প্র: দীপাবলিতে নতুন বই প্রকাশ পাবে। একটু কি আভাস দেবেন বিষয়বস্তু নিয়ে?
উ: না, অগস্টের আগে বই নিয়ে কথা বলব না। প্রকাশনা সংস্থা বদলেছি। একটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে প্রথম ভারতীয় লেখক হিসেবে কাজ করব। অনেক বড় দায়িত্ব!
প্র: আপনার সব বইয়ের শীর্ষনামে একটি সংখ্যা থাকবেই...
উ: ওটা আমার ট্রেডমার্ক হয়ে গিয়েছে। পরের বইও তার ব্যতিক্রম নয়। আসলে আমার ব্যাকগ্রাউন্ড তো আলাদা। ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিএ, তার পর ব্যাঙ্কের চাকরি... সবের সঙ্গেই সংখ্যা জড়িয়ে।
প্র: বেস্টসেলার হলেই কি লেখক হিসেবে দায়িত্ব ফুরিয়ে যায়?
উ: দেখুন, কত বই বিক্রি হচ্ছে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি তো জামাকাপড় বা খাবার সেল করছি না। লেখক হিসেবে চাইব, যত বেশি সংখ্যক মানুষের মন ছুঁতে পারে আমার লেখা। আর যখন এত বেশি সংখ্যায় আমার বই বিক্রি হয়, তার মানে কোথাও না কোথাও সেটা পাঠকের জীবনকে প্রভাবিত করে।
প্র: রাসকিন বন্ড এক বার বলেছিলেন, লেখার মধ্য দিয়ে লেখককে চিনতে হয়। তাঁদের বেশি দেখা গেলে ব্যাপারটা ভাল নয়। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টাই সত্যি...
উ: উনি অন্য প্রজন্মের। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি। এই প্রজন্মে বিষয়বস্তুর চাপে আমরা প্রায় চাপা পড়ে গিয়েছি। তাই শুধু ভাল লিখলেই হবে না। নজরে থাকাটাও জরুরি। তবে অনেকেই সেই পথে হাঁটেন না। আমার ব্যাপারটা বিশেষ খারাপ লাগে না (ক্যামেরার দিকে ইশারা করে)!
প্র: এই প্রজন্মের তরুণদের সবচেয়ে বড় সঙ্কট কী?
উ: আমার মতে ভাল চাকরি পাওয়া। এই বিশাল সংখ্যক যুবপ্রজন্মের জন্য সঠিক সুযোগ করে দেওয়াও সহজ কাজ নয়।
প্র: এই মুহূর্তে দেশে যা হচ্ছে, লেখক হিসেবে নিজেকে নিরাপদ মনে করেন?
উ: সোশ্যাল মিডিয়া বিদ্বেষ ছড়ায়। মানুষের মনেও ভয় আছে। আমি একেবারে নিরাপদ নই, এমনটা ভাবি না। তবে আমার মনে হয়, অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
প্র: আপনি তো ট্রোলারদের সহজ নিশানা...
উ: দেখুন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে যদি মন্তব্য করি, সকলের সেটা পছন্দ হবে না। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাজ সত্যি বলা, মানুষের প্রিয় হওয়া তো নয়। আমি সেই কাজটাই করি।
প্র: ছেলেরা কি লেখক হতে চায় না কি আইআইটিয়ান?
উ: এখন কোনওটাই নয়। ওরা মাত্র তেরো। আমি চাই না, আমার ক্লোন হিসেবে ওরা বেড়ে উঠুক।
প্র: নেশা আছে কোনও?
উ: খুব জিমের নেশা হয়েছে।
প্র: হঠাৎ জিম কেন?
উ: বয়স হচ্ছে তো! শরীরের খেয়াল রাখতেই হবে।
প্র: আপনি কি চান আপনার বায়োপিক হোক?
উ: অভি তো পিকচার বাকি হ্যায় (হাসি)। আমার ইন্টারভ্যাল চলছে। ‘টু স্টেটস’ তো হয়েছে। মনে হয় না, আমার বায়োপিক নিয়ে আগ্রহ তৈরি হবে।
প্র: কেন?
উ: আরে, সঞ্জয় দত্তের বায়োপিকের টিজ়ার দেখেছেন তো? বলছে, ৩০৮ জন প্রেমিকা ছিল। আমার তো নেই। ওটা দেখার পর আর কি কেউ আমার বায়োপিক দেখতে চাইবেন?
প্র: আত্মজীবনী লিখবেন?
উ: হয়তো। ওটা আমার শেষ বই হবে।
প্র: শীর্ষনাম ভেবেছেন কিছু?
উ: এখনও না। একটা সংখ্যা থাকবেই (হাসি)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy