(বাঁ দিক থেকে) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
এ বছর পুজোর ছবির তালিকায় ক্রমাগত যোগ-বিয়োগ। এই কোনও ছবির নাম বাদ পড়ছে। পর ক্ষণেই শূন্যস্থান ভরছে অন্য ছবি। তার মধ্যেই একটি তালিকা আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে। তালিকায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘টেক্কা’, নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘বহুরূপী’, রাহুল মুখোপাধ্যায়ের নাম ঠিক না হওয়া ছবি, সুরিন্দর ফিল্মসের ‘মিতিন মাসি’, পথিকৃৎ বসুর ‘শাস্ত্রী’। মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রযোজক রূপা দত্ত জানিয়েছেন, এ বছরের পুজোয় ক্যামেলিয়া প্রযোজনা সংস্থারও পুজোর ছবি থাকছে। পাভেল পরিচালিত ‘পরান যাহা চায়’ তাঁদের শারদীয়ার ছবি। অর্থাৎ, মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব অধিকারী, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বেন ছবির মুখ্য আকর্ষণ পরান বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফি-বছর পুজোর ছবির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দর্শকও ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এটা কি আদৌ কাম্য? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল প্রযোজকের কাছে। তাঁর পাল্টা যুক্তি, “ক্যামেলিয়াও ফি-বছর পুজোয় বাংলা ছবি উপহার দিয়েছে। কখনও রহস্য-রোমাঞ্চ, কখনও পারিবারিক ছবি। ফলে, আমরা অভ্যস্ত।” তাঁর আরও দাবি, ছবির সংখ্যা বাড়লেও দর্শকের মনে ধরলে সেই ছবির বাণিজ্য আগেও হত, এখনও হয়। ফলে, এ সব নিয়ে ক্যামেলিয়া ভাবিত নয়। এখানেই শেষ নয়। রূপা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, অগস্ট থেকে অক্টোবরের প্রযোজনা সংস্থার মোট চারটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। তালিকায়, ‘মেঘ বাড়ি’, ‘কীর্তন ২’, ‘ইস্কাবনের বিবি’ এবং পুজোর ছবি ‘পরান যাহা চায়’।
এই প্রথম কি পরান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত ছবি পুজোয় মু্ক্তি পাচ্ছে? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল প্রবীণ অভিনেতার সঙ্গেও। তাঁর বক্তব্য, “কোনও দিন এই বিষয়ে মাথা ঘামাইনি। এই খবরটিও আনন্দবাজার অনলাইনের থেকে প্রথম জানলাম। এখন আর আলাদা করে আনন্দ বা উত্তেজনার বয়স নেই।” তাঁর মতে, দর্শক আবার প্রেক্ষাগৃহ ভরিয়ে ছবি দেখুক। পুজোয় নানা স্বাদের ছবি মুক্তি পাক। তবেই বাংলা বিনোদন দুনিয়া হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। ছবিতে আরও দুই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অনির্বাণ চক্রবর্তী, অরুণিমা ঘোষ। পাভেলের ছবিতে প্রথম একসঙ্গে তাঁরা পর্দা ভাগ করতে চলেছেন। গল্প অনুযায়ী, এক সংস্থার কর্ণধার দু’জনে। সংস্থার কাজ, মা-বাবাদের রেখে যাওয়া সাধপূরণ। আরও জানা গিয়েছে, অনির্বাণের সঙ্গে সংস্থার কাজ করলেও অভিনেত্রীর মনচুরি করবেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেতা অনিন্দ্য সেনগুপ্ত! তিনি এই ছবিতে পুলিশ। এই সংস্থাতেই নাকি তাঁদের দেখা। রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তও। ছবির আর অল্প শুটিং বাকি। তার পরেই শুরু হবে ডাবিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy