‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালের একটি দৃশ্যে মানালি। ছবি: সংগৃহীত।
অনেকের ধারণা, দু’জন মেয়ে কখনও বন্ধু হতে পারে না। এমনটাই বদ্ধমূল ধারণা সাধারণের। তবে বর্তমানে সেই ভাবধারা বদলেছে। শাশুড়ি, বৌমার কোন্দলের গল্প ছেড়ে সিরিয়ালেও দেখানো হচ্ছে নতুন স্বাদের গল্প। সদ্য শুরু হয়েছে একটি নতুন গল্প ‘কার কাছে কই মনের কথা’। যেখানে পাড়ার বিপাশা, শিমুল, সুচরিতা, প্রতীক্ষারা বন্ধু হয়ে উঠেছে। ক্যামেরার সামনে যেমন তাঁদের বন্ধুত্ব দেখছেন দর্শক, তেমনটাই কি ক্যামেরার ও পারেও? না কি শট কাটলেই যে যার মেকআপ রুমে চলে যান? সেই খোঁজ নিতেই আনন্দবাজার অনলাইন হাজির হয়েছিল ‘কার কাছে মনের কথা’র ফ্লোরে। দুপুরে তখন খাওয়াদাওয়ার সময়। নায়ক দ্রোণ মুখোপাধ্যায় এসে তখন সবে মেকআপে বসেছেন। অন্য দিকে শট দিয়ে কিছু ক্ষণ বিশ্রামের জন্য নিজের ঘরের দিকে গেলেন। যেতে যেতেই মানালি জানালেন, এখানে সবাই একসঙ্গেই একটি ঘরে বসেন। সম্পর্কগুলোও সেই ভাবেই তৈরি হয়েছে।
‘নকশি কাঁথা’ সিরিয়ালের পর আবারও একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে মালানি এবং স্নেহা চট্টোপাধ্যায়কে। এই সিরিয়ালে বিপাশার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। বহু বছরের সম্পর্ক তাঁদের। ফলে আবারও একসঙ্গে কাজ করতে বেশ ভালই লাগছে তাঁদের। এ বার অবশ্য যোগ হয়েছে বেশ কয়েক জন। বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সৃজনী মিত্র, কুয়াশা বিশ্বাস, শ্রীতমা ভট্টাচার্য –সহ আরও অনেকে। সম্প্রতি শ্রীতমার অভিনয় নিয়েও বেশ চর্চা হয়েছে। অটিস্টিক মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। সবাই যখন তাঁরা একসঙ্গে থাকেন, মেকআপ রুমে কোন বিষয় নিয়ে বেশি চর্চা হয়? প্রশ্ন শুনেই মানালি বলে উঠলেন, “আমাদের কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না, সেই প্রশ্নটা করলে বরং সুবিধা হত। সব নিয়ে আলোচনা হয়। তাই তো আমাদের যদি নিজস্ব কোনও আলাদা ঘর দেওয়া হয়, তা হলেও বসব না সেখানে।” টালিগঞ্জের স্টুডিয়োয় মানালিদের মেকআপ ঘরে রয়েছে একটা চেয়ার, আয়না। একটা ছোট্ট সোফা। আর একটি বাথরুম। সেই ঘরেই তিন থেকে চার জন অনেক সময় পাঁচ জনও টানা ১৪ ঘণ্টা কাটান। কিন্তু কখনও কষ্ট হয় না তাঁদের।
স্নেহা বললেন, “কষ্ট কী করে হবে! এই মেকআপের ঘরটাই তো আমাদের অক্সিজেন। জীবনের যাবতীয় সমস্যা, হাসি, দুঃখ, আনন্দ সব কিছু নিয়েই আলোচনা হয়। আর বিশেষত মানালির সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহু বছরের। আমরা পরস্পরের জীবনের প্রতিটা পরিবর্তনে সব কিছুর সাক্ষী।” স্নেহার কথার রেশ ধরেই মানালি বলেন, “আমি এখনও ভাবতে পারি না, স্নেহাদি ছেলেকে সামলাচ্ছে। সারা দিন ফোনে নজরদারি চালাচ্ছে। মাঝেমাঝে মনে হয় এই মানুষটার কী হল?” এ দিকে স্নেহারও অনেকটা তেমনই মত। তিনি বলেন, “মানা (মানালি) এখন চুটিয়ে সংসার করছে, সেটাও কি কম কথা হল! এক দিকে শ্বশুরবাড়ি, অন্য দিকে বাবাকে সামলাচ্ছে।” তবে সেটে আরও এক জনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁরা। তিনি হলেন শ্রীতমা। স্নেহা বললেন, “শ্রীতমার কাছে সব সমস্যার সমাধান থাকে। সেটাই দারুণ ব্যাপার। আমাদের ঘরে মাটিতে একটা ছোট্ট বিছানা করে রেখেছে ও। যাতে কারও কখনও শুতে ইচ্ছা করলে যেন একটু বিশ্রাম নিতে পারি। সব মিলিয়ে আমাদের মেয়েদের সংসার কিন্তু জমজমাট। আর ওই যে বলা হয় মেয়েরা মেয়েদের শত্রু। এই কথাটা কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।” কথা শেষ করেই আবার হইহই করে শট দিতে চলে গেলেন সকলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy