আয়ুষ শর্মা. ছবি: শুভদীপ ধর
প্র: কলকাতা কেমন লাগল?
উ: ফ্যান্টাস্টিক! হোটেলে আসার সময়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে দিয়ে এসেছিলাম। কী সুন্দর স্থাপত্য! কলকাতায় আমার আর ওয়ারিনার (হুসেন) প্রথম বার।
প্র: নতুন কী খাবার ট্রাই করলেন?
উ: হট কাটি রোল। ওয়ারিনা তো রসগোল্লাও অর্ডার করে বসল! আর কী খাওয়া যায় আপনারাই বলুন!
প্র: আপনার অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা কার? শ্যালক সলমন খান না কি স্ত্রী অর্পিতা?
উ: অনুপ্রেরণা সলমন ভাই-ই। অর্পিতা আমার ব্যাকবোন। সলমন ভাইয়ের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। উনি পর্দায় একটা কিছু করলে মনে হয়, আমিও এ রকম করি! এটা হয়তো ভারতের প্রতিটা অল্পবয়সি তরুণেরই মনে হয়।
প্র: সলমন নাকি ‘লাভরাত্রি’তে আপনাকে সব স্টান্ট নিজে করতে বলেছিলেন এবং আপনাকে ট্রেনিংও দিয়েছেন?
উ: (হাসতে হাসতে) হ্যাঁ, উনি আমাকে উঁচু উঁচু জায়গা থেকে হঠাৎ হঠাৎ ধাক্কা মেরে ফেলে দিতেন! যাতে আমি স্টান্ট করার সময়ে সতর্ক থাকি। বা হঠাৎ পড়ে গিয়ে চোট না পাই। আসলে সলমন ভাই যে সময়ে শুরু করেছিলেন, তখন সেটে এত অ্যাডভান্সড অ্যাকশন টিম থাকত না। অভিনেতাদের সব কিছুই নিজেদের করতে হতো। সলমন ভাই নিজে সেগুলো করেছেন বলে মনে করেন, আমাদেরও এ ভাবেই নিজেদের তৈরি করা উচিত। না হলে পর্দায় বোঝা যাবে, দ্যাট উই আর ফেকিং ইট। এগুলো ছাড়াও হর্সরাইডিং, জিমন্যাস্টিক্স, জিমিং, অ্যাকশন সেটস— এগুলো যাতে আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে যায়, সলমন ভাই সেটাও নিশ্চিত করেছিলেন।
প্র: শুনে তো মনে হচ্ছে, মেন্টর হিসেবে সলমন হার্ড টাস্কমাস্টার। উনি শ্যালক হিসেবে কেমন?
উ: আমার কিন্তু এগুলো কিছুই চাপিয়ে দেওয়া রুটিন বলে মনে হয়নি। দিজ় বিকেম আ ওয়ে অব লাইফ ফর মি। আর সলমন ভাই আমার শ্যালক কম, নিজের বড় দাদা বেশি। যে কোনও রকমের সমস্যায় পড়লে ওঁকে ফোন করতে পারি। নিছক গল্প করতে হলেও...
প্র: ‘লাভরাত্রি’র সঙ্গে সলমনের নাম জড়িয়ে আছে। চাপ অনুভব করছেন না?
উ: চাপের থেকেও অনেক বেশি দায়িত্ববোধ। সলমনের নাম জড়িত থাকায় আমি একটা ক্রেডিবিলিটি পেয়েছি। কিন্তু সেটা পূর্ণতা পাবে যদি দর্শকও সমান ভাবে বিনোদন পান। কারণ সলমন খানের নামটা বিনোদনের সঙ্গে এমন ভাবেই জড়িয়ে গিয়েছে, যে দুটো সমার্থক। তবে সলমনের নামের জন্য আমার কাছে সব কিছুই অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে। নবাগতদের অনেক সময় লেগে যায় লোকের অ্যাটেনশন পেতে।
প্র: কিন্তু ছবিটা যদি ভাল না চলে? জবাবদিহি করতে হবে না?
উ: আমি সেটা নিয়ে ভয় পাচ্ছি না। আমার ভয়টা অন্য জায়গায়। এই ছবির পরিচালক নতুন। ক্রু, অভিনেতা সবাই নতুন। সকলেই অনেক স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে এসেছি। আমার দুশ্চিন্তা, শেষটায় যেন হেরে না যাই। তাই আমি খুব আশা করে আছি, ছবিটা যাতে ভাল চলে।
প্র: অর্পিতার সঙ্গে আপনার বিয়ের পর অনেকেই বলেছিলেন, বিয়েটা হয়েছে কিছু স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। কী প্রতিক্রিয়া ছিল তখন?
উ: কেউ একটা কিছু নিয়ে ধারণা তৈরি করে বসে থাকলেই যে তাকে অনেকটা গুরুত্ব দিতে হবে, তার মানে নেই। অর্পিতার সঙ্গে বিয়ের আগে আমার কোনও ইচ্ছে ছিল না, সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে মেলে ধরার। যখন এই সব চর্চা হচ্ছিল, তখনও মিডিয়াকে জবাব দিতে যাইনি। কারণ আমার ভার্সন শুনতে কেউ উৎসাহী ছিলেন না। অনেকটা সময় ধরেই কথাগুলো কানে এসেছে আমার। কিন্তু সব ব্যক্তিগত সম্পর্ককেই খুব শ্রদ্ধা করি বলে নিজে থেকে কাউকে প্রতিক্রিয়া দিইনি। আমার স্ত্রী তো জানে, কেন আমরা বিয়ে করেছি। গোটা দুনিয়া না জানলেও চলবে। আমার বিয়েটা তো কোনও প্রদর্শনী নয়!
প্র: আপনার পরিবার তো রাজনীতির। আপনি অভিনয়ে এলেন কেন?
উ: আমার আগের দুই প্রজন্মই রাজনীতির। আমি শুধু সেই দাবিতেই রাজনীতিতে যেতে চাইনি। রাজনীতি মানে মানুষের জন্য কিছু করা। আমার এখনও সেই যোগ্যতা নেই। ভবিষ্যতে আরও পরিণত হলে তখন হয়তো ভেবে দেখব। এখন নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy