একসঙ্গে দেখা যাবে ভাস্বর এবং ঋকে
শুক্রবার রাতে শ্রুতি দাসের পোস্ট, নিন্দকদের মুখে ঝামা ঘষে জি বাংলায় একসঙ্গে প্রযোজনা-পরিচালনায় ফিরতে চলেছেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন তাঁর সেই নতুন ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা। ধারাবাহিকের নাম ‘গৌরী এল’। ভাস্বরের বিপরীতে এই প্রথম জুটি বাঁধতে চলেছেন ঋতুপর্ণা সেন। ইন্ডাস্ট্রিতে যিনি ‘ঋ’ নামে খ্যাত। অভিনেতার কথায়, ‘‘এর আগে আমরা পাশাপাশি ফ্লোরে অভিনয় করতাম। তখন প্রায়ই বলতাম, আমাদের নিয়ে কেন জুটি হয় না? সেই স্বপ্ন পূরণ করছেন স্বর্ণেন্দু।’’ ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্রে দেখা যাবে দুর্গা দুর্গেশ্বরী খ্যাত বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায়। বিপরীতে নবাগতা মোহনা। স্বর্ণেন্দু জানিয়েছেন, জি বাংলার রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ মোহনা অংশ নিয়েছিলেন। ‘পিলু’ ওরফে মেঘা দ-এর মতোই তাঁকেও বেছে নেওয়া হয়েছে। মেঘা এবং মোহনা একই সঙ্গে নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
বেশ কিছু ধারাবাহিকে পরপর ভাস্বরকে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। এ বারেও কি তিনি সেই চরিত্রেই ফিরছেন? অভিনেতার দাবি, তাঁর চরিত্রে এ বারেও ধূসর স্তর থাকবে। তবে পুরোপুরি হাড়হিম খলনায়ক তিনি নন। চরিত্র অনুযায়ী তাঁর দু’টি ছোট মেয়ে। নিজের সন্তানদের স্বার্থ রক্ষার খাতিরে কিছু ছল-চাতুরি, কৌশলের আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে। জি বাংলায় এই ধরনের ধূসর চরিত্র তিনি এই প্রথম।
স্বর্ণেন্দুর ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিক যথেষ্ট জনপ্রিয়। নতুন ধারাবাহিকের গল্প কী?
পরিচালকের কথায়, ‘‘আরও একটি ‘ত্রিনয়নী’ বা ‘মিঠাই’ হবে না, এটুকু বলতে পারি। পরিবার, সম্পর্ক মিলে অন্য স্বাদের গল্প দেখতে পাবেন দর্শকেরা। আপাতত এর বেশি বলার উপায় নেই।’’ যদিও ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক বলছে, ‘ত্রিনয়নী’র মতোই গৌরীও অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন। ঘোমটা কালীর পুজোর দিনে সে পা রাখবে বাড়ির মন্দিরে। এই পরিবারে একুশ শতকেও ছেলেদের দাপট বেশি। কন্যা সন্তানেরা পরিবারের সম্পত্তির ভাগ পায় না। এই চার অভিনেতা ছাড়াও ধারাবাহিকে দাপিয়ে বেড়াবেন সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, বোধিসত্ত্ব মজুমদার, মৌসুমী সাহা, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, দ্বৈপায়ন দাস প্রমুখ। ইতিমধ্যেই বীরভূমে শ্যুট শুরু হয়ে গিয়েছে ধারাবাহিকের। সেই পর্ব মিটলে স্টুডিয়োয় হবে পরবর্তী শ্যুট। সম্ভবত, মার্চের মাঝামাঝি ধারাবাহিকের সম্প্রচারণ শুরু হবে।
এ বারেও পরিচালকের ধারাবাহিকে নেই শ্রুতি। নিন্দকদের মুখ বন্ধ করতেই কি এই পন্থা? স্বর্ণেন্দুর যুক্তি, ‘‘আমি পরিচালক। শ্রুতি অভিনেতা। এবং আমার হবু বউ। শুধু এই কারণে আমার সব ধারাবাহিক বা ছবিতে শ্রুতি থাকবেই, এমন ভাবা ভীষণ ভুল। ও সারাক্ষণ আমার পাশে। উৎসাহিত করে, সাহস জোগায়। এর গুরুত্বই বা কম কী?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy