২০১৫ সাল ইতিহাসের পাতায় আর কিছুর জন্য না হলেও সারা বিশ্বেই রূপান্তরকামীদের অভ্যুথ্থানের জন্য হয়ত বিখ্যাত হয়ে থাকবে। সদ্য অ্যাথলিট ব্রুস জেনার নিজেকে নারীতে রূপান্তরিত করার পরে ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ঠাঁই নিয়ে হইচই ফেলেছেন দুনিয়ায়। ভারত থেকে রূপান্তরকামীদের লড়াইকে একটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হয়ে অনেকটা জোর দিয়েছেন মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সবের পাশাপাশি এ বার মাদাম তুসোর মোমের পুতুলের মিউজিয়ামে স্থান করে নিচ্ছেন এক রূপান্তরকামী মার্কিন অভিনেতা। মাদাম তুসোর ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে এই প্রথম। সান ফ্রানসিস্কোর এই জাদুঘরে গায়িকা লেডি গাগা, অভিনেতা জর্জ ক্লুনি, অ্যান হ্যাথওয়ের মতো সেলেবদের পাশে আর কয়েক দিনের মধ্যেই দেখা যাবে ল্যাভেরিন কক্স-এর মোমের স্ট্যাচু।
ল্যাভেরিন কক্সকে সে ভাবে বিশ্ববাসী না চিনলেও, মার্কিন টেলিভিশনে তিনি খুবই পরিচিত মুখ। রিয়্যালিটি শোয়ের জনপ্রিয় নাম ল্যাভেরিন কক্স, ‘এলজিবিটি’-র সমর্থকও বটে। তিনি প্রথম রূপান্তরকামী অভিনেতা যাঁর নাম ‘প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনীত হয়। টেলিভিশন ছাড়া বেশ কিছু সিনেমাতেও তাঁকে দেখা গেছে গত পনেরো বছরে। অ্যালাবামার এক অতি সাধারণ কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমজীবী পরিবারের সদস্য ‘ল্যাভেরিন’। সেখান থেকে রূপান্তরকামী হয়ে তাঁর জীবন যে এমন এক বাঁক নেবে তা বোধহয় কখনও ভাবেননি তিনি। ‘আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি মাদাম তুসোর অংশ হয়ে’, বলেছেন ‘গ্র্যান্ড স্ট্রিট’-এর অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy