ন্যানির কোলে চেপেও পোজ দিতে ভালবাসে খুদে। ছবি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
ছোট্ট একটা খুদে। গোলাপি রঙের ফুলকো গাল। চোখগুলোও ভারি মিষ্টি। দেখলেই মনে হবে কাছে টেনে নিই। তবে সে তো আর যে সে লোক নয়, সে নবাবই বটে। নাম তৈমুর। সইফ আলি খান ও করিনা কপূরের একমাত্র ছেলে। বাবা-মা নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান আকর্ষণযেন তৈমুর আলি খান। এক বার সে উঁকি দিলেই ছবিতে লাখো লাইকের বন্যা। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় তার ছবি। তাকে রীতিমতো ছোট্ট রাজপুত্তুরের ঢঙেই যত্ন-আত্তি করা হয় নিয়মিত। আদরের বন্যায় ভেসে সে বড় হচ্ছে, এমনটা বললে একটুও ভুল হবে না। তার দেখাশুনা করে এক জন ন্যানি।
ছোট্ট তৈমুরের সঙ্গে তিনিও কিন্তু প্রত্যেকের নজরেই। তৈমুরকে এক্কেবারে জন্মের পর থেকেই আগলে রাখেন তিনি। দেখভাল করেন। তবে তাঁর বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। রীতিমতো হিংসাও হতে পারে কর্পোরেট সংস্থার কর্মীদেরও।
কত বেতন পান তৈমুরের ন্যানি? সংবাদ সংস্থা বলছে, তাঁর মাসিক বেতন দেড় লক্ষের কাছাকাছি।
ন্যানির সঙ্গে তৈমুরকে প্রথম দেখা গিয়েছিল এই ভাবে। ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া ছবিটি।
ন্যানির নামে ফেন পেজও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আদরের তৈমুরের সঙ্গে মিডিয়ার নজরে রয়েছেন তিনি। কারণ ছোটে নবাবের ছোট্ট নবাব যে তাঁরই হাতে মানুষ হচ্ছেন। এই ন্যানি যদি ছোটে নবাব ও বেগম করিনার ছেলেকে একটু বেশি সময় দেন, তা হলে কিন্তু তাঁর চার্জ বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’ আসলে ‘পাইরেটস অব দি ক্যারিবিয়ান’-এর অক্ষম কপি!
দেড় লক্ষের বদলে সেই অঙ্কটা দাঁড়ায় মাসিক এক লক্ষ ৭৫ হাজারের কাছাকাছি। তৈমুর বিদেশ ভ্রমণে গেলে তিনিও সঙ্গে যান। তৈমুরকে নিয়ে বান্দ্রার আশপাশে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তাঁর জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থাও রয়েছে।
বিমানবন্দরে তৈমুর। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জুহুর একটি হাই প্রোফাইল সংস্থা থেকেই করিনা বেছে নিয়েছিলেন এই ন্যানিকে। এই সংস্থা থেকে সন্তানের দেখভালের ন্যানি পেয়েছেন তুষার কপূর ও সোহা আলি খানও।
আরও পড়ুন: আমি সুযোগ না দিলে আয়ুষকে অন্য কেউ সুযোগ দিত
এক বার তো তৈমুর হাত ছাড়িয়ে পালিয়েছিল এই ন্যানির! আসলে তৈমুরের প্রায় সব মুহূর্তই ফ্রেমবন্দি করতে চান পাপারাত্জিরা। বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় ন্যানির হাত ছেড়ে দৌড়তে শুরু করেছিল এই খুদে। তৈমুরকে আগলাতে এক্কেবারে মায়ের মতোই ছুটে আসেন ন্যানি।
খেলার সঙ্গী হিসাবে যে ন্যানিকে তার বেশ পছন্দ, তা বোঝা গিয়েছিল, তখনই। সইফ-করিনার ছেলে রীতিমতো ফোকাস কেড়ে নিতে জানে। কিন্তু তার ন্যানিও কিন্তু কম যান না। একবার তো তৈমুরের ছবি তোলার জন্য বিরক্ত করায় তিনি রীতিমতো ধমকও লাগিয়েছিলেন মিডিয়ার একাংশকে। ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়োটিও। তবে তাঁর মাসিক বেতনের অঙ্ক শুনে অনেকেই ভাবতে বসেছেন নিশ্চয়ই!
শাহরুখ, আমির, সলমান না অক্ষয়। কে করছেন বক্স অফিসে রাজ? দেখে নিন আমাদের বিনোদন বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy