পূর্ণার সঙ্গে রাহুল। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
বছর ষোলোর রোগা লিকলিকে মেয়েটাকে দেখলে বোঝা মুশকিল এই মেয়েই ১৩ বছর বয়সে এভারেস্টের শৃঙ্গে পা রেখেছে। তেলেঙ্গানার পাকালা গ্রামের মালাভাথ পূর্ণার কথাবার্তায় কোনও জড়তা নেই। সংবাদমাধ্যমের সামনে অবলীলায় বলে যেতে পারে, এভারেস্টে চ়়ড়ায় সময় মৃতদেহ দেখে কতটা ঘাবড়ে গিয়েছিল!
সোমবার ছবির প্রচারে শহরে এসেছিল পূর্ণা। সঙ্গে পরিচালক রাহুল বসু। বাজেট কম থাকায় কম সংখ্যক সিনেমা হলে ছবি রিলিজ হয়েছে। কিন্তু যে ক’জন ছবিটি দেখেছেন সকলে প্রশংসা করেছেন। রাহুল কলকাতায় এসেছেন, শহরের দর্শকের পালস বুঝতে। পূর্ণাকে নিয়ে সিনেমা হলে যাবেন দর্শকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে। বললেন, ‘‘কলকাতায় দর্শক সব সময় ভাল জিনিস অ্যাপ্রিশিয়েট করতে পারেন। এই শহরে খেলাধূলার একটা সংস্কৃতি আছে।’’
তাজ বেঙ্গলের হোটেল রুমে বসে পূর্ণাকে মোবাইলে বিভিন্ন শহরের প্রেক্ষাগৃহ থেকে আসা দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন। উচ্ছ্বসিত পূর্ণা নিজেও। এভারেস্ট জয়ের পর কতটা তার আনন্দ হয়েছিল? ‘‘ওঠার পর মনে হল, যাক পারলাম। মিনিট পনেরো বসে ছিলাম। মেয়েরাও যে সবটা পারে সেই বিশ্বাসটা আমার ছিল,’’ বলল আত্মপ্রত্যয়ী পূর্ণা। পাশে গর্বিত মা লক্ষ্মীদেবী। ভবিষ্যতে আইপিএস হতে চায় পূর্ণা। তবে পাহাড়ে চড়া ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। আগামী দিনে আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো অভিযানের পরিকল্পনা তার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy