Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Rupankar-Shatarup

‘হু ইজ় কুণাল ম্যান’! রূপঙ্করকে বিঁধলেন শতরূপ? পাল্টা ভালবাসায় জবাব দিলেন গায়ক

সংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি শাসকদলের মুখপাত্রও। সেই কুণাল ঘোষ পুজোর গান লিখেছেন। গায়ক সেই গান গাইতেই কটাক্ষ বাম নেতার?

Image Of Kunal Ghosh, Rupankar Bagchi, Shatarup Ghsoh

(বাঁ দিক থেকে) কুণাল ঘোষ, রূপঙ্কর বাগচি, শতরূপ ঘোষ। ছবি: ফেসবুক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩
Share: Save:

এ বারের পুজো গীতিকার কুণাল ঘোষের থেকে তিনটি ভিন্ন স্বাদের গান উপহার পাচ্ছে। তালিকায় প্রেমের গানের পাশাপাশি নারীনিগ্রহের বিরুদ্ধেও কলম ধরেছেন তিনি। শাসকদলের মুখপাত্রের লেখা প্রেমের গান গেয়েছেন রূপঙ্কর বাগচী। সেই খবর সমাজমাধ্যমে জানান কুণাল স্বয়ং। এর পরেই তাঁর সেই পোস্ট ভাগ করে নিয়ে গায়ককে বার্তা দেন বাম নেতা শতরূপ ঘোষ। তিনি লেখেন, “রূপঙ্করদা আজ রাত্তিরে এক বার লাইভে এসে ‘হু ইজ় কুণাল ম্যান???’ বলে দিন তো…!” শতরূপ কি রূপঙ্করকে বিঁধলেন?

জানতে আনন্দবাজার অনলাইন ফোন করেছিল বাম নেতাকে। তাঁর স্পষ্ট জবাব, “আরজি কর-কাণ্ডকে চাপা দেওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি তিনি অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্যকে কুৎসিত ভাষায় ব্যঙ্গ করেছেন। সেই ব্যক্তির লেখা গান রূপঙ্করদা গাইছেন! মেনে নিতে পারলাম না।” তাঁর যুক্তি, গায়ক নিজে প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছেন। সেই তিনিই এমন এক জনের গান গাইলেন, যিনি চূড়ান্ত নারীবিদ্বেষী। কিছুতেই দুটো ঘটনা তিনি মেলাতে পারছেন না। এ-ও দাবি করেন, তিনি রূপঙ্করকে প্রচণ্ড পছন্দ করেন। সেই জায়গা থেকেই তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।

কুণালের লেখা গান গেয়ে কেমন লাগল রূপঙ্করের? তিনি কি শতরূপের বার্তা পড়েছেন? আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল গায়কের কাছে। রূপঙ্কর বলেছেন, “বছর তিনেক আগে কুণালদার লেখা গান প্রথম গেয়েছিলাম। এটি আমাদের একসঙ্গে দ্বিতীয় গান। বেশ ভাল লেখেন কুণালদা। ভালবাসার গানটি গেয়ে আমি তৃপ্ত।” দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, তিনিও শতরূপকে ভালবাসেন। ওঁর গিটার বাজানো, বাগ্মিতার অনুরাগী। বার্তার বদলে সেই মুগ্ধতা, ভালবাসাই তিনি আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে পাঠালেন বাম নেতাকে।

উল্লেখ্য, রূপঙ্কর সমাজমাধ্যমে "হু ইজ় কেকে ম্যান" বলার পরেই কাকতালীয় ভাবে গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ তথা কেকে-র মৃত্যু হয় কলকাতার এক অনুষ্ঠানে। মঞ্চে গাইতে গাইতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই পথে চিরবিদায় নেন তিনি। বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেই রসিকতা শতরূপের, “নিশ্চিন্তে থাকুন। শকুনের শাপে গরু মরে না!”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE