(বাঁ দিকে) আবীর চট্টোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্য়ায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা। ভাল সঞ্চালক। নাচতে পারেন? এই প্রশ্ন উঠলে একবাক্যে তাঁর অনুরাগীরা বলবেন, কোনও দিন পর্দায় তাঁকে নাচের দৃশ্যে দেখা যায়নি। অর্থাৎ, তিনি সম্ভবত এই বিষয়ে অনায়াস নন। রবিবারের সন্ধ্যা সেই হিসেবও বদলে দিল। ওই দিন তিনি বাইপাস সংলগ্ন একটি পুজোমণ্ডপে নেচে মাতিয়ে দিলেন! স্বীকারও করলেন, “পর্দায় কেউ আমায় নাচতে দেখেননি। কারণ, নাচতে পারি না। উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার পুজোর ছবি ‘বহুরূপী’ সেটাও আমায় দিয়ে করিয়ে নিল!”
পঞ্চমীতে নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এ বারের পুজোর ছবি মুক্তি পাবে। ছবিতে নানা স্বাদের গান। তারই মুক্তি ঘটল বাইপাসের দুর্গাবাড়ি পুজোমণ্ডপে। রবিবারের সন্ধ্যায় সেখানে উপচে পড়া ভিড়। নির্দিষ্ট সময়ে নন্দিতা-শিবপ্রসাদ, প্রদীপ ভট্টাচার্য, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, ননীচোরা দাস বাউল, বনি চক্রবর্তী, শ্রেষ্ঠা দাস উপস্থিত। মঞ্চে প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা উঠতেই দর্শকের মুখে-চোখে খুশির ঝিলিক। আরজে রয়ের সঙ্গে সুচারু সঞ্চালনায় শিবপ্রসাদ প্রত্যেকটি গানের নেপথ্য গল্প শোনান উপস্থিত দর্শকদের। সাদা সিক্যুইন শাড়িতে নায়কের পাশে কৌশানী হাসিমুখে। জানালেন, নয় বছর ধরে প্রতীক্ষার পরে পুজোয় আবার তাঁর ছবি মুক্তি পাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে শিবপ্রসাদের দাবি, “আমি তো পুজোর ছবিমুক্তির জন্য ৩০ বছর অপেক্ষা করে ফেললাম!”
মঞ্চে ছিলেন শিলাজিৎ মজুমদার, অনুপম রায়। শিলাজিতের গানটিই কেবল মুক্তি পায়নি এত দিনেও। কেন? সে রহস্য এ দিন ফাঁস। শিবপ্রসাদের দাবি, টান টান গল্পের অনেকটা জুড়ে এই গান। তাই সকলের সম্মতিতে পর্দার জন্য তুলে রাখা হয়েছে গানটি। যাঁরা গায়কের গান শুনতে উদ্গ্রীব তাঁদের প্রেক্ষাগৃহে যেতেই হবে। যদিও উপস্থিত শ্রোতাদের একেবারে নিরাশ করেননি তিনি। শিলাজিৎ গানের দু’কলি খালি গলায় গেয়ে শুনিয়েছেন। একই ভাবে অনুপম জানিয়েছেন, গান তৈরির আগে নন্দিতার অনুরোধ ছিল, গানটি যেন ইমন রাগের উপরে তৈরি হয়। সেই অনুরোধ মেনে গীতিকার-সুরকার-গায়ক ‘আজ সারা বেলা’ গানের কিছু অংশ গেয়ে শোনান।
অনুষ্ঠানের মেজাজ পুরো বদলে যায় আবীর পা রাখতেই। হালকা গোলাপি সিক্যুইনের পাঞ্জাবিতে নায়ককে দেখে মণ্ডপের বাইরে ফিসফাস। এক দল অনুরাগিণীর অস্ফুট গুঞ্জন, “কী দারুণ দেখাচ্ছে!” অভিনেতার কানে সে কথা পৌঁছোতেই ফিরে তাকিয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে গুঞ্জন উচ্ছ্বাসে রূপান্তরিত। মন্তব্যকারিণীর দাবি, “রাতের ঘুম উড়ল।” একে একে সমস্ত গান দর্শকদের সামনে শোনানোর পালা শেষ। দলের প্রত্যেককে নিয়ে শিবপ্রসাদ ধুনুচি নিয়ে নাচ শুরু করতেই পুজোর আবহ দুর্গাবাড়ির পুজোমণ্ডপের আনাচকানাচে। উৎসাহিত দর্শকেরা মঞ্চের কাছাকাছি। কেউ ধুতি, কেউ শাড়ি সামলে গা ভাসিয়েছেন বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy