ন্যাড়া মাথায় বাজিমাত! ছবি: সংগৃহীত।
পশ্চিমের তারকা অভিনেত্রীদের অনেককেই দেখা যায় ‘মুণ্ডিত মস্তক’-এ। বলিউডি অভিনেত্রীরাও বাদ যান না, ছবির প্রয়োজনে নানা সময় মাথা কামিয়েছেন বহু অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে মাথা ন্যাড়া করে চর্চায় উঠে এসেছেন টলিপাড়ার ‘ছোটলোক’ দামিণী বেণী বসু। তিনি অবশ্য অভিনয়ের খাতিরে ন্যাড়া হননি। কিন্তু বাংলা ছবিতে চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে কোনও নায়িকা কি মাথা কামিয়েছেন?
টলিপাড়া বলছে, শৌভিক কুণ্ডুর ‘বুমেরাং’ ছবিতে রুক্মিণী মৈত্র ধরা দিতে চলেছেন এই বিশেষ লুকে। এ ছবিতে তিনি একই অঙ্গে রক্ত-মাংসের মানবী, আবার যন্ত্রমানবীও। দ্বিতীয় রূপের জন্যই তিনি মুণ্ডিতমস্তক। তবে পুরো লুকটাই তৈরি হয়েছে প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্যে। আর এই লুকেই মজেছেন নায়িকার অনুরাগীরা! তাঁরাও মাথা কামিয়ে, চোখে নীল কনট্যাক্ট লেন্স পরে হয়ে উঠেছেন যেন হুবহু ছবির ‘নিশা’! সেই ছবি নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন রুক্মিণী। সঙ্গে বার্তা, ‘‘নায়িকার কেশবিহীন লুক যখন ট্রেন্ড করে, তখনই সেই অভিনেত্রী হয়তো তাঁর যথার্থ পুরস্কার পান।’’
রুক্মিণীর এই লুকে শুধুই অনুরাগীরা মজেছেন এমন নয়। তাঁকে সেটে প্রথম দিন ওই মেকআপে দেখে জিৎ বলেছিলেন, “বাহ্! বেশ ভাল লাগছে তো তোমাকে দেখতে।” শুধু কি জিৎ? মোটেও না।
প্রথম দিনের মেকআপের পরেই ফ্লোর থেকে নিজের ছবি তুলে দেবকে পাঠিয়েছিলেন রুক্মিণী। আনন্দবাজার অনলাইনকে নায়িকা বলেন, “ছবি দেখে দেব লিখে পাঠিয়েছিল, ‘মাথার চুল ছাড়াও যে তোমাকে এতটা ভাল দেখতে হতে পারে, এর আগে বুঝতেই পারিনি।’ আমাকে নাকি সুপারমডেলের মতো দেখতে লাগছে, বলেছিল দেব।”
প্রিয়জনদের প্রশংসা পাওয়ার পর সেই বিশেষ রূপ চেনা-অচেনা সব মানুষকে ছুঁয়ে গেলে সেটাই অভিনেত্রীর বাড়তি পাওনা। সে কথা জানিয়ে রুক্মিণী সমাজমাধ্যমের পাতায় আরও লিখেছেন, ‘‘সব নায়িকাই চান, তাঁর সবচেয়ে সুন্দর, লাস্যময়-গ্ল্যামারাস লুকটা চর্চায় থাকুক। সকলে সে রকম হওয়ার চেষ্টা করুক। আর এই গ্ল্যামারাস লুকের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে থাকে তার লম্বা, খোলা, ঘন চুল। কিন্তু সিনেমার স্বার্থে, চরিত্রের প্রয়োজনে, যখন সেই মেঘ কালো চুলকে বিসর্জন দিতে হয় তখন তার জন্য লাগে আত্মবিশ্বাস, সেই চরিত্রের প্রতি ভরসা।’’
অনুরাগীরা নায়িকার যে লুকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, সেটা মেকআপে ফুটিয়ে তোলা খুব সহজ ছিল না। রুক্মিণী জানিয়েছেন, রোবট চরিত্রের রূপটানের জন্য দু’ঘণ্টা সময় লাগত। তার পর ন্যাড়া লুকের জন্য প্রস্থেটিক তৈরিতে আরও তিন ঘণ্টা।
টানা পাঁচ ঘণ্টা কী ভাবে চেয়ারে বসে থাকতেন তিনি? অভিনেত্রীর কথায়, “খুব কঠিন। ভোর পাঁচটা থেকে মেকআপ শুরু হত। বীথিকা (রূপটান শিল্পী বীথিকা বেনিয়া) আমার সঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজ করছে। এই রূপটানও ওর হাতে তৈরি। খুব ভাল কাজ করেছে।” তিনি বলেন, “নিজের লুক দেখার পরই বুঝেছিলাম, আমাদের পরিশ্রম সার্থক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy