শ্রীলঙ্কায় জন্ম হলেও একাধিক ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করার সুবাদে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এখন এ দেশেরই মানুষ বলা যায়। ভারতেই তাঁর বেশি সময় কাটে। তবে নিজের দেশের উত্তাল পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে তাঁকে। দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বিপর্যয় মোকাবিলার বার্তা দিলেন নেটমাধ্যমে।

গত কয়েকদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে ফুঁসছে শ্রীলঙ্কা। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে শ্রীলঙ্কার সমস্ত নাগরিক এখন আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত। এক ফোঁটা জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। পেট্রোল আমদানির ক্ষমতা নেই সরকারের, তহবিল একেবারে শূন্য। এমন ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়েই এক একটা দিন কাটছে শ্রীলঙ্কার। প্রতিবাদে রাস্তায় এক কাপ চায়ের দর উঠেছে ১০০ টাকা! সেই পরিস্থিতিতে অভিনেতা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ তাঁর নিজের দেশের কথা ভেবে বেদনাতুর। নেটমাধ্যমে শ্রীলঙ্কার জাতীয় পতাকার একটি ছবি শেয়ার করে দীর্ঘ বার্তা দিলেন ‘মার্ডার টু’ এর নায়িকা।

জ্যাকলিন লিখেছেন, “ শ্রীলঙ্কার নাগরিক হিসেবে আমার দেশ ও দেশবাসী যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে আমি মর্মাহত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ববাসী একাধিক মন্তব্য এবং পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। তবে, আমি বলব, যে খবর রটছে তার ভিত্তিতে শোরগোল না করে শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে থাকাই এখন কর্তব্য।"

অভিনেতা আরও জানান, তাঁর দেশের মানুষের এখন সহানুভূতি আর সমর্থন প্রয়োজন। তাঁদের শক্তি, সুস্থতা যেন বজায় থাকে সেইজন্য ২ মিনিট নীরবতা পালন করে যেন প্রার্থনা করে সবাই, এমনটাই চান জ্যাকলিন। এই প্রার্থনার সঙ্গে সমস্ত সিংহলবাসীকে একজোট হয়ে খারাপ সময়ের মোকাবিলা করার ডাক দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, শীঘ্রই এই দুঃসময় শেষ হবে, এমনটাই আশা করছেন তিনি।

জ্যাকলিনের জন্ম বাহরাইনে হলেও তাঁর বাবা এলরয় একজন শ্রীলঙ্কার মানুষ। কলেজের পাঠ চুকিয়ে শ্রীলঙ্কায় কয়েকটি টিভি শো করেছিলেন জ্যাকলিন। ২০০৬ সালে ‘মিস ইউনিভার্স শ্রীলঙ্কার’ খেতাব জেতার পরে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ২০০৯ সাল থেকে একের পর এক ভারতীয় ছবিতে কাজ করেছেন শ্রীলঙ্কার অভিনেতা জ্যাকলিন। তাঁর ভক্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। তবে এই মুহূর্তে তাঁকে ঘিরে অনুরাগীদের অহেতুক উৎকণ্ঠা দূরে সরিয়ে জ্যাকলিন সাফ জানালেন, দেশবাসীর সুরক্ষা নিয়েই তিনি বেশি চিন্তিত।