী দু’ সপ্তাহ অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘ইমার্জেন্সি’র শংসাপত্র নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে।

এর পরই মুখ খোলেন কঙ্গনা। মান্ডীর বিজেপি সাংসদ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ঘুমন্ত দেশকে জাগিয়ে তোলার মূল্য দিতে হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “সবাই মিলে আমাকে নিশানা করছে। যখন একটা ঘুমন্ত দেশকে জাগিয়ে তুলতে হয়, এই মূল্যগুলো দিতেই হয়। আমি কী নিয়ে কথা বলছি, কেউ বুঝতেই পারছে না। আমি কেন বিচলিত, কেউ বুঝতে পারছে না। কারণ তাঁরা শান্তি চান। তাঁরা কোনও পক্ষ নিতে চান না। সবাই ঠান্ডা মাথায় বসে থাকতে চান।”

কঙ্গনা চান, শত্রু চিন ও পাকিস্তানের সামনে সীমান্তে দাঁড়ানো সেনাও যেন মাথা ঠান্ডা রাখার সুবিধা পান। আসলে কঙ্গনা এই প্রসঙ্গ টেনে তাঁর উপর হওয়া অবিচারের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি খানিক রেগে বলেন, “সকলে শুধু মাথা ঠান্ডা করে বসে থাকতে চান, এ বার দেখবেন মাথাগরম মানুষেরা কী করতে পারে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy