Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Entertainment news

পেট চালাতে রেখা-অমিতাভের ব্যাগ বয়েছেন, পরে তাঁদেরই সহ-অভিনেতা হয়ে ওঠেন মিঠুন

অনেকের মতে, বলিউড এমন একটা ইন্ডাস্ট্রি যেখানে গডফাদার না থাকলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব। তবে গডফাদার ছাড়া নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একেবারে সামনের সারিতে পৌঁছে গিয়েছেন, তেমন নজির যে নেই তা নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৯:০০
Share: Save:
০১ ১৬
অনেকের মতে, বলিউড এমন একটা ইন্ডাস্ট্রি যেখানে গডফাদার না থাকলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব। তবে গডফাদার ছাড়া নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একেবারে সামনের সারিতে পৌঁছে গিয়েছেন, তেমন নজির যে নেই তা নয়।

অনেকের মতে, বলিউড এমন একটা ইন্ডাস্ট্রি যেখানে গডফাদার না থাকলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব। তবে গডফাদার ছাড়া নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একেবারে সামনের সারিতে পৌঁছে গিয়েছেন, তেমন নজির যে নেই তা নয়।

০২ ১৬
অমিতাভ বচ্চন, শাখরুখ খানই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। আরও এক কিংবদন্তি অভিনেতার নাম না নিলেই নয়। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতা থেকে পুণে উড়ে গিয়ে অভিনয় শিখেছিলেন মিঠুন।

অমিতাভ বচ্চন, শাখরুখ খানই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। আরও এক কিংবদন্তি অভিনেতার নাম না নিলেই নয়। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতা থেকে পুণে উড়ে গিয়ে অভিনয় শিখেছিলেন মিঠুন।

০৩ ১৬
ইচ্ছা ছিল বলিউডে কাজ পাওয়া। কিন্তু বিষয়টা যে কতটা কঠিন ছিল, সেটা ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই বুঝে গিয়েছিলেন। গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী থেকে মিঠুন চক্রবর্তী বা মিঠুনদা হয়ে ওঠা, তাঁর সেই কঠোর পরিশ্রমেরই ফল।

ইচ্ছা ছিল বলিউডে কাজ পাওয়া। কিন্তু বিষয়টা যে কতটা কঠিন ছিল, সেটা ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই বুঝে গিয়েছিলেন। গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী থেকে মিঠুন চক্রবর্তী বা মিঠুনদা হয়ে ওঠা, তাঁর সেই কঠোর পরিশ্রমেরই ফল।

০৪ ১৬
আজ অমিতাভ, রেখা-র মতো সুপার হিট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাম উচ্চারণ করা হয় মিঠুনেরও। কিন্তু অনেকেই জানেন না, একসময় অমিতাভ-রেখার স্পট বয়েরও কাজ করতে হয়েছিল তাঁকে! তাঁর কাজ ছিল অমিতাভ এবং রেখার ব্যাগ বয়ে নিয়ে যাওয়া।

আজ অমিতাভ, রেখা-র মতো সুপার হিট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাম উচ্চারণ করা হয় মিঠুনেরও। কিন্তু অনেকেই জানেন না, একসময় অমিতাভ-রেখার স্পট বয়েরও কাজ করতে হয়েছিল তাঁকে! তাঁর কাজ ছিল অমিতাভ এবং রেখার ব্যাগ বয়ে নিয়ে যাওয়া।

০৫ ১৬
তবে মিঠুনের ডেবিউ ফিল্মই কিন্তু সুপারহিট হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের ফিল্ম ‘মৃগয়া’। দারুণ সাফল্য পেয়েছিল ছবিটা। এর জন্য মিঠুন জাতীয় পুরস্কারও পান।

তবে মিঠুনের ডেবিউ ফিল্মই কিন্তু সুপারহিট হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের ফিল্ম ‘মৃগয়া’। দারুণ সাফল্য পেয়েছিল ছবিটা। এর জন্য মিঠুন জাতীয় পুরস্কারও পান।

০৬ ১৬
কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এই একটা ফিল্মই তাঁকে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠিয়ে দিয়েছিল। এর পর কয়েকটি ফিল্মে খুব ছোট কাজ পেয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এই একটা ফিল্মই তাঁকে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠিয়ে দিয়েছিল। এর পর কয়েকটি ফিল্মে খুব ছোট কাজ পেয়েছিলেন তিনি।

০৭ ১৬
সে সময় মিঠুনের হাতে টাকাপয়সাও বেশি ছিল না। তাই পেট চালানোর জন্য যা অফার পেতেন, সবেতেই রাজি হয়ে যেতেন।

সে সময় মিঠুনের হাতে টাকাপয়সাও বেশি ছিল না। তাই পেট চালানোর জন্য যা অফার পেতেন, সবেতেই রাজি হয়ে যেতেন।

০৮ ১৬
১৯৭৬ সালে সুপারস্টার অমিতাভ আর রেখার ফিল্ম আসে ‘দো অনজানে’। এই ফিল্মেও মিঠুন ২-৩ মিনিটের ছোট একটা রোলে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন।

১৯৭৬ সালে সুপারস্টার অমিতাভ আর রেখার ফিল্ম আসে ‘দো অনজানে’। এই ফিল্মেও মিঠুন ২-৩ মিনিটের ছোট একটা রোলে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন।

০৯ ১৬
তা ছাড়াও এই ফিল্মের শুটিংয়ে আরও একটি কাজ পেয়েছিলেন মিঠুন। ফিল্মের শুটিং চলাকালীন অমিতাভ এবং রেখার স্পট বয়ের কাজ।

তা ছাড়াও এই ফিল্মের শুটিংয়ে আরও একটি কাজ পেয়েছিলেন মিঠুন। ফিল্মের শুটিং চলাকালীন অমিতাভ এবং রেখার স্পট বয়ের কাজ।

১০ ১৬
তখন অমিতাভ যেখানেই যেতেন, মিঠুনকে তাঁর সঙ্গে যেতে হত। রেখার ক্ষেত্রেও তাই ছিল। রেখা নাকি মাঝেমধ্যেই শপিংয়ে যেতেন এবং ব্যাগ বয়ে নেওয়ার জন্য স্পট বয় মিঠুনকে নিয়ে যেতেন।

তখন অমিতাভ যেখানেই যেতেন, মিঠুনকে তাঁর সঙ্গে যেতে হত। রেখার ক্ষেত্রেও তাই ছিল। রেখা নাকি মাঝেমধ্যেই শপিংয়ে যেতেন এবং ব্যাগ বয়ে নেওয়ার জন্য স্পট বয় মিঠুনকে নিয়ে যেতেন।

১১ ১৬
কোনও কাজকেই ছোট করে দেখতেন না মিঠুন। এর পাশেই চলত তাঁর অভিনয়। ১৯৭৮ সালে তাঁর ফিল্ম ‘মেরা রক্ষক’ ফের সুপার হিট হয়।

কোনও কাজকেই ছোট করে দেখতেন না মিঠুন। এর পাশেই চলত তাঁর অভিনয়। ১৯৭৮ সালে তাঁর ফিল্ম ‘মেরা রক্ষক’ ফের সুপার হিট হয়।

১২ ১৬
অভিনয়ের পাশাপাশি মিঠুনের আরও একটা গুণ ছিল। নাচেও পারদর্শী ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালের ‘ডিস্কো ডান্সার’ ফিল্ম তাঁকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেয়। ভারতের বাইরে বিদেশে, বিশেষ করে রাশিয়াতেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

অভিনয়ের পাশাপাশি মিঠুনের আরও একটা গুণ ছিল। নাচেও পারদর্শী ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালের ‘ডিস্কো ডান্সার’ ফিল্ম তাঁকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেয়। ভারতের বাইরে বিদেশে, বিশেষ করে রাশিয়াতেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

১৩ ১৬
একসময়ে অমিতাভ এবং রেখার স্পট বয় মিঠুন তাঁদেরই সহ-অভিনেতা হয়ে ওঠেন। ১৯৯০ সালের ফিল্ম ‘অগ্নিপথ’-এ অমিতাভের সহ-অভিনেতা ছিলেন মিঠুন। আর কেরিয়ারে রেখার সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

একসময়ে অমিতাভ এবং রেখার স্পট বয় মিঠুন তাঁদেরই সহ-অভিনেতা হয়ে ওঠেন। ১৯৯০ সালের ফিল্ম ‘অগ্নিপথ’-এ অমিতাভের সহ-অভিনেতা ছিলেন মিঠুন। আর কেরিয়ারে রেখার সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

১৪ ১৬
বলিউডের পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও সমান ভাবে জনপ্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৭৮ সালে অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘নদী থেকে সাগরে’ ফিল্ম দিয়ে তাঁর বাণিজ্যিক বাংলা সিনেমায় হাতেখড়ি। বক্স অফিসে দুর্দান্ত ফল করেছিল ফিল্মটি।

বলিউডের পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও সমান ভাবে জনপ্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৭৮ সালে অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘নদী থেকে সাগরে’ ফিল্ম দিয়ে তাঁর বাণিজ্যিক বাংলা সিনেমায় হাতেখড়ি। বক্স অফিসে দুর্দান্ত ফল করেছিল ফিল্মটি।

১৫ ১৬
এর পর বাংলায় ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’, ‘ত্রয়ী’ এবং ‘অন্যায় অবিচার’- পর পর তিনটি ব্লকবাস্টার ফিল্ম করেন মিঠুন।

এর পর বাংলায় ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’, ‘ত্রয়ী’ এবং ‘অন্যায় অবিচার’- পর পর তিনটি ব্লকবাস্টার ফিল্ম করেন মিঠুন।

১৬ ১৬
একটা সময়ের পর বলিউডের থেকেও বাংলা সিনেমা করতে বেশি আগ্রহী ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও তেলুগু এবং তামিল ফিল্মেও অভিনয় করেছেন তিনি।

একটা সময়ের পর বলিউডের থেকেও বাংলা সিনেমা করতে বেশি আগ্রহী ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও তেলুগু এবং তামিল ফিল্মেও অভিনয় করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy