ছবির একটি দৃশ্যে মিমি-অনির্বাণ।
রাতের কলকাতা। হলুদ স্ট্রিটলাইটের আলোয় ফাঁকা ‘মা’ উড়ালপুলে দু’হাত শূন্যে মেলে দিয়ে ছুটে যাচ্ছে কেউ। যেন পাখি হতে চাইছে। এই ‘কেউ’-টি কে? তিনি অনির্বাণ ভট্টাচার্য ওরফে ‘ড্রাকুলা স্যর’। এই নাম কেন? তবে কি হলিউডের চৌহদ্দি পেরিয়ে এ বার বাংলাতেও আসতে চলেছে ড্রাকুলার গল্প? পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছিলেন, “ড্রাকুলা স্যর এমন একজন বাঙালির গল্প বলবে, যার কোনও প্রাসাদ নেই। যে নিজেই নিজের গল্প বানাবে।” ছবিতে অনির্বাণের বিপরীতে দেখা যাবে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে।
ট্রেলারে অনির্বাণ ধরা দিয়েছেন অন্য রূপে। তাঁর চরিত্রটি একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের। সে খানিক অগোছালো। বুদ্ধিদীপ্ত দু'টি চোখে প্রচ্ছন্ন আতঙ্ক। চরিত্রের নাম অমল। বাইরের দিকে ঠেলে বেরিয়ে আসা দুটো ক্যানাইনের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি 'ড্রাকুলা স্যর' হিসেবে পরিচিত। অন্য দিকে মিমির চরিত্রের নাম মঞ্জরী। লম্বা খোলা চুল, কপালে কালো টিপ আর শাড়িতে আরও একবার ‘গানের ওপারে’-র নস্টালজিয়া উস্কে দিয়েছেন নায়িকা।
দেখুন ছবিটির ট্রেলার
একজন ছাপোষা বাংলা শিক্ষকের রক্তপায়ী ড্রাকুলা হয়ে ওঠার গল্প বলবে কি ‘ড্রাকুলা স্যর’? না পাওয়া প্রেম, একাকিত্ব, অতীত-বর্তমান সব কিছু মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে ১মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ট্রেলারে। এই ছবির সুবাদেই এই প্রথম দর্শক উপহার পেতে চলেছে মিমি-অনির্বাণ জুটিকে। তাঁদের পাশাপাশি ছবিতে দেখা যাবে রুদ্রনীল, বিদীপ্তা চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাদের। পরিচালক হিসেবে দেবালয় বরাবর সাহসী।
আরও পড়ুন- কোমর বেঁধে ঝগড়ায় শানু-অভিজিৎ! 'নালিশ' লোপামুদ্রার
তাঁর ছবি ‘বিদায় ব্যোমকেশ ’-এ আবিরকে এনেছিলেন বৃদ্ধ গোয়েন্দার চরিত্রে। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে কি এ বার ভ্যাম্পায়ার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা? নাকি রক্তপায়ীর প্রতীকের আড়ালে থেকে যাবে অন্য কোনও কাহিনি?
আনলকের নিয়ম অনুযায়ী অক্টোবরেই খুলছে সিনেমা হল। এই পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে ‘ড্রাকুলা স্যর’। ছবিটির প্রযোজনায় শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy