রক্ষন্দা।
প্র: কী দেখে ‘তেরে বিনা জিয়া যায়ে না’ ধারাবাহিকে কাজ করতে রাজি হলেন?
উ: বাস্তবে আমি যেমন নই, তেমন ধরনের চরিত্রে কাজ করার সুযোগ কমই আসে। অভিনেত্রী হিসেবে সেই সুযোগ খুব লোভনীয়। এই ধারাবাহিকে বিজয়লক্ষ্মী এমন একটা চরিত্র যে, জন্মসূত্রে রাজপরিবারের নয়। তবে দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে ওই পরিবারের সব কিছু সামলাচ্ছে। লার্জার-দ্যান-লাইফ চরিত্র আমাকে সব সময়ে আকৃষ্ট করে।
প্র: ধারাবাহিকে এত কাজের চাপ থাকে যে, প্রস্তুতির সময় কম পাওয়া যায়। নতুন চরিত্রের জন্য নিজেকে কী ভাবে তৈরি করেন?
উ: আমার কাছে পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকারের দৃষ্টিভঙ্গি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই শো শুরু হওয়ার আগে খানিক সময় হাতে পেয়েছিলাম। সেটা কাজে লাগিয়েছি। শুট শুরু হওয়ার আগে একপ্রস্ত রিহার্সালও হয়েছে।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে কুড়ি বছর ধরে কাজ করছেন। পিছনে ফিরে কখনও নিজের জার্নি মূল্যায়ন করেন?
উ: মডেলিং করতাম, ডিজে ছিলাম। অভিনয়ের জগতে যে এতটা পথ আসতে পেরেছি, সেটা স্বপ্নের মতো মনে হয়। ইন্ডাস্ট্রিতে দু’দশক ধরে নাম টিকিয়ে রাখা কঠিন। সবুজ চোখ, ধূসর চুল থাকা সত্ত্বেও যে ছোট পর্দা আমাকে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রের প্রস্তাব দিয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ। এখানে টাইপকাস্টও হইনি। এত বছর পরেও আমাকে দেখতে বোধহয় দর্শকের একঘেয়ে লাগে না।
প্র: বড় পর্দায় কাজের চেষ্টা করেননি কখনও?
উ: কেরিয়ারের প্রথম দিকে যে ছবিগুলোর প্রস্তাব এসেছিল, সেগুলো পছন্দ হয়নি। এখন অন্য ধরনের ছবি তৈরি হচ্ছে। তবে এখন আর প্রস্তাব আসে না। ছবি করিনি বলে খুব একটা আফসোস নেই।
প্র: হলিউড ছবির জন্য ডাবিংও তো করেছেন। সে অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: সে দিনগুলোর কথা মনে পড়ে, যখন নিজের শোয়ের জন্য ঠিক করে ডাব করতে পারতাম না। আর তখন থেকেই ‘ইনক্রেডিবেলস’, ‘আয়রন ম্যান’, ‘দ্য মামি’র মতো ছবির জন্য ডাব করেছি। হলিউড অভিনেতাদের সঙ্গে লিপ-সিঙ্ক করে সংলাপ বলা মোটেও সহজ কাজ ছিল না।
প্র: অভিনেতা সচিন ত্যাগী জীবনসঙ্গী হিসেবে কী রকম?
উ: আমরা একে অপরকে কুড়ি বছর ধরে চিনি। ওকে ছাড়া আমি খুব অসহায়বোধ করি। বিয়ের পরেও একে অপরের পছন্দকে সম্মান করি।
প্র: সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিং থেকে নিজেকে কী ভাবে দূরে রাখেন?
উ: কয়েকটা বিষয় থেকে দূরে থাকি। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করলে প্রত্যুত্তর দিই। যদি আমাকে কারও ভাল না-ই লাগে, তবে আমার পোস্টে মন্তব্য করার তো কোনও প্রয়োজন নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার সবটাই যে খারাপ, সেটা অবশ্য বলব না।
প্র: কলকাতার কী ভাল লাগে?
উ: একবার দুর্গাপুজোর সময়ে গিয়েছিলাম কলকাতায়। গোটা শহরটাকে খুব সুন্দর দেখতে লাগে তখন। ফেরার সময়ে অনেক ধরনের মিষ্টি নিয়ে এসেছিলাম। গুড়ের রসগোল্লা আমার খুব পছন্দের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy