প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া থমথমে। রাস্তায় লোকজন অনেকটাই কম। একেবারেই নেই, এমনটা কিন্তু নয়। আমি ভারতীয়। পেশাসূত্রে দীর্ঘ দিন ধরে ও পার বাংলার বাসিন্দা। এই প্রথম পড়শি দেশের জনরোষ দেখলাম। তার পরেও বলব, আমার নিজের দেশ-সহ অন্যত্র বাংলাদেশের যে হিংসার ছবি, খবর ছড়িয়ে পড়ছে তার কিছুটা সত্যি কিছুটা গুজব। আমি ঢাকার গুলশন, বনানী এলাকার বাসিন্দা। আগেও জানিয়েছি, ওই এলাকায় বিশিষ্টদের বাস। ফলে, যে কোনও ঘটনার প্রতিক্রিয়া তুলনায় এই এলাকায় কম পড়ে। তবু শহরে কিন্তু ততটাও হিংসা আমার চোখে অন্তত পড়েনি। অবশ্যই অনেক ঘটনার কথা শুনেছি। সম্ভবত, শহরতলি বা গ্রামাঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। ঘটছে কারণ, প্রশাসনিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি, হিংসা যেমন ছড়াচ্ছে তেমনই তাকে আটকানোরও আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গেও কিন্তু যুক্ত সেই দেশেরই একদল মানুষ।
মঙ্গলবার অনেক দিন পরে অফিসে গিয়েছিলাম। কাজ হয়তো সে ভাবে হয়নি। কিন্তু যাতায়াতে খুব সমস্যা হয়নি। দেশে এখনও কার্ফু আছে। অন্তর্বতী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। আশা, খুব তাড়াতাড়ি প্রশাসনিক পরিষেবাও চালু হবে। তখন হয়তো এই অবাঞ্ছিত, অনভিপ্রেত ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এত অশান্তির মধ্যেও ইতিবাচক দিক, দেশের যান নিয়ন্ত্রণে পথে নেমেছে ছাত্রদল। দেশের মানুষেরা খুশি মনে পড়ুয়াদের এই ভূমিকা মেনে নিয়েছেন। পেশাজনিত কারণে বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত তাই অনেকে জানতে চাইছেন, ঢালিউড আবার কবে স্বাভাবিক হবে? উত্তর নেই আমার কাছে। আগে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তার পর তো বাকি সব কিছু। তখন হয়তো দুই দেশ আবার আগের মতো সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান করবে।
ছাত্র আন্দোলন বড় আকার নেওয়ার পর নিজের দেশের অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন, আমি কি ভারতে ফিরে আসব? আনন্দবাজার অনলাইন মারফত এবং ফোনে সকলকে জানিয়েছি, একটুও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি না। আন্দোলনের সময়ে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস আমি এবং আমার মতো বাকি ভারতীয়দের নিরাপত্তার দিকে যথেষ্ট কড়া নজর রেখেছিল। এখনও তাই। ফলে, এখনই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসার কথা ভাবছি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy