গুরদীপ
একবিংশ শতকের গোড়ায় যাঁরা স্কুল-কলেজের পড়ুয়া ছিলেন, তাঁদের কাছে ‘সঞ্জীবনী’ শুধু একটা শো নয়, এক টুকরো হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলা। আজ থেকে ছোট পর্দায় ফের শুরু হচ্ছে ধারাবাহিক। অনেক চরিত্র বদলে গেলেও বদলায়নি ডক্টর জুহি। ‘‘শুটিংয়ের প্রথম দিন আমি আর মণীশ (বহেল) স্যর নাগাড়ে বলছিলাম, আমরা আগের সিজ়নে কী কী করতাম,’’ উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী গুরদীপ কোহালি।
এই শো দিয়েই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন গুরদীপ। ‘‘এই শো আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল। এর পরেই আমার কাছে পরপর কাজ আসতে থাকে। ‘সঞ্জীবনী’ আমাকে খ্যাতি দিয়েছে, নিরাপত্তা দিয়েছে আর দিয়েছে লয়্যাল অনুরাগী, যাঁরা এখনও দেখা হলে ডক্টর জুহি বলে ডাকেন।’’
‘সঞ্জীবনী’র সেটেই গুরদীপের সঙ্গে আলাপ অর্জুন পুঞ্জের, যিনি এখন তাঁর স্বামী। ‘‘আমার রিল আর রিয়্যাল মিলে গিয়েছে ‘সঞ্জীবনী’র জন্য। তবে এই সিজ়ন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী আমার মেয়ে মেহের। ন’বছর বয়স ওর। অনেক দিন ধরেই শোনে ‘ডক্টর জুহি’, ‘ডক্টর আমন’-এর কথা। কিন্তু এদের সঙ্গে ওর মা-বাবার কী সম্পর্ক, সেটা বুঝতে পারত না,’’ হাসতে হাসতে বলছিলেন গুরদীপ। তাঁর চার বছরের এক ছেলেও রয়েছে।
পরিবারের জন্য কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তবে তাঁর মতে কেরিয়ারের ক্ষতি হয়নি। ‘‘আমি যখনই ফিরে এসেছি, নির্মাতারা আমাকে লিড চরিত্র দিয়েছেন। এমনকি ওয়েবে শো করলাম গত বছর। সেখানেও লিড চরিত্র।’’
ছোট পর্দার চেয়ে কি ওয়েবেই বেশি প্রস্তাব পাচ্ছেন? ‘‘ওয়েবে এত ধরনের কাজ হচ্ছে বলেই টিভির দর্শকের একটা বড় অংশ ওয়েবে সরে গিয়েছেন। আমার ওয়েব শো দেখেই ‘সঞ্জীবনী’র নিমার্তাদের মনে হয়েছে, জুহির এখনও চাহিদা রয়েছে। আর ধর্মীয়, সুপারন্যাচারাল ড্রামার বাজারে দর্শককে টিভিমুখী করার জন্য এই শো বেছে নিয়েছেন নির্মাতারা,’’ বলছেন তিনি।
ছেলে-মেয়ে, সংসার আর কাজের ফাঁকে নিজের জন্য খুব বেশি সময় পান না গুরদীপ। তবে সময় পেলে আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনায় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। কয়েকটি ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। ‘‘এখনই বলব না। তবে একটা ইন্টারেস্টিং কাজের কথা চলছে,’’ বললেন অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy