‘কিশমিশ’-এ দেব অধিকারীর বিপরীতে দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম ছবিতেই ছক্কা! ‘কিশমিশ’-এ দেব অধিকারীর বিপরীতে দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। পর্দায় দেব কতটা ভাল, তা তাঁর ভক্ত মাত্রেই জানেন। বাস্তবে প্রেমিক হিসাবে কেমন? ফাঁস করলেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে
প্রশ্ন: সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে ছবি ভাগ করছেন দেব! ভাবা যায়?
দেবচন্দ্রিমা: (হেসে) প্রথম ছবিতেই দেবদার বিপরীতে। আমি প্রচণ্ড উত্তেজিত। এত বড় সুযোগ পেয়ে। আশা করছি, দর্শকদেরও ভাল লাগবে।
প্রশ্ন: প্রথম ছবিতেই দেবের বিপরীতে, কী করে সম্ভব হল?
দেবচন্দ্রিমা: সবটাই জুনদির জন্য। জুন মালিয়া আর আমি তখন ধারাবাহিক ‘সাঁঝের বাতি’তে কাজ করতাম। আমি ওঁর ছেলে আর্যর স্ত্রী চারুর ভূমিকায়। দিদিই আমার নাম দেবদার কাছে বলেছিলেন। তার পর দেবদা সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলেন। ‘কিশমিশ’-এ অভিনয়ের অফার দেন।
প্রশ্ন: প্রথম শট দিয়ে গিয়ে খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলেন?
দেবচন্দ্রিমা: না, সেটা হয়নি। কারণ, অভিনেতা দেবের প্রযোজক সত্তাটাও একই সঙ্গে কাজ করে। প্রযোজক দেব ভীষণ খেয়াল রাখেন সবার। কাউকে বুঝতে দেন না, তিনি নতুন কাজ করতে এসেছেন। তা ছাড়া, খুব বেশি দৃশ্য ছিল না আমাদের। তিন থেকে চার দিনের কাজ। ধারাবাহিকের শ্যুট সামলে ছবির শ্যুটে আসতাম। প্রচণ্ড ব্যস্ততা থাকত। ছবির শ্যুট করেই আবার ফিরতে হত। ফলে গল্প, মজা, ভাল-মন্দ বোঝারই সুযোগ পাইনি। তবে প্রথম দিনের শ্যুটের ছোট্ট মজা হয়েছিল। আমার আর দেবদার এক সঙ্গে শ্যুট। এক সঙ্গে পা ফেলতে গিয়ে মাথায় সজোরে ঠোকা! চোখে সর্ষে ফুল দেখছি। হাসতেও পারছি না। বুঝতেও পারছি না মুহূর্তটা ধরে রেখে অভিনয় করে যাব কি না।
প্রশ্ন: দেবকে সত্যিই কলেজ পড়ুয়া হিসেবে মানতে পেরেছেন?
দেবচন্দ্রিমা: অদ্ভুত ভাবে মানিয়ে গিয়েছিলেন। আমিই নিজে দেখে চিনতে পারিনি। বরাবর পর্দায় দেবদাকে ‘চ্যালেঞ্জ’ লুকে দেখে অভ্যস্ত। ও রকম কোঁকড়া চুল, গোল চশমা পরা ‘টিনটিন’ যে কী মিষ্টি আর বাচ্চা লাগছিল কী বলব! শুধু কলেজ পড়ুয়া কেন! চার রকমের বয়সে দেখা যাবে ওঁকে। চারটি লুকেই দেবদা নিখুঁত।
প্রশ্ন: অনেকেই বলেন, অভিনেতা দেবের থেকেও নাকি প্রযোজক দেব ভাল?
দেবচন্দ্রিমা: আমি বলব, মানুষ দেব সব চেয়ে ভাল। মানুষ হিসেবে দেবদার সত্যিই কোনও তুলনা নেই। সবার ভাল-মন্দ একা হাতে সামলান। তার পরে প্রযোজক দেব। যিনি ছবির স্বার্থে সব কিছু করতে পারেন। ছবি ব্যবসা করে খরচ করা অর্থ ফেরত দেবে কি না, ভাবেনই না। ছবির ভালর জন্য, অভিনেতা, কলাকুশলীদের ভালর জন্য ওঁর কোনও কিছুতে ‘না’ নেই। তৃতীয় স্থানে অভিনেতা দেব। যেহেতু ওঁর সঙ্গে খুব কম দৃশ্যে কাজের সুযোগ পেয়েছি…।
প্রশ্ন: পর্দায় প্রেমিক হিসেবে দেব কেমন?
দেবচন্দ্রিমা: খুব খারাপ। আর অভিজ্ঞতা একটুও ভাল নয়। কেন খারাপ? সেটা বললে ছবির গল্পই বলা হয়ে যাবে। তবে প্রেমিক হিসেবে পর্দায় যে ভাবে দেবদা আসবেন ও রকম প্রেমিক বাস্তব জীবনে আমার একটুও পছন্দ নন।
প্রশ্ন: টেলিপাড়া বলে, দেবচন্দ্রিমার নাকি সহ-অভিনেতা রিজওয়ান রব্বানিকেই প্রেমিক হিসেবে পছন্দ?
দেবচন্দ্রিমা: এই প্রশ্ন শুনতে শুনতে আর উত্তর দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। আমরা ভাল বন্ধু। ছোট পর্দায় আমাদের রসায়ন দর্শকদের পছন্দ হয়েছে। সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজের সূত্রে এক সঙ্গে ছিলাম। সেই সম্পর্ক কি এত সহজে ভুলে যাওয়ার? আমি আর রিজওয়ান এখনও তাই একে অন্যকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাই। একে যদি কেউ প্রেম মনে করেন, কিচ্ছু বলার নেই। তা ছাড়া, প্রেম, বিয়ে নিয়ে এখনই ভাবছিও না। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই একমাত্র লক্ষ্য।
প্রশ্ন: প্রচুর চরিত্র, অসংখ্য তারকা। ভিড়ে হারিয়ে যাবেন না তো?
দেবচন্দ্রিমা: প্রতিটি চরিত্রকে রাহুলদা মর্যাদা দিয়েছেন। না হলে দেবদা আমার সঙ্গে তাঁর এই ছবিটি নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিতেন না। আর আমায় উপযুক্ত মনে হওয়ার কারণেই নিয়েছেন। পছন্দ না হলে জোর করে কেন আমায় কাজ দিতে যাবেন?
প্রশ্ন: প্রথম ছবিতেই দেবের নায়িকা, এ বার যদি ছোট পর্দা আপনাকে সুযোগ দিতে ভয় পায়?
দেবচন্দ্রিমা: দেবদার বিপরীতে কাজ শুরু করাটা আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। এতে সবাই বুঝবেন, আমার মধ্যে অভিনয় প্রতিভা আছে। তাই প্রযোজক দেব আমায় বেছেছেন, সুযোগ দিয়েছেন। অর্থাৎ, আমি একেবারে অযোগ্য নই। ভাল চরিত্র পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। দেবদা আমার অভিনয়ের শংসাপত্র। ভয়ের কারণ হতে যাবেন কেন?
প্রশ্ন: ‘সাঁঝের বাতি’, ‘কিশমিশ’ শেষ। দেবচন্দ্রিমা কি এ বার জিতের সঙ্গে?
দেবচন্দ্রিমা: সব মাধ্যমেই কাজ করতে চাই। আবার হয়তো ছোট পর্দাতেই ফিরব। সে রকমই কথা চলছে। খুব শিগগিরিই হয়তো দর্শক আমায় দেখতে পাবেন। তবে এখনই কিছু বলা বারণ (হাসি)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy