Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Puja Release 2024

‘খুব জোরালো রাজনৈতিক বক্তব্য আছড়ে পড়তে চলেছে পর্দায়’, ‘বহুরূপী’ দেখে বললেন কৌশিক

"এই পুজোয় আমার গর্ব যে, উৎসবের বাজারে বাংলার ছবি নির্মাতা এ রকম একটা বিষয় বেছে নেওয়ার দম দেখালেন", নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ছবি প্রসঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।

Image Of Shiboprosad Mukherjee, Koushani Mukherjee, Kaushik Ganguly

(বাঁ দিকে) ‘বহুরূপী’ ছবিতে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্য়ায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ২০:০২
Share: Save:

কেন দেখবেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘বহুরূপী’? যাঁরা পরিচালক জুটির ছবি সম্পর্কে ততটাও ওয়াকিবহাল নন তাঁরা প্রশ্ন তুলতেই পারেন। ৮ অক্টোবর, পঞ্চমীতে ছবিমুক্তি। তার আগে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রশ্নের জবাব দিলেন। তাঁর দাবি, “যাঁরা জীবনে সিস্টেমের কাছে ঠকেছেন, তাঁরা দল বেঁধে গিয়ে এই ছবি দেখুন। টিকিট কেটে ফেলুন, তবে সপরিবারে। ভালবাসার ডাকাত অজান্তে মন চুরি করে নেবে, কথা দিচ্ছি।”

ইতিমধ্যেই শহরের প্রথম সারির একাধিক পরিচালক, প্রযোজক ছবিটি দেখে ফেলেছেন। কৌশিক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। পরিচালক-অভিনেতার আগাম ছবি দেখার নেপথ্য কারণ, ছবিমুক্তি-তে তিনি থাকতে পারবেন না। ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবির জন্য পুরস্কার নিতে দিল্লিতে থাকবেন তিনি। কৌশিকও অন্যান্যদের মতো নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ছবি দেখতে ভালবাসেন। তাই দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপ তাঁর মনখারাপ করে দিয়েছিল। তখনই মুশকিল আসান প্রযোজনা সংস্থা। তারা আলাদা ভাবে তাঁকে ছবিটি দেখান। ছবি দেখে পরিচালকের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, “এ বারের পুজোর মেজাজ একটু আলাদা । সময়োপযোগী এ রকম একটা তীব্র ছবি অনেক দিন দেখিনি। এই পুজোয় আমার গর্ব যে, উৎসবের বাজারে বাংলার ছবি নির্মাতা এ রকম একটা বিষয় বেছে নেওয়ার দম দেখালেন। আনন্দ হচ্ছে, দর্শক এ রকম ছবি দেখার সুযোগ পাবেন।”

আর কী কী কারণে ছবিটি দেখবেন দর্শক? কৌশিকের মতে, “যেমন চিত্রনাট্য,অভিনয়, তেমনই পরিচালনা ও সম্পাদনা। তবে মনে খোদাই হয়ে গেল এই ছবির গান ও আবহসঙ্গীত। বনি চক্রবর্তীর টিমকে 'সেঞ্চুরিটা হামি' দিলাম।” এটা যদি সিনেম্যাটিক কারণ হয় তা হলে মানবিক কিছু কারণও তাঁর কাছে রয়েছে। তাঁর দাবি, অনুভূতি আর থ্রিলারের এত ভাল মিশ্রণ তিনি আর দেখেননি। সেই জায়গা থেকে কৌশিকের তরফে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, “যাঁরা ইমোশনাল দর্শক রুমাল মাস্ট, যাঁরা দুশ্চিন্তায় ঘাবড়ে যান তাঁরা একা যাবেন না।”

বিরতিহীন একটানা ছবি দেখে পরিচালক তৃপ্ত। তাঁর মনে হয়েছে, “নন্দিতাদির ও শিবুর এই ছবি দেখে এটুকু বুঝে গিয়েছি, এটা ‘রক্তবীজ’-এর বাপ। বাংলা সিনেমা বাংলার মাটিকে নিয়ে মৌলিক গল্প বাঁধবে, এটাই সবথেকে গর্বের পথ। এই পথ বারবার নানা স্বাদের ছবিতে উইন্ডোজ় দর্শককে মুগ্ধ করেছে। কেবল গল্প বলা নয়, সামাজিক মূল্যবোধ ও প্রতিবাদ বিনোদনের মোড়কে প্রত্যেক বার ফুটে উঠেছে! এ বার তা ১০ গুণ বেশি! খুব কড়া রাজনৈতিক বক্তব্য আছড়ে পড়তে চলেছে পর্দায়।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy