Advertisement
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
Jeet Ganguly

মুম্বইতে ফুটপাতবাসী, ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের চাল-ডাল বিলি করছেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

গান আছে সঙ্গেই। পাশাপাশি, বাড়ির বারান্দার গাছগুলোতে সকালবেলা নিয়ম করে জল দিচ্ছেন।

জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

মৌসুমী বিলকিস
শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৪৯
Share: Save:

জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আটকে আছেন মুম্বইয়ের বাড়িতে। সঙ্গে স্ত্রী চন্দ্রাণী। তাঁর মা কলকাতায়। স্বভাবতই মায়ের বিষয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। বাড়িতে বসেই গানের চর্চা চলছে ঠিকই, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মন বসাতে পারছেন না। সবার মতো তিনিও দিন গুনছেন কবে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবে। তবে নিজে হতাশ হচ্ছেন না। অন্যদেরও হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

গান আছে সঙ্গেই। পাশাপাশি, বাড়ির বারান্দার গাছগুলোতে সকালবেলা নিয়ম করে জল দিচ্ছেন। আর মাঝে মাঝেই ঢুকে পড়ছেন রান্নাঘরে। বললেন, “আগে কোনওদিন ভাবিইনি। এখন ছোটখাটো কিছু রেসিপি এক্সপেরিমেন্ট করছি। খেয়ে দেখলাম ভালই হয়েছে। এই সময় ঘরে থেকে কিছু পজিটিভ জিনিস করতে হবে। সেটাই চেষ্টা করছি।”

তাঁদের মুম্বইয়ের আবাসনে বাইরে থেকে কারও ভেতরে যাওয়া বা ভেতর থেকে বিশেষ কারণ ছাড়া বাইরে বেরনো নিষেধ। তার মাঝেও স্পেশাল পারমিশন নিয়ে কখনও কখনও বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন তিনি এবং চন্দ্রাণী। ফুটপাতবাসী, ভিন রাজ্যের আটকে পড়া শ্রমিকদের চাল-ডাল-আটা-তেল বিলি করছেন। প্রিয় বইগুলি পড়ছেন আর আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের খোঁজ নিচ্ছেন ফোনে।

আরও পড়ুন: খাবারের জন্য মানুষ ছুটছে, এর পরেও খাওয়া নিয়ে বড়াই: অরিন্দম শীল

জিতের কথায়: “এখন তো কিছু করার নেই। পুরনো অভ্যেসগুলো জেগে উঠছে। যেমন বই পড়া। খুব প্রিয় মানুষ, শুধু আমার নয়, অনেকেরই প্রিয় সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। আমার ছোটবেলা জুড়েই তিনি ছিলেন। সময় পেয়ে আবার তাঁর বই পড়ছি। ‘মাপা হাসি চাপা কান্না’ পড়ছি। উনি ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে বলেছেন,‘...তবলায় চাঁটি মারলে তবলার মাথাব্যথা হয়ে যায়।’ খুব ভাল লাগছে।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে এবং বাংলা ইন্ডাস্ট্রির টেকনিশিয়ানদের জন্য গঠিত ফেডারেশনের ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা করে দান করেছেন জিৎ। যার যেটুকু ক্ষমতা সেটুকু নিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সচেতন থাকার জন্যও অনুরোধ করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: করোনা-যুদ্ধে প্রান্তিক মানুষ কী ভাবে বেঁচে থাকবে? প্রশ্ন তরুণ মজুমদারের

তাঁর মতে, “ফিজিক্যাল ডিসট্যান্স এই সময়ে থাকা জরুরি, কিন্তু সোশ্যাল ডিসট্যান্স থাকলে চলবে না। যাঁরা সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোটা খুব দরকার। মমতাদি মাঠে নেমে ভীষণ ভাল কাজ করছেন। তাঁর পাশে দাঁড়ানো উচিত। এই ক’টা দিন সবাইকে কোনও গ্রুপে গ্যাদারিং না করার অনুরোধ করব। ঘরে বসে প্রার্থনা করতে বলব। এই দিনগুলো যদি আমরা এভাবে লড়ে যেতে পারি তাহলে করোনা থেকে মুক্তি পাব।”

( অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)​

অন্য বিষয়গুলি:

Jeet Ganguly Tollywood Music Migrant Workers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy