Advertisement
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Rahool-Federation Conflict

পরিচালককে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার অধিকার ফেডারেশনের আছে কি? প্রশ্ন তুললেন অনীক

শনিবার সকাল থেকে দ্বিধাবিভক্ত পরিচালক-কলাকুশলীরা। এই যদি বর্তমান পরিস্থিতি হয়, তা হলে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ কী? আনন্দবাজার অনলাইনকে নিজের মত জানালেন অনীক দত্ত।

Image Of Anik Dutta, Swarup Biswas

(বাঁ দিকে) অনীক দত্ত। স্বরূপ বিশ্বাস (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫৯
Share: Save:

রাহুল মুখোপাধ্যায়কে পরিচালক হিসাবে কাজ করার ছাড়পত্র দিয়েছে ডিরেক্টরস গিল্ড। কিন্তু ফেডারেশন দেয়নি। তাই নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শনিবার সকাল থেকে। এ দিন এসভিএফের পুজোর ছবির শুটিং শুরুর কথা ছিল এনটিওয়ান স্টুডিয়োয়। যথাসময়ে সেখানে হাজির প্রযোজক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য-সহ ছবির অভিনেতারা। পরিচালকের আসনে রাহুল। তাঁকে দেখেই বেঁকে বসেন কলাকুশলীরা। ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান, এই পরিচালকের সঙ্গে তাঁরা কাজ করতে চাইছেন না। এ দিন সকাল থেকেই টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর বাইরে পরিচালকদের জমায়েত ছিল। সেখানে কলাকুশলীদের এই আচরণের নিন্দা করে ক্ষোভ উগরে দেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী প্রমুখ। তাঁদের প্রশ্ন, একই ভাবে পরিচালকেরা কাজ না করলে শুধু কলাকুশলীরা মিলে ছবির কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবেন কি? এই জায়গা থেকেই আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক অনীক দত্তও। তাঁর জিজ্ঞাসা, “রাহুল পরিচালনা করবেন কি করবেন না, এটা বলার অধিকার ফেডারেশনের আদৌ আছে কি?”

ফেডারেশন যে ইচ্ছে মতো পরিচালকদের কাজে নাক গলায়, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবির শুটিংয়ে সময়কার একটি ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। অনীকের কথায়, “মাঝপথে শুটিং বন্ধ করে কলাকুশলীদের বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিল ফেডারেশন। সে দিন কিন্ত ওঁরা আমার পাশে ছিলেন। উল্টে আমায় পরামর্শ দিয়েছিলেন, লিখিত কোনও নির্দেশ ব্যতীত যেন শুটিং বন্ধ না করি। তাঁরাও একই ভাবে লিখিত নির্দেশ না পেলে কাজ বন্ধ করবেন না।” সেই কলাকুশলীদের এই ভিন্ন রূপ দেখে ব্যথিত পরিচালক। তাঁর দাবি, “অকারণে দু’পক্ষকে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা একেবারেই কাম্য নয়। এবং এটাই শাসকদলের নীতি। বিভেদ সৃষ্টি করা। আর আমরা ভুলে যাচ্ছি, পরিচালক-কলাকুশলীরা একে অন্যের পরিপূরক। দু’পক্ষ একজোট না হলে ছবি তৈরি করা যায় না।”

রাহুল বড় প্রযোজনা সংস্থার ছাতার তলায় বলেই কি এই প্রতিবাদ? এর আগেও একাধিক পরিচালকের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। তখন কিন্তু কেউ টুঁ শব্দ করেননি! প্রশ্নের জবাবে অনীকের যুক্তি, “বিপদ বাড়ছে, এটা হয়তো আঁচ করতে পারছেন পরিচালকেরা। আগামীতে তাঁদের সঙ্গেও যে এমনটা ঘটবে না, কে বলতে পারে? তাই হয়তো এই প্রতিবাদ।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ছবি বানানোর সময় পরিচালকের স্বাধীনতা থাকবে না। পদে পদে তাঁকে ফেডারেশন বা অন্য যে কোনও সংগঠনের নিয়ম মানতে হবে— এই মতে তিনিও বিশ্বাসী নন। এ ক্ষেত্রে তাঁর উদাহরণ, “আমার অনেক সহকারী পরিচালক বিদেশে ছবির কাজ করছেন। এই সুযোগ যাঁরা পান, তাঁরা কি ফেডারেশনকে জানিয়ে তবে যাবেন?” তাঁর প্রশ্ন, “ফেডারেশন কি বিশ্বের সব জায়গা চেনে?”

অনীকের আফসোস, এই জন্যই বাংলা বিনোদন দুনিয়ার এই দুরবস্থা। পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ এসে ‘ঘটিয়া’ বলে যান !

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE