সায়ন্তিকার উদ্দেশে কী লিখলেন জীতু? গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে নিজের বিধানসভা এলাকা বরাহনগরে একটি পথ সভার আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মঞ্চের উপর মহিলাদের নিয়ে বসেছিলেন তিনি। হাতে গিটার। পিছনে যখন সকলে গান ধরেছেন ‘আগুনের পরশমণি’, সায়ন্তিকাকে দেখা যায় সুরে তালে গিটার বাজানোর চেষ্টা করতে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ভিডিয়ো। আর তার পরই অভিনেত্রী, বিধায়কের এমন আচরণকে দৃষ্টিকটু বলে আখ্যা দিয়েছেন অভিনেতা জীতু কমল।
বাংলা ছবির নায়িকা সায়ন্তিকা সম্প্রতি বরাহনগর বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতেছেন তৃণমূলের টিকিটে। দিন কয়েক আগে আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদযাত্রা করেন সেখানে সায়ন্তিকার সাজ-পোশাক, ছবি তোলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এ বার ফের সমাজমাধ্যমে ভাইরাল অভিনেত্রী।
আরজি-কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ, সভা, জমায়েত। বাচিক শিল্পী থেকে চলচ্চিত্র তারকা, সঙ্গীতশিল্পী থেকে ছোট পর্দার অভিনেতা বা লেখক, ছাত্র সমাজ— সকলেই নিজের নিজের মতো করে প্রতিবাদ করছেন। এরই পাশাপাশি প্রতিটি কার্যক্রমের চুলচেরা বিশ্লেষণও করে চলেছেন নেটাগরিকেরা। কারও কোনও পদক্ষেপ অপছন্দ না হলেই চলছে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। গত ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সিঙ্গাপুর থেকে যোগ দিয়েছিলেন মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিতে। সশরীরে উপস্থিত থাকতে না-পারায় তিনি বেছে নিয়েছিলেন শঙ্খবাদনের বিকল্প। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। তার পরই শুরু হয় তাঁকে নিয়ে নানা ব্যঙ্গ। বলা হয় ঋতুপর্ণা একটি জলশঙ্খ বেছে নিয়েছিলেন। অর্থাৎ, সবটাই লোক দেখানো। এই প্রেক্ষিতে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জীতু কমল। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, উনি তো মহিলা। এই আমাদের সম্মান মহিলাদের প্রতি? এই নিয়ে আমরা লড়াই করব?’’
সেই জীতুই এ বার বিঁধলেন মহিলা বিধায়ক সায়ন্তিকাকে। ‘আগুনের পরশমণি’ গানের সঙ্গে সায়ন্তিকার গিটার বাজানোকে ‘বড্ড দৃষ্টকুটু’ (সমাজমাধ্যমে জীতুর লেখা অপরিবর্তিত রাখা হল) সম্বোধন করেন জীতু। সায়ন্তিকার রাজনৈতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জীতুর কথায়, ‘‘এক সময় বাংলার রাজনীতির দিকে গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে থাকতো। স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলার রাজনীতির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। আজও ২০২৪-এ বাংলার রাজনীতির ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু এগুলো কী..! পেছনে বসে থাকা মা-বোনেরাও কি মানতে পারছেন? যে বা যাঁরা টিকিট দিলেন, একবারও ভাবলেন না! ওঁর স্বাদ, ওঁর শখ, ওঁর রাজনৈতিক জ্ঞান সম্বন্ধে? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বাংলার রাজনীতিকে! ট্রাজেডি না কমেডি, বিরহ না আনন্দ! অনুভূতিটা বুঝতেই পারছি না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy