ভিকির সঙ্গে আদিত্য
কারও পদবি ‘ধর’ শুনলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয়, সে বাঙালি। ‘উরি’র পরিচালক আদিত্য ধরকে প্রশ্নটা করতে জানালেন, তিনি কাশ্মীরি। ‘‘বাঙালিদের মধ্যেও এই পদবিটা আছে বুঝি? জানতাম না! তবে আমার মধ্যে কিন্তু বাঙালি প্রভাব আছে। আমার মা ক্লাসিক্যাল শিল্পী। ওঁর গুরুজি বাঙালি। কলকাতায় অনেক বার গিয়েছি। অমৃতসর আর কলকাতা এই দুটো শহরেই তো সবচেয়ে ভাল খাবার পাওয়া যায়।’’
কাশ্মীরি বলেই কি ‘উরি’র মতো বিষয় বাছলেন? ‘‘বলতে পারেন। আমি দিল্লিতে বড় হলেও কাশ্মীরের পরিস্থিতিটা জানি। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কী ভাবে নিজেদের জায়গা ছেড়ে চলে যাচ্ছে, ওখানে সন্ত্রাসবাদ কী ভাবে থাবা বসিয়েছে... তা ছাড়া আর্মি নিয়েও আমার আগ্রহ ছিল। একটা সময়ে ভেবেছিলাম আর্মি জয়েন করব। এই সব কিছুর ছাপ রয়েছে আমার ছবিতে,’’ বক্তব্য আদিত্যর।
বিধু বিনোদ চোপড়া, প্রিয়দর্শনকে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। জানালেন, তাঁর ডেবিউ করার কথা ছিল ‘রাত বাকি’ নামে একটি ছবি দিয়ে। যেখানে ফওয়াদ খান এবং ক্যাটরিনা কাইফের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু তখনই পাকিস্তানি অভিনেতাদের নিষিদ্ধ করা হয় এ দেশে। ফলে সে ছবি আর করা হয়নি আদিত্যর। ‘‘তার পরেই সার্জিকাল স্ট্রাইকের ঘটনাটি ঘটে। ওটা আমার উপর খুব বড় ছাপ ফেলেছিল,’’ বলছিলেন পরিচালক।
‘মাসান’ দেখে ভিকি কৌশলকে ভাল লেগেছিল আদিত্যর। ‘‘এই ছবিটার জন্য আমি ভিকি ছাড়া আর কারও কথা ভাবতেই পারিনি। খুব কম অভিনেতা আমার মতো নতুন পরিচালককে ছ’মাস ট্রেনিং এবং তিন মাস শুটিংয়ের জন্য দিত।’’
প্রথম ছবি মুক্তির আগে নার্ভাস লাগছে? ‘‘না। যদি জানতাম আমি কোনও ত্রুটি রেখেছি, তা হলে নার্ভাস হতাম। নিজেদের সবটা উজাড় করে ছবিটা করেছি। এর চেয়ে ভাল করা সম্ভব ছিল না,’’ প্রত্যয়ী গলায় বললেন আদিত্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy