Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rahool-Federation Conflict

রাজ্যে বিনোদন শিল্প বলে কিছু থাকবে না! রাহুল-ফেডারেশন বিতর্কের মাঝে শঙ্কা প্রসেনজিৎ-দেব-রাজদের পোস্টে

সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট ভাগ করে নিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, রাজ চক্রবর্তী-সহ অনেকে। রাহুলকে ঘিরে তৈরি হওয়া টালবাহানার সমাধান খুঁজতেই এই পোস্ট।

Dev, Prosenjit Chatterjee, Raj Chakraborty shared a post to find a solution amid Rahool Mukherjee and federation conflict

(বাঁ দিক থেকে) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, রাজ চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৬:৩৭
Share: Save:

রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না, তা নিয়ে তরজা চলছে টালিগঞ্জে। পরিচালক ও ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব মিটছেই না। এ দিকে শনিবার সেটে রাহুল মুখোপাধ্যায় উপস্থিত থাকায় টেকনিশিয়ানেরা কাজ করেননি। বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন টলিপাড়ার পরিচালকেরা। তাঁরাও প্রশ্ন তুলেছেন, পরিচালকেরা যদি কাজ বন্ধ করে দেন তা হলে, কোনও কাজ এগোবে তো? এর মধ্যেই সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, রাজ চক্রবর্তী-সহ অনেকে। রাহুলকে ঘিরে তৈরি হওয়া টালবাহানায় সমাধান খুঁজতেই এই পোস্ট।

পোস্টে বেশ কিছু সমাধান সূত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত বলা হয়েছে, “আজ সকালে টেকনিশিয়ান স্টুডিওয় বাংলা ছবি, টেলিভিশনের পরিচালকেরা ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সামনে কিছু প্রশ্ন রেখেছে। বহু দিন ধরেই রাখছে, আজ ভঙ্গিটা আন্দোলনের। তার একটি বা অনেক কারণ রয়েছে। এই আন্দোলনের গোড়ায়, আগায়, সামনে, পিছনে, ডান দিক, বাঁ দিক, কোথাও সিনিয়র, জুনিয়র-সহ সমস্ত রকমের টেকনিশিয়ান, সিনে-শ্রমিকদের স্বার্থহানির এক ফোঁটা উদ্দেশ্য নেই। বিষয় সেটা নয়ই। বিষয় হল নীতির।”

এই বিষয়টির মধ্যে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাও নেই দাবি করে পোস্টে বলা হচ্ছে, “বিষয়টা একই পরিবারের। পরিবারটি বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি।” তাই এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দিক নেই। ‘আমরা-ওরা’ নেই। বিষয়টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে এলে আর সমাধানের পথ পাওয়া যাবে না বলে মত পোস্টদাতা পরিচালক ও অভিনেতাদের। এর ফলে বিপদ বাড়তে থাকে গোটা ইন্ডাস্ট্রির।

পোস্টে আরও বলা হচ্ছে, “পরিবারের কারও শরীর খারাপ হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করাতে বলেন। নীতি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তা হলে সকলে বসে সেই পরীক্ষাগুলি করেই নেওয়া উচিত। যদি সত্যিই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে হয়, তা হলে সবার মতামত নিয়েই চলতে হয়।” পরিচালক, অভিনেতা থেকে শুরু করে যিনি আলো নিয়ে কাজ করেন, প্রত্যেকের মতামত জরুরি বলে দাবি করা হয়েছে এই পোস্টে।

পোস্টটি অতনু ঘোষ, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, দেবালয় ভট্টাচার্যেরাও ভাগ করেছেন তাঁদের সমাজমাধ্যমের পাতায়। তাই ধরে নেওয়াই যায়, এই পোস্টের সঙ্গে তাঁরাও সহমত। পোস্টে লেখা হয়েছে, “বাংলা ছবির স্বাস্থ্য ভাল নয়, এটা কোনও ধারণা নয়, বাস্তব সমস্যা, তাই এর সমাধানও কোনও ধারণা দিয়ে হবে না। বাস্তব সমাধান দিয়েই করতে হবে। সেখানে ক্ষমতার লাফালাফি দেখালে হবে না, ভোট গুনলে হবে না। এটা রাজনৈতিক সমস্যা নয়, রাজনৈতিক কায়দায় এই সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যা বিনোদন শিল্পীদের, তাঁদের কাজের পরিবেশের, তাঁদের সম্মানের। তাঁদের মানে সকলের কথা বলা হচ্ছে। যিনি মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন, এবং তাঁর জন্য যিনি জল-খাবার দেন,তাঁরও।”

আরও বলা হয়, “ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের জেরে গোটা ইন্ডাস্ট্রি যে ভাবে এক বড় আসন্ন বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা নানা রকম ঘটনা দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া যায়। বাইরের বিজ্ঞাপন না আসা, বাইরের ছবির কাজ না আসা। এ সবেরই পথ সরু হতে হতে বন্ধ হতে চলেছে। আজকের বেশি টাকা কাল যদি শেষ হয়ে যায়, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে বিনোদন শিল্প বলে আর কিছু থাকবে না। এটা রকেট সায়েন্স নয়, কঠিন অঙ্ক নয়। একটু মাথা খাটালেই বোঝা যাবে।” পোস্টের শেষে শঙ্কাপ্রকাশ করে বলা হয়েছে, “এই ভাবে চলতে থাকলে, ৮০ সালের পর আবার সেই দিন আসবে, যখন নতুন এসি স্টুডিয়োগুলো ফের গুদাম হয়ে যাওয়া ছাড়া আর পথ থাকবে না।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy