জুহি
প্র: ‘তন্ত্র’-এর মতো শো বাছলেন কেন?
উ: ছোট পর্দায় যে সব সুপারন্যাচারাল শো দেখানো হয়, সেখানে ভাল গল্প বলা হয় না। কিন্তু ‘তন্ত্র’-এর গল্পে ড্রামা রয়েছে। যা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। এমন চরিত্র আমি আগে করিনি। শোয়ের প্রযোজক সিদ্ধার্থ আমার খুব ভাল বন্ধু। সেটাও একটা কারণ বটে।
প্র: বাস্তবে আপনি কতটা কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন?
উ: গোঁড়া নই, তবে সাবধানী। বেড়াল পথ কাটলে সেই পথ দিয়ে যাব না, তা নয়। কিন্তু কেউ যদি অন্য পথ দেখায়, তবে সেই রাস্তা ধরব। আমার লাকি নম্বর ৫। জন্মদিন ১৪ ডিসেম্বর, সংখ্যা দু’টি যোগ করলেও হয় ৫। পাঁচ নম্বরটা জীবনে অনেক বারই ভাল ফল দিয়েছে (হাসি)।
প্র: এখন কি বেছে কাজ করছেন?
উ: একটা সময় ছিল, যখন শুধু কাজ করে যেতাম। চিন্তাভাবনা কম করতাম। সেই সময়টা আর নেই। ব্যক্তিগত জীবনে আমার একটা দায়িত্ব আছে। ব্যক্তিগত আর পেশাদার জীবনের মধ্যে ব্যক্তিজীবনকে আমি একটু বেশি প্রাধান্য দিই। এমন শো বা চরিত্র করতে চাই, যার দায় পুরোপুরি নিতে হবে না। মাসে ৩০ দিন কাজ করার মতো অবস্থায় আমি আর নেই। এমন কিছু করি না যাতে আমার মেয়ে অবহেলিত বোধ করে। যখনই ব্রেক নিই, পুরো সময়টা মেয়েকেই (সামাইরা) দিই।
প্র: সিঙ্গল পেরেন্টিং কি কঠিন?
উ: আমার কাছে এটা কোনও চাকরি নয়। মা-বাবা এবং বোন আমাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করেন। মা-বাবা শুধুমাত্র আমার আর সামাইরার জন্য জয়পুর থেকে মুম্বইয়ে শিফট করেছেন, যাতে আমি বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারি। টাকা রোজগার আমাকে করতেই হবে। আই অ্যাম দ্য ম্যান অব দ্য হাউস। সিঙ্গল পেরেন্টিংয়ে দায়িত্ব দ্বিগুণ। ভালবাসাটাও কিন্তু দ্বিগুণ পাওয়া যায়। সেখানে কোনও ভাগাভাগি নেই।
প্র: কুসংস্কারে ভরা শো দেখতে দেখতে দর্শক ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন?
উ: সাদা-কালো ছবির যুগে কিন্তু কুসংস্কার, ভূতের ছবি বানানো হতো। শ্রীদেবীর ‘নাগিনা’ও সাপদেরই গল্প। তখন এগুলো খুব চলত। সেই সময়ে এত আলোচনাও হতো না। আমাদের পছন্দও তো পাল্টায়। কু়ড়ি বছর বয়সে আমি লাউড মিউজ়িক পছন্দ করতাম। এখন সুফি ভাল লাগে। আমাদের চেহারাও পাল্টে যায়। তা হলে শোয়ের ধারা কেন বদলাবে না? দর্শকের কাছে অনেক বিকল্প। তাঁরা নিজেরাই বেছে নিন, কী দেখবেন।
প্র: দীর্ঘ কর্মজীবনে কোনও গসিপ বা বিতর্কে আপনার নাম জড়ায়নি...
উ: আমি কর্মে বিশ্বাস করি। কোনও দিন কারও কাজ ছিনিয়ে নিইনি। কাউকে জেনেশুনে আঘাত করিনি। আমার ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা তখনই বাইরে আসে, যখন অন্য জন (শচিন শ্রফ) সেটা অবাঞ্ছিত ভাবে লোকজনের সামনে তুলে ধরে। ‘বিগ বস’-এর মতো ঘরে থেকেও, যাকে আমি কয়লার খনি ভাবি, আমার নামে কোনও রটনা হয়নি। নিজের ইমেজ বজায় রেখে ১৪ সপ্তাহ ওই বাড়িতে কাটানো কঠিন কাজ ছিল।
প্র: আবার সম্পর্কে জড়াবেন?
উ: এত তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে মন্তব্য করব না। ভাইরাল ফিভার হলেও তার কড়া স্বাদ অনেক দিন পর্যন্ত থাকে। আর এটা তো ন’বছরের বিয়ে! ডিভোর্স আমাকে আগের চেয়ে অনেক পরিণত করেছে। এই মুহূর্তে আমার জীবন আমার মেয়েকে ঘিরে। পরে কী হবে জানি না। সারা জীবন একা কে থাকতে চায়? আর আমি তো প্রচণ্ড রোম্যান্টিক!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy