শখ করে কেনা সুতির সালোয়ারটার রং উঠে যে এমন বারোটা বেজে যাবে ভাবতেও পারেননি শ্রুতি। শুধু রং ওঠেনি, হালকা রঙের অন্য পোশাকেও সে সব লেগে গিয়েছে।
কাপড় হাতেই কাচুন বা মেশিনে, অনেক সময় গাঢ় রঙের পোশাক থেকে রং বেরোতে থাকে হু-হু করে। এক বার কাচাতেই তা ফিকে হয়ে যায়। বিশেষত নতুন পোশাক কাচতে গেলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতেই হয়। এর সহজ সমাধান আছে হাতের কাছেই। কাপড় কাচার যন্ত্র বা ওয়াশিং মেশিনে পোশাক কাচার সময় শুধু মিশিয়ে নিতে হবে হেঁশেলের একটি মাত্র উপাদান। সামান্য একটু নুন।
নুনে কী কাজ হবে?
সৈন্ধব লবণ বা হিমালয়ান রক সল্ট নয়, বাড়িতে রান্নায় ব্যবহার করা সাদা নুনেই কাজ হবে। এতে থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড। পোশাকের রং ধরে রাখতে এটি সাহায্য করে। নুনের ব্যবহারে রং যে একেবারেই উঠবে না তা নয়। তবে তার পরিমাণ কিছুটা কমে যাবে। তা ছাড়া বার বার কাচতে কাচতে পোশাকের রং ফিকে হয়ে যায়। নুনের ব্যবহারে এই সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে ব্যবহার করবেন নুন?
ওয়াশিং মেশিনে আধ কাপ নুন যোগ করুন। তার পর যোগ করুন ঘরের তাপমাত্রায় থাকা জল।
গরম জলে ময়লা যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনই কাপড়ের ক্ষতি হয়, রং চটে যায়।
পোশাক কাচার সময় সেটি উল্টো করে নিন। এতেও রঙের ঔজ্জ্বল্য চট করে নষ্ট হবে না।
কাপড়ের মান অনুযায়ী মৃদু সাবান ব্যবহার করুন। যেমন লিনেন, সোয়েটার, ভাল মানের কাপড়ের জন্য অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ক্ষতিকর হতে পারে।
কাপড় অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শুকোলেও তার রং নষ্ট হতে পারে। এই বিষয়টিও মাথায় রাখুন।
কখনও নুন দিয়ে কাপড়ের রং ধরে রাখার কৌশল ব্যবহার হয় বয়নশিল্পেও। কাপড়ের তন্তুর সঙ্গে রং ধরে রাখতে সাহায্য করে নুনে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড। ফলে যে কাপড় বা পোশাক থেকে রং উঠতে পারে বলে মনে হয়, সেটি কিছু ক্ষণ নুনজলে ভিজিয়ে রাখলেও লাভ হবে।