বিদ্যুৎ
প্র: আপনার অ্যাকশন বড় পর্দায় দেখতে পছন্দ দর্শকের। ওটিটি কি দর্শকের আরও কাছে পৌঁছে দিচ্ছে?
উ: সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ‘খুদা হাফিজ়’, এটাই সবচেয়ে বড় কথা আমার কাছে। কারণ যতদিন না ভ্যাকসিন বেরোচ্ছে, ততদিন সিনেমা হলে যাওয়ার কথা ভাবাও অন্যায়।
প্র: অ্যাকশন ছাড়া বিদ্যুৎ জামওয়ালকে ভাবা যায় না। অন্য ধরনের ছবি করতে ইচ্ছে করে না?
উ: আগামী কয়েকটা প্রজেক্টে এক্সপ্লোর করার চেষ্টা করছি। তবে অ্যাকশন করতে আমি ভালবাসি, তাই ওটা থাকবেই। আর বহু দর্শক আছেন যাঁরা জেনুইন অ্যাকশন দেখতে পছন্দ করেন। ওটিটি-তে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইয়ারা’ কিন্তু অ্যাকশন ছবি নয়। ‘খুদা হাফিজ়’কেও পুরোপুরি অ্যাকশন ফিল্ম বলা চলে না। এখানে বরং আমাকে একজন আনট্রেনড লোকের মতো ফাইট করতে হয়েছে চরিত্র অনুযায়ী, যেটা আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
প্র: মার্শাল আর্টস থেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসার কথা ভেবেছিলেন কেন?
উ: খুব কম বয়স থেকে কলারিপায়াট্টু শিখেছি, মাদার অব অল মার্শাল আর্টস। ছোট থেকেই অ্যাকশন আর স্পোর্টস পছন্দের। দেশে-বিদেশে স্টেজ শো-ও প্রচুর করেছি এক সময়ে। পরে ঠিক করলাম, যদি এটা করতেই হয়, তবে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসেই করব। হিন্দুস্তানি মার্শাল আর্টস যাতে আরও বহু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি।
প্র: ‘টেন মেন ইউ ডোন্ট ওয়ন্ট টু মেস উইথ’-এর তালিকায় সম্প্রতি বেয়ার গ্রিলস, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একমাত্র ভারতীয় হিসেবে আপনিও রয়েছেন!
উ: (জোরে হেসে) এটা শুনে মাকে বলছিলাম, সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারীর লিস্টে কবে আমার নাম থাকবে!
প্র: আপনার ছোটবেলার কয়েক বছর তো কলকাতায় কেটেছে। কোনও স্মৃতি রয়েছে?
উ: আমার জন্ম কানপুরে, তার পরে বছর চারেক কলকাতায় ছিলাম। বাবা আর্মিতে ছিলেন, বদলির চাকরি। ফোর্ট উইলিয়ামসের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়তাম। খিদিরপুরে ফ্যান্সি মার্কেটে যেতাম শপিং করতে। আর কালীপুজোর আগে নুঙ্গিতে বাজি কিনতে যেতাম।
প্র: সম্প্রতি ডিজ়নি প্লাস হটস্টার সাতটি হিন্দি ছবির ঘোষণায় আপনার ছবিকে কম গুরুত্ব দিয়েছিল। তা নিয়ে প্রতিবাদ করার সময়ে কী মনে হয়েছিল?
উ: এমন এক-একটা সময় হয়, যখন কমেন্ট করার আগে অতশত ভাবনা আসে না। কথাগুলো ভিতর থেকে আসে। আমার ছবির নাম সেই তালিকায় দেখতে পাইনি, বলে দিয়েছি। ভাল ব্যাপার এটাই যে, সকলে আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। বলেছিল, ‘নাহ্, ছেলেটা ঠিকই বলছে।’
প্র: ‘আউটসাইডার’ মনে হয়েছে কখনও নিজেকে?
উ: ফেভারিটিজ়ম, নেপোটিজ়ম যে রয়েছে, সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই। ট্যালেন্ট থাকা সত্ত্বেও কিছু লোক আপনার জার্নিকে কঠিন করে তুলবেই। আবার অনেকে সাহায্যও করে। দুটোই হয়েছে আমার সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy