এখন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ রিতু শিবপুরী।
ছবির নাম ‘আঁখে।’ নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ‘লাল দোপাট্টেওয়ালি’ গানের দৃশ্য। সাদা সালোয়ার, লাল ওড়না, কানের পাশে সাদা ফুল। নায়িকা রেগে রেগে এগিয়ে গেলেও গোবিন্দ তাঁর পিছু ছাড়ছেন না। এ দৃশ্য কি ভোলা যায়? না কি ভোলা যায় নায়িকা রিতু শিবপুরীকে? দীর্ঘ দিন বড় পর্দায় অনুপস্থিত থাকলেও ছোট পর্দায় তাঁর ক্যারিশমা কম নয়। পরপর ধারাবাহিকে মন জয় করে নিচ্ছেন দর্শকের। ‘বিষ’-এ তাঁকে দেখা যাবে রুদ্রমার চরিত্রে। অতিপ্রাকৃত বিষয়ের ভিত্তিতে তৈরি এই ধারবাহিকে এথনিক সাজেই দেখা যাবে রিতুকে।
কিন্তু যত বারই তিনি সামনে আসেন, মনে পড়ে যায় সেই গানের দৃশ্য। ‘‘এই লাল দোপাট্টা আমার পিছু ছাড়বে না। যেখানেই যাই, এখনও লোকে ওই গানের কথা বলবেই। আমার সেটে তো অনেকে আমাকে ‘লাল দোপাট্টা’ বলেই ডাকে। আশ্চর্যের বিষয় হল আমারও প্রিয় রং লাল-সাদা,’’ বললেন রিতু।
ওম শিবপুরি ও সুধা শিবপুরির মেয়ে রিতু। মা-বাবাকে ইদানীং খুবই মিস করেন, ‘‘আমার মা-বাবা খুব ভাল মনের মানুষ ছিলেন। আমি মেয়ে বলে বলছি না। এটা ইন্ডাস্ট্রির সকলেই জানেন। আমাদের সব সময়ে শিখিয়েছেন যেন কারও ক্ষতি না করে ফেলি। একটু হলেও যেন অন্যের ভাল করতে পারি। আর আমার জীবনবোধও অনেকটা একই। আমিও খুব সাদামাঠা। অবসরে পরিবার নিয়েই থাকি।’’
রিতুর ছেলে-মেয়েরাই তাঁর স্ট্রেসবাস্টার। রিতুর সন্তানরাই তাঁকে কাজ করার উৎসাহ জুগিয়েছে। ‘‘সকলে বলে, দুই ছেলেমেয়ে সামলে আমি কাজ করি কী করে? কিন্তু আমার আশীর্বাদ আমার সন্তানরা। ওরা কখনও জ্বালায়নি আমাকে। ওরাও আমার মতোই খুব সিম্পল। এখনকার ছেলেমেয়েদের মতো পাকা নয়। বরং একটু বোকা।’’
আবেগপ্রবণ হওয়ায় কোনও শো বা ছবি শেষ হয়ে গেলেই তিনি কেঁদে ফেলেন। রিতুর মতে আগের চেয়ে এখন ইন্ডাস্ট্রি অনেক পেশাদার হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাঁর আবেগ বদলায়নি। যোগাযোগ রাখেন সকলের সঙ্গে। গোবিন্দ, সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গেও দেখা হয়। রিতুকে ‘মেরি লাকি হিরোইন’ বলে ডাকেন সুভাষ ঘাই। সম্প্রতি সুভাষের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে রিতুও আবদার করেন, ‘‘আগের মতোই আর একটি বানান না ছবি। আপনাকে লাকি করে দিই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy