গত কয়েক দশকে কাজল ছিলেন অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিলেন না, এমন মানুষ বিরল। ফাইল চিত্র
শ্যামবর্ণা রং, জোড়া ভ্রু আর একগাল হাসি— কাজলকে শুরু থেকে এ ভাবেই দেখতে অভ্যস্ত বলিউড। তাঁর ধূসর চোখের চাহনিতে কাত দর্শক। কিন্তু তার পর হঠাৎই ছন্দপতন। কই সেই কাজল? তাঁকে তো আর চেনাই যায় না। কানাঘুষো শোনা গেল, অস্ত্রোপচার করে ত্বকের রং বদলে ফরসা হয়েছেন অভিনেত্রী। এর পরই নানা কটাক্ষ। যদিও এ নিয়ে এত দিন কিছু বলেননি কাজল। তার পর যখন মুখ খুললেন, সবাই হেসেই অস্থির।
কী যুক্তি দিলেন অজয়-ঘরনি? সম্প্রতি একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যায় মুখ সবটাই কালো মাস্কে ঢাকা। তার উপরেই সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কাজল। পরনে নীল টি-শার্ট। দোকানের মধ্যে তোলা সেই ছবির উপর কাজল লিখেছেন, “তাদের জন্য, যারা রোজ জিজ্ঞেস করে, কী ভাবে এত ফরসা হলাম। এই ভাবে।”
অভিনেত্রী বোঝাতে চান, এখন সূর্যকে পুরোপুরি দূরে রাখতে পারছেন, তাই ত্বক সুরক্ষিত। আগে রোদের মধ্যেই বেপরোয়া হয়ে ঘুরতেন, তাই ত্বক কালো হয়ে গিয়েছিল। এই যুক্তিতে কি সন্তুষ্ট হলেন অনুরাগীরা?
১৯৯৮ সালে যখন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-তে অভিনয় করেছিলেন, তখনও গায়ের রং শ্যামলাই ছিল তাঁর। কিন্তু যদি ২০০৬ সালে ‘ফানা’য় কাজলকে খেয়াল করা হয়, তত দিনে গায়ের রং বদলে গিয়েছে অনেকটাই। গত কয়েক দশকে কাজল ছিলেন অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিলেন না, এমন মানুষ বিরল।
যদিও কাজল বলেন, “আমার দিদিমা সৌন্দর্যকে অন্য ভাবে ব্যখ্যা করতেন। খুঁতই মানুষকে সুন্দর করে, এ কথা তাঁর কাছ থেকে শুনেই উপলব্ধি করেছিলাম। নিজস্ব বৈশিষ্ট্যগুলোকে যত্ন করতে শিখেছিলাম।” কাজল আরও জানান, নূতনই তাঁকে বলেছিলেন, “মোরগের মতো ঈষৎ বাঁকা চোখই তোমায় আরও বেশি আকর্ষণীয় করে দিদুভাই!”
আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছিলেন কাজল। জানান, ত্বকের রং নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বরাবর। তা হলে কেন হঠাৎ হীনম্মন্যন্যতায় ভুগলেন প্রিয় অভিনেত্রী? আগের রঙেই তাঁকে পছন্দ করতেন, অনেক ভক্তের এমন আক্ষেপ শোনা যায়।
তাঁদের উদ্দেশে কাজলের বলার, “আগে রোদে শুট করতাম, তাই ট্যানড হয়ে যেতাম। অনেক দিন হল রোদ লাগাই না। তাই রং ফিরে এসেছে। এর বাইরে কিছুই নয়।”
শুধু কাজল নয়, তাঁর কন্যা নায়সা দেবগনকে নিয়েও গুঞ্জন শোনা যায়। মা নাকি মেয়েকেও ফরসা করে ছেড়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার আগেই। সে নিয়েও কাজলের বক্তব্য, “নায়সা খুব স্বাস্থ্য সচেতন। ভাল ভাল খাবার খায়, ফল খায় আর রূপচর্চা করে নিয়মিত।” এতেই নাকি তিনি সুন্দর হয়ে উঠছেন দিনে দিনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy