Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

‘বেড়ানোর জন্যই রোজগার করি’

নতুন ধারাবাহিকে নতুন রূপে ফিরছেন শশাঙ্ক ব্যাস নতুন ধারাবাহিকে নতুন রূপে ফিরছেন শশাঙ্ক ব্যাস

শশাঙ্ক

শশাঙ্ক

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী
শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ০০:০১
Share: Save:

প্রথম ধারবাহিকেই নজর কেড়েছিলেন শশাঙ্ক ব্যাস, ‘বালিকাবধূ’ ধারাবাহিকে বড়বেলার জগদীশের চরিত্রে। তার পর ‘যানা না দিল সে দূর’। নতুন ধারাবাহিক ‘রূপ: মর্দ কা নয়া স্বরূপ’-এ রূপের বড় বয়সের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। ‘‘এক দিক থেকে এটা হোমকামিং অবশ্যই। তবে অভিজ্ঞতা বেড়েছে, অভিনয়ের সূক্ষ্মতা শিখেছি। ‘বালিকাবধূ’ যখন শুরু করেছিলাম, তখন আমার বয়স ২৪। আর এখন তিরিশের কোঠায় দাঁড়িয়ে,’’ বলছিলেন অভিনেতা।

ইন্ডাস্ট্রিতে সদ্য আসা শশাঙ্কের সঙ্গে এখনকার শশাঙ্কের চেহারায় মিল পাবেন না। ইনস্টাগ্রাম জুড়ে তাঁর পেশিবহুল, নির্মেদ চেহারার ছবি। ‘‘কয়েক জন কাস্টিং ডিরেক্টর বলেছিলেন, আমার চেহারা ততটা পুরুষালি নয়। সেই জন্যই জিম করতে শুরু করি। প্রথমে এক দিন করে বাদ দিয়ে করতাম। কিন্তু যখন ফল পেতে শুরু করলাম, জিমটা নেশা হয়ে দাঁড়াল। সকালে দেড় ঘণ্টা আর বিকেলে চার ঘণ্টা বাঁধাধরা ছিল।’’ জগিয়ার ইমেজ ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্যই কি এত কসরত? ‘‘না। কারণ এই শোয়ে রূপ ম্যাচো ম্যান নয়। তবে অভিনেতা হিসেবে পরিধি বাড়াতে চাই। নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার জন্যই এই কষ্ট করেছি।’’

হিন্দি ছবির কয়েকটা প্রস্তাব পেলেও শশাঙ্ক শুধু ছবি করার খাতিরে ছবি করতে চান না। ‘‘সত্যি কথা বলতে, আমি জানি টেলিভিশন মহিলাপ্রধান। অভিনেতার বিশেষ কিছু করার থাকে না। তবে এই শো ব্যতিক্রম। নারী ক্ষমতায়নের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সেই কথা বলছে এক জন পুরুষ। সে দিক থেকে আমি ভাগ্যবান,’’ হেসে বললেন শশাঙ্ক।

ওয়র্কহোলিক শশাঙ্ক লক্ষ্যে অবিচল। ‘‘স্বপ্নপূরণের জন্য বাড়ি ছেড়ে মুম্বইয়ে এসেছি। নিজেকে অতিক্রম করার জন্য বেশি পরিশ্রম তো করতেই হবে। অভিনয় ছাড়া কিছুই পারি না! তবে রবিবার ছুটি কাটাই। বাবাকে সময় দিই, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করি। আর ওই সাত মাস যখন ট্রেনিং চলছিল, তখন পার্টি, লং ড্রাইভ, অ্যালকোহলও বারণ ছিল। যারা আমার ঘনিষ্ঠ, তারা আমার কথা ঠিক বুঝেছিল,’’ বললেন তিনি।

ঘুরতে ভালবাসেন শশাঙ্ক। তাঁর কথায়, ‘‘বেড়ানোর জন্যই রোজগার করি।’’ প্রেমের জন্য এই মুহূর্তে রাজি নন। ‘‘ভাগ্যে বিশ্বাস করি। যখন হওয়ার তখন হবে।’’

মায়ের সঙ্গে শশাঙ্কের বন্ডিং খুব পোক্ত। ‘‘আমরা কিন্তু মা-ছেলে কম, বন্ধু বেশি ছিলাম। মায়ের মৃত্যুর পরে আমি ওঁর স্বপ্নের কথা ভাবি। যখনই বড় কিছু করব মনে করি, মনে হয় মা যেন দেখছে আমাকে,’’ গলাটা ভারী হয়ে এল শশাঙ্কের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE