Advertisement
০৭ অক্টোবর ২০২৪
Puja Release 2024

‘প্রজাপতি’র পর ‘শাস্ত্রী’! আবারও সরকারি প্রেক্ষাগৃহ নন্দনে ব্রাত্য মিঠুন?

“কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে বিনোদন দুনিয়ার সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। তার পরেও নন্দন, রাধার মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে নাকি জায়গা নেই মিঠুন চক্রবর্তীর!” প্রশ্ন পথিকৃতের।

Image Of Pathikrit Basu, Mithun Chakraborty

‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিং ফ্লোরে পথিকৃৎ বসুর সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৩৫
Share: Save:

‘প্রজাপতি’র পর ‘শাস্ত্রী’। এই নিয়ে দু’বার সরকারি প্রেক্ষাগৃহে ব্রাত্য মিঠুন চক্রবর্তী। এ বছর পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে পথিকৃৎ বসু পরিচালিত এই ছবি। খবর, এ বারেও নাকি নন্দন, রাধায় জায়গা পাননি তিনি। কেন তাঁর ছবির সঙ্গেই বর্তমান রাজ্য সরকারের এই আচরণ? তিনি বিরোধী দলের বলেই কি এই বৈরিতা? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে নন্দনের কর্তৃপক্ষের তরফে শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “এই বিষয়ে আমি এখন কোনও কথা বলব না।” এই প্রসঙ্গে শাসকদলের বিধায়ক-প্রযোজক-পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনিও নন্দনে ছবি প্রদর্শনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ফলে, তাঁর পক্ষে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

রাজনীতির ছায়া বিনোদন দুনিয়ায় কখনও পড়বে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শাসকদলের সমস্ত সাংসদ-বিধায়ক বরাবর এ কথা বলে এসেছেন। সেই জায়গা থেকেই অতনু রায়চৌধুরীর ছবি ‘প্রজাপতি’তে মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দেব। অভিজিৎ সেন পরিচালিত ছবিটি কলকাতার প্রথম সারির সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে চলেছিল। কেবল জায়গা পায়নি নন্দন, রাধাতে। এই নিয়ে সেই সময়েই বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু কেউই সঠিক কারণ দেখাতে পারেননি। একই ঘটনা দ্বিতীয় বার ঘটায় ক্ষুব্ধ মিঠুনের ছবির পরিচালক। খবর জানার পর পথিকৃৎ তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে বিনোদন দুনিয়ার সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। তার পরেও নন্দন, রাধার মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে নাকি জায়গা নেই মিঠুন চক্রবর্তীর! ভাবতে পারছি না।” অথচ এই ছবিতে শাসদকদলের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী রয়েছেন। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবির প্রযোজকও! অর্থাৎ, ‘প্রজাপতি’ ছবিমুক্তির সময় যা ঘটেছিল তারই পুনরাবৃত্তি মিঠুনের পুজোর ছবির ক্ষেত্রেও।

অন্য দিকে টলিউডে কান পাতলে এমনও শোনা যাচ্ছে, উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার ‘বহুরূপী’ বা দেবের ‘টেক্কা’ শহরে যত সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহ পেয়েছে সমসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহ নাকি দেওয়া হয়নি মিঠুন চক্রবর্তী-দেবশ্রী রায়ের এই ছবিকে। শাসকদলের প্রাক্তন সাংসদ বর্তমানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সুনজরে নেই, এ কথাও কারও অজানা নয়। সেই জায়গা থেকেই কি ‘বাংলার ছেলে’র সঙ্গে এই আচরণ? সঠিক জবাব নেই কারও কাছে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE