স্টার জলসার এই শো-এর আজ মঞ্চে চাঁদের হাট।
সুপার ফিনালের বিশেষত্ব কী?
আমার মনে হয় না ভারতবর্ষে এর আগে এ রকম কোনও সুপার ফিনালে কোনও টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। বিকজ এটা ১০ ঘণ্টার একটা টেলিকাস্ট হচ্ছে। ১০ ঘণ্টা! দুপুর ১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। মানে এটা ইনক্রেডিবল একটা জার্নি। সুপার ফিনালে সত্যিই দেখবার মতো। যাঁরা টেলিভিশনে এই শো দেখবেন, প্রতিটি দর্শক এবং পার্টিসিপেন্টদের যাঁরা পেরেন্ট আছেন বা যাঁরা আগামি দিনের সিঙ্গার হতে আসবেন, যাঁরা এ রকম মঞ্চে গাইবেন তাঁদের জন্য এই শো অনেক বড় একটা ইন্সপিরেশন। এটা এমন একটা অনুভূতি— বলে বোঝানো যাবে না। যাঁরা দেখবেন তাঁরাই অনুভব করতে পারবেন। আমি ধন্যবাদ জানাব এই শো-এর পরিচালক-প্রযোজক শুভঙ্করকে (চট্টোপাধ্যায়) এবং স্টার জলসা চ্যানেলের সবাইকে যারা এই শো-এর সঙ্গে যুক্ত।
কারা কারা গাইবেন এই মঞ্চে?
কে গাইবেন না সেটাই বলা মুশকিল। মুম্বই ও কলকাতা মিলিয়ে বড় বড় যাঁরা সিঙ্গার, সারা ভারতবর্ষের যাঁরা গর্ব, সঙ্গীত জগতের যাঁরা নক্ষত্র তাঁরা সকলে গাইবেন। অভাবনীয় একটা ব্যাপার! একই মঞ্চে গাইছেন উদিত নারায়ণ, কুনাল গাঞ্জাওয়ালা, সোনু নিগম, অলকা ইয়াগনিক, বেনি দয়াল, কে কে, হরিহরণ, শান, নিকিতা গাঁধী প্রমুখ। ভাবা যায়! এ ছাড়া কৌশিকী, শানুজি তো আছেনই। আর থাকবেন মিঠুনজি (চক্রবর্তী), শ্রাবন্তী, সোহম। মিঠুনজি অনেক দিন পর ছোট পর্দায় ফিরছেন ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র’ শো-তে। শ্রাবন্তী, সোহমও এই শো-তে থাকবে। ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র’ ক’দিন পরেই। সুপার ফিনালেতে এই নতুন শো উপলক্ষে তাঁদের দেখা যাবে।
‘সুপার সিঙ্গার জুনিয়র’-এর জার্নিটা ঠিক কেমন?
একটা কথা বলতে চাই, সংগীতে সোম-ফাঁক (বিটের মধ্যবর্তী শূন্য অংশ, অফবিট) থাকে তো? প্রত্যেকের জীবনে সোম-ফাঁক আছে, আনন্দও আছে, দুঃখও আছে। এই এত ছোট বয়সে এই শো-তে যে বাচ্চারা গাইতে এসেছে তারা বুঝে নিয়েছে যে জীবনে যে কোনও মুহূর্তে যা কিছু ঘটতে পারে। তো যারা ফাইনাল অব্দি এসেছে এবং যারা আসতে পারেনি প্রত্যেকের কথা বলছি— প্রথম প্রথম এদের ছোট্ট ছোট্ট গাল বেয়ে যখন জল পড়ত, আমাদের মানে জাজদের খুব খারাপ লাগত। শো থেকে বাদ পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছে বাচ্চারা। কিন্তু পরে যখন আবার ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে এই মঞ্চে গায়তে এসেছে এবং আবার চলে যেতে হয়েছে তখন কিন্তু আর কাঁদেনি। তারা লাইফের সারমর্ম বুঝে গেছে। এটা একটা বিরাট বড় লেসন। সেকেন্ড লেসন হচ্ছে একসঙ্গে থাকা। গানবাজনা তো আছেই। কিন্তু বন্ধুত্বের সুন্দর একটা ইউনিটি এরা পেয়েছে। শুটিংয়ের সময় এরা সব একসঙ্গে একটা জায়গায় থাকত। এত ছোট বয়স থেকে সকলের সুখ, দুঃখ, আনন্দ এরা শেয়ার করেছে। এটা কিন্তু সারা জীবন এদের মনে গাঁথা থাকবে। অন্য দিকে আমরাও কিন্তু অনেক কিছু এদের কাছ থেকে শিখতে পেরেছি। আমরা জাজেস, জাজেস টেবিলেই ছিলাম। কিন্তু আমি বলব— অনেক অনেক কিছু এদের কাছ থেকে শিখেছি। এদের ডিসিপ্লিন, এইটুকুটুকু বাচ্চাদের গায়কী জাস্ট ভাবা যায় না। বড়দের গান গাইছে, গায়কীর মধ্যে এমন এমন জিনিস তারা করছে... খুব প্যাশনেটলি এই শো-তে ছিলাম এবং সামনে থেকে এদের গান শোনার সুযোগ পেয়েছি। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
শো-এর তিন বিচারক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিকী চক্রবর্তী এবং কুমার শানু।
প্রতিযোগীদের জন্য আপনি নিজে কিছু করার কথা ভাবছেন?
অ্যাজ আ কম্পোজার আমি এদের একজনকে খুব তাড়াতাড়ি গান গাওয়াবো। ফিল্মে গান গাইবে সে। এটা সারপ্রাইজ থাক।
প্রতিযোগীদের মধ্যে গান ছাড়া আর বিশেষ কিছু লক্ষ্য করলেন, যা মনে রাখার মতো?
অনেক স্ট্রাগল করা ঘর থেকে ছেলেমেয়েরা এসেছে। কয়েকজন ছেলেমেয়ের বাড়ির যা অর্থনৈতিক অবস্থা, জাস্ট ভাবা যায় না। এই যে গানবাজনাকে ভালবাসা, প্রাণ দিয়ে গান করা, এটা বাংলায় দেখতে পাওয়া যায়। আজ কী খাবে, কাল ঘরে কী রান্না হবে সেটাও ঠিক নেই। কিন্তু তার মধ্যে থেকেও এ রকম অসাধারণ গানের চর্চা! জাস্ট ভাবা যায় না।
আরও পড়ুন: নায়িকা? মডেল? না, এই সুন্দরীর আসল পরিচয় জানলে চমকে যাবেন
বাচ্চাদের মা-বাবাদের কিছু বলবেন?
মা-বাবাদের একটা জিনিস বলতে চাই, এদের খুব সুন্দরভাবে রাখতে হবে। খুশিতে, আনন্দে রাখতে হবে। গান গাইছে বলেই খেলাধুলো করবে না, ছবি আঁকবে না... এটা হতে পারে না। সব কিছুর মধ্যেই বাচ্চাদের রাখা উচিত, এদের সঙ্গ দেওয়া উচিত।
দর্শক এই শো দেখে ঠিক কী উপলব্ধি করবেন বলে আপনার মনে হয়?
দর্শক-শ্রোতা যাঁরা যাঁরা এই শো দেখবেন, তাঁরা আমার সঙ্গে একমত হবেন যে, বাংলা সঙ্গীতের পীঠস্থান। এটা এই ছোট ছোট বাচ্চারা কিন্তু প্রমাণ করে দিয়েছে আরও একবার। বাংলার সঙ্গীত টিকে থাকবে, বাংলার সঙ্গীত বেঁচে থাকবে। জয় বাংলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy