Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Entertainment News

‘কিশোর কুমার জুনিয়র’-এ আমার একটা ভেতরের লড়াই আছে: প্রসেনজিৎ

আগামী ১২ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’। এই কিশোরকণ্ঠী হয়ে ওঠার জার্নি শেয়ার করলেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়।  

প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়।

প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়।

স্বরলিপি ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৩২
Share: Save:

আগামী ১২ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’। এই কিশোরকণ্ঠী হয়ে ওঠার জার্নি শেয়ার করলেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়।

প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়-কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জুটি। ‘দৃষ্টিকোণ’-এর পর থেকে কিন্তু অন্য রকম চাহিদা তৈরি হয়েছে দর্শকের…

(হেসে) ঠিকই। দর্শক এক্সপেক্ট করেন অনেক কিছু।

আপনাদের নতুন ছবি ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’। ট্রেলার রিলিজ হয়েছে। কেমন রেসপন্স?

ট্রেলারের রেসপন্স অসম্ভব ভাল। ইন্ডাস্ট্রির যাঁরা কাছের, বন্ধু, তাঁদের ছবিও রিলিজ করছে। তাঁদেরও একই বক্তব্য। ন্যাশনালি যাঁরা খুব বড় মানুষ তাঁরা জানিয়েছেন। অমিতাভ বচ্চন এমনিতেই আমাকে খুব স্নেহ করেন। আমার সব ছবিকেই উইশ করেন। তিনি আশীর্বাদ করেছেন। মিস্টার বচ্চন আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আমার কাছে লিভিং গড। অফকোর্স, উত্তম কুমার তো ছিলেনই। মিস্টার বচ্চনকে আমি আমার সব কাজই পাঠাই। উনি আশীর্বাদ করেন।

আরও পড়ুন, বিয়ে কবে? রাইমা বললেন…

যে হেতু কিশোর কুমারকে নিয়ে ছবি, দর্শকের অন্য রকম ভাবনা রয়েছে কিন্তু…

অ্যাবসোলিউটলি। যে হেতু কিশোর কুমারকে নিয়ে ছবি, মানুষ একটা এক্সপেক্ট করেন, হয়তো এটা দেখব। কিন্তু ট্রেলার সম্পূর্ণ আলাদা। আসলে এটাই সিনেমার ম্যাজিক। কৌশিকের ম্যাজিক। গান খুব ইম্পর্ট্যান্ট একটা রোল প্লে করছে। কিন্তু এটা গানের ছবি নয়। এটা একটা আন্তর্জাতিক মানের ছবি। মধ্যবিত্ত মানুষ, তাদের তো অনেক ক্রাইসিস থাকে। তার লড়াই। ছেলে, বউ…। তার নিজের মধ্যেও একটা পাগলামো আছে। আমরা জয়সলমীরে গিয়েছিলাম শুটিংয়ে। কিন্তু এখন মানুষ রিলেট করতে পারছেন, তাঁরা যা ভেবেছিলেন আমরা তার থেকে বেশি কিছু ভেবেছি। শুধু বাঙালি নয়, নন বেঙ্গলি মহলেও…জানেন, আমি যে জিমটায় যাই সেখানে ৮০ শতাংশ অবাঙালি। তাঁরা আজও আলোচনা করছিলেন। ট্রেলার দেখে মুভড সকলে। কাজ করি তো মানুষকে ভাল লাগানোর জন্যই, মানুষের যে ভাল লাগছে, এটাতে আমি খুশি। আমি তো বলেইছিলাম, কৌশিক তো নর্মাল গল্প বলবে না। তোমরা ওয়েট কর।

আরও পড়ুন, ‘মৌলিক ছবির জন্যই তো অভিনয় শিখেছি, কত কপিক্যাট করব বলুন?’

গল্পটা তো সেই মানুষদের, যাঁরা আসলের মতো হতে চেয়েছিলেন?

গল্পটা আদতে এক মধ্যবিত্ত মানুষের। আপনি যাঁদের কথা বলছেন, তাঁদের দেখেছি কাছ থেকে। তাঁদের রেসপেক্টও করি। যে সব মানুষ কিশোর, রফি, উত্তম হতে চান, তাঁদের ট্যালেন্ট নেই তা কিন্তু নয়। যাঁরা কিশোরকণ্ঠী, তাঁরাও ট্যালেন্টেড। সেই গলাটা নিয়ে চর্চা করে, গান গেয়ে তাঁরা আজ বাড়ি, গাড়ি করে ভাল অবস্থায় আছেন। তাঁরা হয়তো কিশোর হননি। কিন্তু আমাদের ছবিতে সেই রেসপেক্টটা আছে। এমন নয় যে আরে ভাই তুমি কিছু নও, কপি। আমাদের চলতি ধারণা, ও তো ওমুকের কপি। কিন্তু ট্যালেন্ট না থাকলে এটা হয় না।


ছবির দৃশ্যে অপরাজিতা আঢ্যর সঙ্গে প্রসেনজিত্।

বহু দর্শকের কাছে এই কণ্ঠীরাই তো আসল শিল্পীকে বাঁচিয়ে রেখেছেন?

একদম সত্যি কথা। বছরের পর বছর ইন্টিরিয়রে বহু জায়গায় মানুষ হয়তো কিশোর কুমারকে দেখেননি। কণ্ঠীরা যখন স্টেজে ওঠেন ওই ২৫ হাজার দর্শক কিন্তু ভাবে আমরা কিশোর কুমারকে দেখছি। তাঁরা তো ওই লিগাসিটাকেই বাঁচিয়ে রাখছেন।

আবার এই মানুষগুলোই বাড়িতে সেই সম্মান পান না। ট্রেলারেই রয়েছে, ছেলে বাবাকে বলছে, তুমি কপি ছাড়া আর কিছু নও…

আসলে এটা শুধু কিশোর কুমার জুনিয়র নয়। এটা নর্মাল মধ্যবিত্তের অনন্তকালের লড়াই। তুমি যতই কর, কোথাও একটা গিয়ে তোমাকে শুনতেই হবে। কিশোর কুমার জুনিয়র কিন্তু সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের লড়াইয়েরই গল্প। তার লড়াই, কষ্ট, ইগো। মানুষটা যখন সকালে পাড়ায় বেরোয় তখন কিন্তু সে সেলিব্রিটি। সে সেটা এনজয়ও করে। আমাদের পাড়ায় একটা ভাল স্টুডেন্ট থাকলে আমরা কিন্তু তাকে নিয়ে মাতামাতি করি। আপনি জানেন, গৌতম ঘোষ আমাকে বলেছেন, বাড়িতে শুনতে হয়, তুমি কে? ইউ আর নোবডি। কিন্তু তাঁর ভিতর কিশোর কুমার আছে। তিনি সেটা বিশ্বাস করেন। এর মধ্যে একটা ট্র্যাজেডিও আছে। যেটা আমি অভিনয় করেছি। যেখানে ছেলে বলছে, তুমি কিছু নও। তোমার মাথায় কিশোর কুমারের ভূত আছে। কিন্তু সেই ছেলেটার পড়াশোনা বা সব কিছু এ দিয়েই চলছে।

আরও পড়ুন, আমার কাছে প্রচুর সিনেমার অফার নেই, বলছেন ইশা

প্রিপারেশন কী ভাবে করলেন?

কৌশিক যখন প্রথম ন্যারেট করেছিল আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। লালন করাটা যত চ্যালেঞ্জিং, কিশোর কুমার জুনিয়রও তাই। এক জন মাচার গায়ক গান গাওয়াটা, মানে এত বছর আমরা গানে লিপ দিয়েছি। এ বার আমার রোল চেঞ্জ হয়ে গেল। আমি ইউটিউবে শানুদার যত স্টেজ প্রোগ্রাম পেয়েছি ডাউনলোড করেছি। শুটিংয়ের আগের তিন মাস সেটা ফলো করেছি। লোকটা স্টেজে কী করে? যারা লাইভ প্রোগ্রাম করে তাদের ওই সময় দুটো জিনিস মাথায় রাখতে হয়। ধরুন, গানটা করছি কিশোরের। কিন্তু অভিনয়টা করতে হবে অমিতাভ বা রাজেশ খন্নার। যাঁরা লাইভ দেখছেন, তাঁরা গানও শুনছেন আবার ওই হিরোর এক্সপ্রেশনও মাথায় থাকে। ফলে ওই দু’ঘণ্টা দর্শককে একটা অন্য জগতে নিয়ে যেতে হবে। সেটা সহজ কাজ নয়। আমাকে সেটা করতে হয়েছে। আরও একটা বিষয় আছে।

কী সেটা?

আমি তো ৩০ বছর ধরে একটা অন্য জায়গায় বিলং করি, ফলে মধ্যবিত্ত মানুষের যে ভ্যালু সেটা আমাকে স্টাডি করতে হয়েছে। আমি বলছি না আমি উচ্চ মধ্যবিত্ত। কিন্তু আমি ওই জায়গাটা থেকে নিজের একটা আলাদা জগত্ তৈরি করে নিয়েছি। ফলে মধ্যবিত্ত মানুষের সাইকোলজি, তাঁরা স্ত্রী, সন্তানের সঙ্গে কী ব্যবহার করেন। হয়তো আমি যে ব্যবহার আমার স্ত্রীর সঙ্গে করি, তাঁরা সেটা করেন না। অর্থনৈতিক বিষয়টাও এখানে ডিপেন্ড করে। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই কী বলতে চাইছি…।

আরও পড়ুন, বিয়ে কবে? ঐন্দ্রিলা বললেন...

তার মানে আপনার মধ্যবিত্ত হয়ে ওঠাটা জরুরি ছিল?

আমার ওই লোকটার মতো হয়ে ওঠাটা জরুরি ছিল। শুটিংয়ের প্রায় এক দেড় মাস আগে থেকে ব্যান্ডের সঙ্গে রিহার্সাল করেছি। ওরাও এই ছবির অভিনেতা। মিউজিশিয়ানরা কিন্ত গায়কের কাছে পরিবারেরও আগে। এই যে আমার টিম, ওরা আমার সাইকি পরিবারের থেকে অনেক ভাল বোঝে। কারণ, একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটায়। এটা দোষের নয় কারও। আমি কারও সঙ্গে দু’ঘণ্টা কাটাচ্ছি। বাড়ি আসছি, ডিনার করছি। কিন্তু যারা বেশি সময় কাটাচ্ছে তারা তো বেশি বুঝবেই। তেমনই, মিউজিশিয়ানরা সিঙ্গারের বৃহত্তর পরিবার।


‘কিশোর কুমার জুনিয়র’-এর গানের দৃশ্যে প্রসেনজিত্।

রিহার্সাল শুটিংয়ে কাজে লেগেছে?

একটা কথা কি জানেন, এখানে কোনও কিছু ফলস নয়। আমি কোনও ছবিকে ছোট না করেই বলছি, অনেক জায়গায় মিউজিশিয়ানরা ভুল কর্ড বাজান। কিন্তু এখানে রেকর্ডিংয়ে যা যা বাজানো হয়েছে সেটাই ছবিতে দেখতে পাবেন। সেটাই আমরা রিহার্সাল করেছি। গান গাইতে গাইতে ধরুন অন্তরাটা কোনও মিউজিশিয়ান ভাল বাজাল, সেটা অ্যাপ্রিসিয়েট করে গায়ক, এগুলো ছোট ছোট ব্যাপার। এগুলো ধরতে হয়েছে। মাইক কী ভাবে ধরব। দেখবেন, যারা গান গায়, নিঃশ্বাস যাতে না যায় সে জন্য বিশেষ ভাবে মাইক ধরে তারা। মাইক ধরা দেখে বোঝা যায়, লোকটা রেগুলার মাইক ধরে, না কি জাস্ট ধরল। মিউজিশিয়ানদের কখন ধরতে বলব, কখন ছাড়ব, এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংগুলো তৈরি করতে হয়েছে। আরও একটা ব্যাপার আছে।

বলুন প্লিজ…

রিহার্সালে শুধু গানবাজনা নয়, ওই সময়টাতে মানুষগুলোরও আরও কাছে আসতে চেয়েছিলাম। এটা আমার একটা নর্মাল প্র্যাক্টিস। যাতে শুটিংয়ে আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা ভাল থাকে। যেমন শান্তির ছেলে (ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়)। ওরা, মানে ওদের গ্রুপটাই আমার খুব পেটোয়া। কিন্তু এই ছবির আগে বুম্বা জেঠুর থেকে আমাকে ওর বাবা হতে হয়েছে। আমি সেই এফর্টটা দিয়েছিলাম, যাতে ও মনে করি আমি ওর বাবা। ও দারুণ কাজ করেছে।

আরও পড়ুন, ‘মান্টো’ একটা আইডিয়া, আমি সেটাই দেখাতে চেয়েছি, বললেন নন্দিতা

এবং অপরাজিতা আঢ্য, আবার আপনারা জুটি…

(হাসি) আবার কাউকে ছোট না করে বলছি, আমি তো অনেক রকম এক্সপেরিমেন্ট করেছি লাইফে। সো কলড নায়িকা ইমেজ ছিল, সেটা আমি ব্রেক করেছি অনেক। এই ছবিতে অপা মিনিটে মিনিটে হাততালি পাবে। আমরা এখন কিশোর কুমার, কৌশিক বা প্রসেনজিত্‌কে নিয়ে কথা বলছি। সিনেমা রিলিজ হলে লোকে প্রথম অপাকে নিয়ে কথা বলবে। আর লামাকে নিয়েও কথা হবে। এই চরিত্রটা অপা ছাড়া হয় না। অপার ক্যারেক্টারটা ইচ্ছে করেই খুব একটা ট্রেলারে রাখিনি। ওর একটা দিক আছে যেটা বাঙালিদের খুব প্রিয়। বরের সঙ্গে চোখে চোখে কথা হয়। অসম্ভব ভালবাসে। আবার ঝগড়াও হয়।

এ বার পুজোয় ফের প্রসেনজিত্ হার্ডকোর কর্মাশিয়ালে…

আমার একটা ভেতরের লড়াই আছে। শুধু এখানেই বলছি…। তরুণ মজুমজার, অসিত সেন, তপন সিংহ তো মেনস্ট্রিম ছবিই বানাতেন। সেই ঘরানাই ফিরছে আবার। এটা কিন্তু শুধু শহরভিত্তিক ছবি নয়। পশ্চিমবঙ্গের ১৫০টি হলে রিলিজ করছে। ডিস্ট্রিবিউশন মহলে আমরা একটা কথা ইউজ করি, ‘গরম আছে’। অর্থাত্, ছবিটা নিয়ে লোকের আগ্রহ আছে। ট্রেলার দেখে বুঝতে পারছেন এটা মেনস্ট্রিম। কৌশিক, সৃজিত, শিবু, অরিন্দম করছে এখন এ সব ছবি। আমি বলতে চাইছি, সুস্থ ভাল বাংলা ছবিই মেনস্ট্রিম। হয়তো আমি এখন আর একটা ‘অমরসঙ্গী’ বা ‘শ্বশুরবাড়ি…’ করব না। কিন্তু ভাল মেনস্ট্রিমের জায়গাগুলোও তৈরি করতে হবে। কৌশিক তো আগে এক রকম ছবি করত। এখন ‘দৃষ্টিকোণ’ করছে, এটা করছে।


ছবির দৃশ্যে ঋতব্রত এবং অপরাজিতার সঙ্গে প্রসেনজিত্।

অর্থাত্ মেনস্ট্রিমের ধারণাটা বদলাতে চাইছেন?

মেনস্ট্রিম মানেই তো লার্জার দ্যান লাইফ নয়। আমরা একটা জিনিস দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু এখন সিনেমা পাল্টাচ্ছে, গান পাল্টাচ্ছে। ‘কিশোর কুমার’ দিয়ে সেটাই একটা লড়াই আমার। আমি তো এক্কেবারে মেনস্ট্রিমের লোক। এই লড়াইটা কিন্তু সবার জন্য। মেনস্ট্রিমের ধারাটা তো বদলাতে হবে। টিভিতে যাঁরা আমাদেরই ছবি দেখছেন তাঁদের আবার মেনস্ট্রিম দেখার জন্য সিনেমা হলে আনতে হবে। আমার এই লড়াই থামবে না।

পুজোর এতগুলো ছবি রিলিজ। সেই লড়াইয়ে তো আপনি আছেন?

(হা হা হা) আমাকে লড়াইয়ের মধ্যে ফেলে ঠিকই। কিন্তু অন্য যাঁদের ছবি আসছে তাঁরাও জানেন, বুম্বাদা মানে অন্য রকমের ছবি,। এমনও পুজো গিয়েছে একই দিনে আমার তিনটে ছবি রিলিজ করেছে। একটা সময় গ্রাম-শহর মিলিয়ে আমার ন’টা ছবি চলেছে। লোকের কাছে প্রসেনজিত্, পুজো একটা কানেকশন আছে। আমি ‘ময়ূরাক্ষী’ও করেছি। কিন্তু সেটা পুজো রিলিজ ভাবব না। বরং অন্য একটা লড়াই অনেক কঠিন ছিল।

আরও পড়ুন, ‘অন্য হিরোরাও তো প্রোডিউসার হয়েছেন, ডিফারেন্স দেখতে পাচ্ছেন?’ বলছেন দেব

কোন লড়াই?

আমরা যখন ৪০ লক্ষের ছবি বানিয়েছি তখন সামনে ছিলেন সলমন-শাহরুখ। তার মধ্যেও আমাদের টিকে থাকতে হয়েছে। ওই লড়াইটা অনেক কঠিন ছিল। ভাবুন তো, মাত্র ৪০ লক্ষ টাকায় একটা গোটা ছবি। ‘দিলওয়ালে’ আসছে শাহরুখের। আর আমার ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’। সেগুলোই তো রমরম করে চালিয়েছি। তখনকার সময় হল থেকে আড়াই তিন কোটি টাকার ব্যবসা হয়। ফলে এটা আমার কাছে লড়াই মনে হয় না। আমি যেটা চাই, যারা ১০০ টাকা লাগিয়েছে তারা যেন ১০১ টাকা, আর যারা ৫০ টাকা লাগিয়েছে তারা যেন ৫১ টাকা ফেরত পায়। ইন্ডাস্ট্রির টাকা ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরুক।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE