Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Khelna Bari Shooting

মিতুলের ফোনে ইন্দ্রের নম্বর সেভ করা কী নামে? ‘খেলনা বাড়ি’র মেকআপ রুমে আড্ডা কতটা জমজমাট?

শট শুরু হলেই তাঁরা সিরিয়াস। আর ক্যামেরা বন্ধ করলেই সব সমীকরণ উল্টেপাল্টে একাকার। ক্যামেরার পিছনের গল্প জানতেই ‘খেলনা বাড়ি’র সেটে হাজির আনন্দবাজার অনলাইন।

Shooting coverage of Zee Bangla serial Khelna Bari

‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালের ক্যামেরার পিছনের গল্প। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ১৭:০১
Share: Save:

সময় এগিয়েছে। গুগলি বড় হয়ে গিয়ছে। এত বছরেও মিতুল ইন্দ্রর জীবনের ঝড় থামল না। জীবনের শুরুর দিন থেকেই তাঁদের লড়াই জারি। সৎমা এবং ভাই রণর চক্রান্তের জেরে নিজের সন্তানকে হারায় ইন্দ্রজিৎ। স্ত্রীরও দুর্ঘটনায় প্রাণ যায়। তার পর জীবনে আসে মিতুল। তাঁকে নিয়েই বর্তমানে ইন্দ্রর জগৎ। এই হল ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালের মূল গল্প। পরিবারের সব সমস্যা সমাধান করতে মিতুল একাই সিদ্ধহস্ত। আর রণ তো তাঁর চিরশত্রু। পর্দায় যাঁরা একে অপরকে সহ্য করতে পারেন না বাস্তবে তাঁদের সম্পর্ক কেমন? শট শেষ হলে ইন্দ্রের সঙ্গে সমীকরণ ঠিক কেমন? সেই সব কিছুর খোঁজ নিতে আনন্দবাজার অনলাইন পৌঁছেছিল ‘খেলনা বাড়ি’র সেটে।

সেটেই তাঁদের কেটে যায় দিনের ১৪ ঘণ্টা। বেশির ভাগ সময়টাই যদি সেখানে কাটানো হয়, তা হলে সহকর্মীও পরিবার হয়ে ওঠে। তাই তো দুপুরের খাওয়াদাওয়া যদি একসঙ্গে না হয় মনখারাপ হয়ে যায় মিতুলের। সিরিয়ালে যতই বয়স বেড়ে যাক না কেন, আদতে তো মিতুল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তাই নতুন চরিত্রদের আগমনে আরও খানিকটা মজাই হয়েছে তাঁর। মেয়ে গুগলিও এখন বড়। মিতুল ওরফে আরাত্রিকার কথায়, “না, কারও এখানে কারও বিবাদ নেই। আমাদের হাসিখুশি পরিবার। শট বন্ধ হলেই রণ দাদার সঙ্গে কিন্তু দারুণ আড্ডা জমে। তবে অস্মিতাদি না থাকলে একটু মনখারাপ হয়। কারণ আমাদের মেকআপ রুমটা জমিয়ে রাখে তো অস্মিতাদি অর্থাৎ লাহিড়ি বাড়ির কলি।”

Asmita is the life of Khelna Bari Serial

‘খেলনা বাড়ি’র সেটের সকলের প্রাণ মিতুলের ননদ কলি ওরফে অস্মিতা। ছবি: ফেসবুক।

সিরিয়ালের নায়ক বিশ্বজিৎ ঘোষ এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন বহু বছর। অন্য দিকে, টালিগঞ্জে আরাত্রিকার বয়স মাত্র আড়াই বছর। ফলে তাঁকে ছোট পেয়ে বেশি মজাই হয় তাঁর সঙ্গে। এমনটাই অভিযোগ আরাত্রিকার। নিজের ফোনেও নায়কের নম্বর রাগি ছেলে বলে সেভ করে রেখেছেন। আরাত্রিকার বক্তব্য, “আরে আমার প্রথম প্রথম খুব ভয় লাগত বিশ্বজিৎদাকে। তাই তো এই নামে সেভ করে রেখেছি।

Friendship in Khelna Bari set

ক্যামেরা বন্ধ হলেই সবাই বন্ধু হয়ে যান তাঁরা। ছবি: ফেসবুক।

এখন আমরা ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছি। সবাই ভীষণ ভাল। আমাদের একটা গ্রুপ আছে।” বর্তমানে ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালের টিআরপি অনেকটাই কমেছে। তবে টিআরপি তাঁদের মেজাজে কোনও পরিবর্তন আনে না, এমনটাই দাবি আরাত্রিকার।

অন্য বিষয়গুলি:

Khelna Bari Tollywood Bengali Serial Actor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE