দেবালয় ভট্টাচার্য। ছবি: ফেসবুক।
রাহুল মুখোপাধ্যায় পুজোর ছবি পরিচালনা করতে পারবেন কি না, এখনও স্থির হয়নি। শনিবার দিনভর চাপানউতর এই নিয়ে। সমাধান মেলেনি। ফেডারেশনের সদস্য কলাকুশলীরা এককাট্টা, তাঁরা পরিচালক রাহুলের সঙ্গে কাজ করবেন না। পরিচালকদের পাল্টা দাবি, সে ক্ষেত্রে তাঁরা সোমবার থেকে কাজে না-ও যেতে পারেন। শনিবার রাতে রাহুলকে সমর্থন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ছোট পর্দার প্রযোজকেরাও। রবিবার সকালে আর্টিস্ট ফোরাম একটি বিজ্ঞপ্তিতে যুযুধান দুই পক্ষকেই অনুরোধ জানিয়েছে, কাজে যোগ না দেওয়া সমাধান নয়। বদলে দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সূত্র খোঁজা উচিত। এই আন্দোলনে প্রতিবাদের মুখ হিসাবে উঠে এসেছে আর এক পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের নাম।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন ছিল, রাহুলের সঙ্গে প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা জড়িত। তাই কি আন্দোলনের আকার এত বড়? এর আগেও অনেক ছবি, ধারাবাহিক, সিরিজ়ের শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে ফেডারেশন। পরিচালকের কাজ থামিয়ে দিয়েছে। তখন কিন্তু কেউ কোনও সাড়া দেননি।
দেবালয়ের যুক্তি, “প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থার নাম জড়ানোর কারণে নয়, দীর্ঘ দিন সহ্য করার পর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। তাই আন্দোলন ক্রমশ বড় হচ্ছে। এটা হওয়ারই ছিল। অবশেষে যে হচ্ছে, সেটাই আশার কথা।” পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, এই আন্দোলন আরও আগে হলে অবশ্যই ভাল হত। তা হলে হয়তো এই দিন আসত না। পরিচালক অনীক দত্তের মতোই দেবালয়ও বিশ্বাস করেন, রাহুলের পরিস্থিতি দেখে অন্য পরিচালকেরাও হয়তো ভাবছেন, আগামীতে তাঁরাও এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই তাঁরা আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। দেবালয়ের আরও যুক্তি, “শুধুই তো বড় পর্দা নয়! ছোট পর্দার পরিচালক-প্রযোজকেরাও প্রায় প্রতি দিন ফেডারেশনের তৈরি নানা নিয়মের ফাঁসে আটকে যান। তাই তাঁদের যোগদানও স্বতঃস্ফূর্ত।”
গুঞ্জন, দেবালয় নাকি একটি আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করে প্রতিবাদে শামিল। ডিরেক্টর্স গিল্ডের দুই প্রজন্মের একাধিক সদস্য পরিচালক নাকি সেই গোষ্ঠীতে যোগ দিচ্ছেন? জবাবে তাঁর দাবি, “আলাদা হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছি। নিজেদের মত বিনিময় করব বলে। যাতে প্রতিবাদ দিশা না হারায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy