সায়নী
প্র: দামিনী রিজ়ভি রায়ের (‘ফোর মোর শটস প্লিজ়!’ সিরিজ়ে সায়নীর চরিত্র) সঙ্গে বাস্তবে আপনার মিল কতখানি?
উ: বেশ কিছুটা মিল রয়েছে। কারণ দামিনীর মতো আমারও যে কোনও বিষয়ে মতামত বেশ জোরালো। আর আমিও পারফেকশনিস্ট। ‘ফোর মোর শটস প্লিজ়!’-এর আগের সিজ়নের চেয়ে দামিনী অনেক বেশি পরিণত এই সিজ়নে। আসলে সব সিকুয়েলের ক্ষেত্রেই ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার, ইমপ্রুভ করার একটা সুযোগ থাকে। ‘ইনসাইড এজ’-এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। দর্শক থেকে নির্মাতা, সকলেই জানতেন পরের সিজ়নটা বেশি ভাল হয়েছিল। ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এই সুযোগটা পাই না আমরা।
প্র: এই সিরিজ়ের সহকর্মীরা তো পরস্পরের বন্ধু হয়ে গিয়েছেন...
উ: একেবারেই। আর সেই বন্ধুদের সঙ্গেই বারবার কাজের সুযোগ পাওয়াটাও আনন্দের বিষয়। বাণী (জে) যেমন সব ব্যাপারেই খুব চিলড আউট। কীর্তি (কুলহারি) আবার সর্টেড, গোছানো। তবে মানবীর (গাগরু) সঙ্গেই আমার সবচেয়ে বেশি জমে। সিজ়ন টু-এর জন্য আমরা দারুণ সব লোকেশনে শুট করেছি। অনেক দিন একসঙ্গে কাটানোর ফলে মানুষ হিসেবেও একে অন্যকে আরও বেশি করে চিনেছি।
প্র: বলিউড সব সময়েই আপনাকে অন্য ধরনের চরিত্র অফার করেছে। ভাল অভিনেতাদের কি এখনও পার্শ্বচরিত্র হয়েই থাকতে হয়?
উ: ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম কিংবা প্যারালাল ঘরানার ছবিতে কিন্তু আমি বরাবরই প্রধান চরিত্রের অফার পেয়ে এসেছি। কারণ সেই ধরনের ছবিতে লিড রোল পেতে গেলে অভিনয়টা জানলেই চলে। কিন্তু কমার্শিয়াল ছবিতে আরও অনেক ফ্যাক্টর দরকার। সেখানে প্রথমেই স্টার খোঁজা হয়। সেখানে এমন অভিনেতাদের দরকার, যাঁদের ব্যাকিং রয়েছে। তবে এখন এই ধারণাটা অনেকটাই ভেঙেছে বলিউড। সময়ের সঙ্গেই এই বদলগুলো আসে। এখন আমারও একটা নিজস্ব ফ্যানবেস তৈরি হয়েছে ধীরে ধীরে। মানুষ আগের চেয়ে বেশি চেনেন আমায়, আমার কাজ ভালবাসেন।
প্র: ভার্সেটাইল বলেই আপনার টাইপকাস্ট হওয়ার ভয়ও নেই বোধহয়...
উ: টাইপকাস্ট হওয়া থেকে কী ভাবে বেরিয়ে আসা যায়, সেটার উদাহরণ হতে পারি আমি। কারণ আমার করা প্রায় প্রত্যেকটি চরিত্রই আলাদা ধরনের। ‘জগ্গা জাসুস’-এ যখন ১৪ বছরের বাচ্চার চরিত্র করেছি, পাশাপাশি ‘জলি এলএলবি টু’-এ অন্তঃসত্ত্বার ভূমিকায় অভিনয়ও করেছি। ‘আর্টিকল ফিফটিন’-এর দলিত মেয়েটিই কিন্তু ‘ফোর মোর শটস প্লিজ!’-এর দামিনী। কাজেই টাইপকাস্ট হওয়াটা আমার কেরিয়ারে কখনওই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি, টাচ উড!
প্র: এখন ওয়েবে তো চুটিয়ে কাজ করছেন। ব্রিটিশ ওয়েব সিরিজ় ‘দ্য গুড কর্মা হসপিটাল’-এ অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কী রকম ছিল?
উ: শ্রীলঙ্কায় তিন মাস ধরে শুটিং করেছিলাম। অসাধারণ একটা টিম! আমাকে অবশ্য সেই সময়েই মুম্বইয়েও যাতায়াত করতে হচ্ছিল, কারণ তখন ‘ইনসাইড এজ’ সিজ়ন টু-এরও শুটিং চলছিল। আমি যে অ্যাসিড অ্যাটাক সার্ভাইভারের চরিত্র করেছি, তার জন্য ১৭ ধাপে প্রস্থেটিক করা হয়েছিল আমার মুখে! সেটা করেছিলেন বাফটা পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকআপ জিনিয়াস ডেভি জোনস। অডিশনের সময়ে আমি বুঝতেই পারিনি যে, আমার ট্র্যাকটাই পরবর্তী কালে সিরিজ়ের অন্যতম মুখ্য অংশ হয়ে উঠবে। ওরা আমার জন্য বেশ কিছুটা অংশ পরে যোগ করেছিল স্ক্রিপ্টে।
প্র: আপনি সম্প্রতি একটি ইন্ডি-ছবি সহ-প্রযোজনা করলেন...
উ: হ্যাঁ... আমার মনের খুব কাছাকাছি ‘হোয়্যার দ্য উইন্ড ব্লোজ়’ ছবিটি। পুরো শুটিংটাই হয়েছিল হিমালয়ের কোলে। এ ছাড়া ‘অ্যাক্সন’ নামে আর একটি ইন্ডি-ছবিতে নেপালি মেয়ের চরিত্র করেছি। নানা ফেস্টিভ্যাল ছাড়াও এ ধরনের ছবিগুলোর জন্য এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কারণ থিয়েট্রিক্যাল রিলিজ়ে এই ছবিগুলো লাভের মুখ দেখে না। যদিও লকডাউনের জন্য এখন সব রিলিজ়ই আটকে।
প্র: লকডাউন কেমন কাটছে?
উ: আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমি জামাকাপড় ড্রাই করছিলাম (হাসি)! বাড়ি পরিষ্কার আর রান্না করেই কেটে যাচ্ছে লকডাউন। তবে বহু দিন পরে রেওয়াজ করার সময় পাচ্ছি এখন। ‘আর্টিকল ফিফটিন’-এ প্লেব্যাকের পরে নতুন করে গানবাজনায় মন দিয়েছি। আগে অনেক জায়গায় পারফর্ম করতাম। বাবা মিউজ়িশিয়ান ছিলেন, তাই চর্চাটা ছোট থেকেই ছিল।
প্র: কলকাতায় আসা হয়?
উ: মাকে দেখতে মাঝেমাঝে যাই। ‘হোমকামিং’ বলে একটা বাংলা ছবির জন্য গিয়েছিলাম কিছু দিন আগে। মুম্বই ফিরলাম আর লকডাউনও শুরু হল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy