ফাইল চিত্র।
বরাবরই সাদাসিধে, মিষ্টি, নরম স্বভাবের চরিত্রে দেখা গিয়েছে শক্তি কপূরের তনয়া শ্রদ্ধা কপূরকে। ‘আশিকি টু’, ‘এবিসিডি টু’, ‘বাগি’, ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ কোনওটাই তার ব্যতিক্রম নয়। এই প্রথম তিনি অভিনয় করবেন ডার্ক শেডের চরিত্রে। সৌজন্যে অপূর্ব লাখিয়ার ‘হাসিনা পার্কার’। হাতে আছে সাইনা নেহওয়ালের বায়োপিক, প্রভাসের সঙ্গে ‘সাহো’।
প্র: হাসিনা পার্কারের মতো চরিত্রে কাজ করতে ভয় করেনি?
উ: যখনই কোনও নতুন ছবির কাজ শুরু করি, মনের মধ্যে একটা ভয় সব সময় কাজ করে। তবে একঘেয়ে কাজ আমার পছন্দ নয়। খুব তাড়াতাড়ি বোরড হয়ে যাই। বিভিন্ন ধরনের চরিত্র, ছবির গল্প আমাকে আকৃষ্ট করে। হাসিনা পার্কার সম্পর্কে মানুষ বেশি জানে না। এই ছবি হাসিনাকে জনসমক্ষে আনবে।
প্র: এই চরিত্রের জন্য আপনি ৮ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন। কাজটা কঠিন ছিল?
উ: খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনও বাধানিষেধ ছিল না। আর এমনিতেও আমি বেশ ফুডি। তাই মন-প্রাণ খুলেই খেয়েছি। ওয়র্ক আউটও একদম বন্ধ ছিল। ওজন বাড়লেও হাতে আর পায়ে কিছুতেই মেদ লাগছিল না। তাই কিছুটা প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। চরিত্রটির জন্য অনেক রকমের লুক টেস্ট হয়েছিল। ডার্ক ব্রাউন লেন্স পরেছি, হানি বেসড মেকআপ লাগিয়েছি। প্রথম দিন যখন নিজেকে হাসিনা পার্কারের রূপে দেখেছিলাম, খুব খুশি হয়েছিলাম। শেষমেশ তবে আমার হার্ডওয়র্ক কাজে এল। অবশ্য আসল চ্যালেঞ্জটা এখনই। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে হচ্ছে (হাসি)।
এ ছাড়া এই ছবিতে প্রথম বার একজন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করলাম। হোমওয়র্ক হিসেবে কয়েক জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ভিডিয়ো-ব্লগ দেখেছিলাম। ছবিতে প্রেগন্যান্সির দৃশ্যের জন্য একটা স্পেশাল বডিস্যুট পরতে হয়েছিল। অভ্যস্ত হওয়ার জন্য সেটা বাড়িতেও পরে থাকতাম।
প্র: অফস্ক্রিন ভাইয়ের সঙ্গে অনস্ক্রিন কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব স্পেশ্যাল। আমরা ভাই-বোন কম, বেস্ট ফ্রেন্ডস বেশি। আমার মনের সব কথা ভাই জানে। কাজ করতে কোনও অসুবিধে হয়নি। আশা করছি, এই ছবির দৌলতে দর্শক ভাইয়ের অভিনয় প্রতিভা সম্পর্কে জানবে।
প্র: সাইনা নেহওয়ালের চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি কেমন চলছে?
উ: জিতেশ পাড়ুকোনের কাছে আমি ৩৩টা সেশন ট্রেনিং নিয়েছি। ব্যাডমিন্টন খেলাটা ভীষণ উপভোগ করছি। খুব টাফ গেম। স্পোর্টসম্যান স্পিরিট শিখছি। ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ ছবির সময়ে বাস্কেটবল শিখেছিলাম। সেটা ছবির একটা ছোট অংশ ছিল। কিন্তু সাইনার বায়োপিকের জন্য ব্যাডমিন্টন খেলাটা খুব ভাল করে রপ্ত করতে হবে। সম্প্রতি হায়দরাবাদে সাইনার সঙ্গে দেখা হল। আমাদের মধ্যে ভাল কথাবার্তা হয়েছে।
প্র: হাসিনা পার্কারের মতো কঠিন চরিত্র থেকে বেরোলেন কী ভাবে?
উ: বোনের সঙ্গে ইতালি ঘুরতে চলে গিয়েছিলাম। ছবির শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরে নিজেকে সময় দেওয়াটা খুব জরুরি ছিল। ওখানে সকালে তাড়াতাড়ি উঠতাম, রাতে আবার তাড়াতাড়ি শুতেও যেতাম। আর খুব হাঁটতাম। পায়ে হেঁটে পুরো শহর ঘুরেছি।
প্র: প্রভাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ কেমন হল?
উ: খুব এক্সাইটিং। আমার প্রথম তেলুগু ছবি এটা। আমি আর প্রভাস ঠিক করেছি, দু’জন দু’জনকে হিন্দি আর তেলুগু শেখাব। প্রভাস ভীষণ ভাল মানুষ। দেখা হওয়া মাত্রই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার খিদে পেয়েছে না কি? সত্যিই তখন আমার খিদে পেয়েছিল। ব্যস আর কী! আমরা দু’জনে বসে খেতে শুরু করে দিলাম। অন্ধ্রের সমস্ত রকম খাবার উনি আমার জন্য রেখেছিলেন (হাসি)।
প্র: আপনি এত কাজ করেন, ক্লান্ত হয়ে যান না...
উ: ছোটবেলা থেকে একটাই স্বপ্ন ছিল, ছবিতে কাজ করব। এমনিতে আমি টেলিভিশন দেখি না। খবরের কাগজ পড়ি না। ইন্ডাস্ট্রিতেও আমার বন্ধু খুব কম। ইন্ডাস্ট্রির বাইরের বন্ধুদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটাই। আগে দাদু-দিদা, ঠাকুরদা-ঠাকুমার সঙ্গেও প্রচুর সময় কাটানোর সুযোগ পেতাম। এ ছাড়া, কুকুরের সঙ্গে খেলা করেও আমার অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy