রিজওয়ানের সঙ্গে দেবচন্দ্রিমা
প্রশ্ন: দেবের সঙ্গে প্রথম কাজ করে ফেললেন। কিন্তু প্রেমটা জমল না কেন?
দেবচন্দ্রিমা: আসলে ‘কিশমিশ’ ছবিতে দেবদার প্রাক্তন প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছি। ঘটনাচক্রে সে প্রেম টেকেনি। কিন্তু যদি দেবদার চরিত্রটার কথা বলি, এ রকম ছেলের সঙ্গে প্রেম না টেকাই ভাল। তবে বড্ড ভাল লেগেছে দেবদার সঙ্গে অভিনয় করে। ধারাবাহিকের পাশাপাশি বড় পর্দায় আরও কিছু কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন: তা হলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে দেবকেই সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে?
দেবচন্দ্রিমা: না, যিশুদা (সেনগুপ্ত)। কেবল অভিনয় ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষ হিসেবে তিনি আদর্শ। এক বার অন্তত একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আগেও বহু বার এটা বলেছি।
প্রশ্ন: আর অভিনেত্রীদের মধ্যে?
দেবচন্দ্রিমা: (একটু ভেবে) সেহিনী সান্যাল। ছোট পর্দায় এত ভাল অভিনয় করতে দেখিনি কাউকে। সোহিনীর ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ আমি।
প্রশ্ন: মহিলাদের ক্ষেত্রে একটু ভাবতে হল যে?
দেবচন্দ্রিমা: পুরুষদের প্রতি আমি বেশি আকৃষ্ট। তাই পুরুষদের নাম-ই মাথায় আগে আসে। মহিলাদের তালিকায় কারা কারা আছেন, সে কথা একটু ভাবতে হয়। তবে ‘পরিণীতা’-তে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখে চমকে গিয়েছিলাম। কী যে ভাল!
প্রশ্ন: ধারাবাহিকের জগতে প্রতিদ্বন্দ্বী কে?
দেবচন্দ্রিমা: সকলেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে হ্যাঁ, আমি সব ধারাবাহিকের নায়িকাদের অভিনয় খুঁটিয়ে দেখি। টিআরপি তালিকায় কোন ধারাবাহিক ভাল নম্বর পেল, তার নায়িকা কে— সব কিছু খেয়াল রাখি। বলতে পারেন, এই মানসিকতাই আমাকে প্রতিযোগী করে তুলেছে।
প্রশ্ন: জি বাংলার ‘মিঠাই’ তো বেশ কয়েক মাস ধরে শীর্ষে। তবে কি সৌমিতৃষা কুন্ডু আপনার সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী?
দেবচন্দ্রিমা: ও ভাবে কারও নাম নিতে চাই না। কারও প্রতি হিংসে নেই আমার। বরং স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় থাকতে চাই।
প্রশ্ন: সাড়ে তিন বছর পূর্ণ হয়ে গেল ‘সাঁঝের বাতি’র, কেমন লাগছে এই সফর?
দেবচন্দ্রিমা: শুরু করেছিলাম ‘চারু’ হয়ে। ধারাবাহিকে এখন আমি ‘চিকু’। ‘চারু’-কে ভীষণ কাছের মনে হত আমার। ‘চিকু’-কে নিজের করে নিতে অনেকটা সময় লেগেছে। আসলে গত তিন বছর ধরে যে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি, তাঁরা কেউ আর এই ধারাবাহিকে কাজ করেন না। পুরো দলটাই বদলে গিয়েছে। সেটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল।
প্রশ্ন: ধারাবাহিকের নায়ক রিজওয়ান রব্বানি শেখের সঙ্গে প্রেম কেমন চলছে?
দেবচন্দ্রিমা: আমরা খুব ভাল বন্ধু। ইন্ডাস্ট্রিতে সবথেকে ভাল বন্ধু। রিজওয়ানের সঙ্গে আমার কোনও প্রেমের সমীকরণ ছিল না। হবেও না। এই এক কথা বলতে বলতে আমি ক্লান্ত। আর তাই আপনি প্রশ্নটা করার পরেই পাখি পড়ার মতো শব্দগুলো বেরিয়ে এল। যদিও আমি বা রিজওয়ান, কেউই এই গুজবগুলো নিয়ে খুব একটা ভাবি না। বরং মজাই লাগে।
প্রশ্ন: সায়ন্ত মোদকের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক ভাঙার পর জলঘোলার শেষ নেই, সে সব শুনে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
দেবচন্দ্রিমা: আমরা সম্পর্কে জড়াই নিজেদের ভাল রাখার জন্য। যদি সেখানে ভাল না থাকি, তা হলে তো তার কোনও মানেই নেই। এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হতেই আমি নিজেকে সরিয়ে এনেছি।
প্রশ্ন: আপনার সম্পর্কে একটা গুজব শোনা যায়, সায়ন্ত, রিজওয়ান এবং আপনার নাকি তিন জনের একটি সংসার ছিল এক সময়ে…
দেবচন্দ্রিমা: আমিও শুনেছি। কেমন যেন অবাস্তব! সায়ন্তর সঙ্গে রিজওয়ানের কোনও দিন দেখাই হয়নি। একসঙ্গে সময় কাটানো তো পরের কথা! এই ধরনের গুজব শুনলেও এখন আর মাথা ঘামানোর সময় পাই না আমি। একটা মজার কথা বলি— আমার মা কোথা থেকে এ সব জানতে পারে, কে জানে! আমাকে আমার মা হোয়াটসঅ্যাপ করে এ সব, সঙ্গে মিষ্টি হাসির স্মাইলি। যে মানুষগুলো আমার কাছে গুরুত্ব পায়, তারা সত্যিটা জানে। আর কী চাই আমার?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy