অভিনেত্রীর বিপরীতে কে? ছবি: সংগৃহীত।
অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ গায়িকা অন্বেষার। বহু বছর ধরেই প্রস্তাব পাচ্ছিলেন পরিচালক-প্রযোজকদের তরফে। কিন্তু গানেই মনোনিবেশ করতে চেয়েছিলেন বরাবর। তবে সম্প্রতি সিদ্ধান্তের বদল ঘটল বলিউডি ছবির হাত ধরে। একমাত্র আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গেই এই খবর ভাগ করে নিলেন গায়িকা। মুম্বইয়ে শুটিং সেরে কলকাতায় এসেছেন এক সপ্তাহের জন্য। বৃষ্টিমুখর দুপুরে আড্ডা জমালেন ভবিষ্যতের নায়িকা।
এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “অভিনয়টা আমার কাছে নতুন। দীর্ঘ দিন ওয়ার্কশপ করেছি, এমনও নয়। কিন্তু, গান গাওয়া সহজ, অভিনয় কঠিন— এ ভাবে আলাদা করতে পারব না। মিউজ়িক ভিডিয়োয় লিপ দেওয়া আর দৃশ্যে সংলাপ বলার মধ্যে অনেক ফারাক।” তিনি আরও বললেন, “চরিত্র ফুটিয়ে তোলা মানে আমি আর আমি নই। আমি একটি অন্য মেয়ে। সেটা মানসিক দিক থেকে ভেবে নিয়ে অভিনয় করাটা বেশ অন্য রকম।” তবে এই মুহূর্তে ছবির নাম প্রকাশ করতে নারাজ তিনি।
নিয়মিত যোগাসন করেন। তাঁর শারীরিক গঠন প্রশংসনীয়। কিন্তু তা-ও ছবির জন্য খানিকটা ওজন কমিয়ে ফেলতে হয়েছে তাঁকে। “সবই ক্যামেরায় রোগা দেখানোর জন্য আর কী! ক্যামেরায় নাকি চেহারা ভারী লাগে!” ছবিতে অভিনয়, গান গাওয়ার পাশাপাশি আবহসঙ্গীতের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। বর্তমানে ছবি সম্পাদনার কাজ চলছে জোরকদমে। চলতি বছরে শেষের দিকে মুক্তি পাবে ছবিটি। সৌম্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মিউজ়িক্যাল ছবির পরিচালক। নায়িকার চরিত্রে অন্বেষা, তাঁর বিপরীতে মহম্মদ ইকবাল। জাতীয় স্তরে খ্যাতনামী মডেল তিনি। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বর্ষীয়ান নাট্যশিল্পী অশোক সিংহ।
ছবির প্রেক্ষাপটে বন্ধুত্বের ক্যানভাস। অফিসের জাঁতাকলে হাঁপিয়ে ওঠে তিন বন্ধু। একই গুরুকুলে গান শিখেছে তারা। রোজনামচা থেকে বিরতি নিতেই ভ্রমণের উদ্দেশে বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দেয় তারা। নানা পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। আসে নাটকীয় মোড়। সহজ গল্প, তবে বাণিজ্যিক ছবির ছোঁয়া রয়েছে গল্পে। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “আজকাল ছবি মানেই কঠিন গল্প। ছোটদের জন্য ছবি নেই বললেই চলে। হালকা মেজাজের গল্প বা রূপকথার গল্পের উপর বেশি করে ছবি বানানো উচিত, যাতে ছোটরা উপভোগ করতে পারে।”
শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন, নিয়মিত নতুন গানের বরাত। প্রাথমিক পর্যায় থেকে প্রেম কি এক ধাপ এগোল? প্রশ্ন শেষ হওয়ার অবকাশ দিলেন না। বললেন, “না না। আমার ব্যক্তিগত জীবনে মশলাদার বিষয় নেই। বর্তমানে আমি হ্যাপিলি সিঙ্গল। তবে প্রস্তাবের লম্বা লাইন রয়েছে। মনের মানুষ বাছাই করার মতো সময় নেই।” লম্বা লাইন কি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে? সলজ্জ হাসি হেসে বললেন, “ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে বাইরে, দুই-ই।” বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ করতে ভালই লাগে তাঁর। তবে সম্পর্কের স্তরে এগিয়ে যায়নি। “আমি কি নায়িকা নাকি, যে সকলে আমার পিছনে দৌড়বে?” কৌতুকের আভাস তাঁর কণ্ঠে। আরও বললেন, “ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব আসে প্রায়শই। কিন্তু আমি তো কফি ভালবাসি না, তাই ডেটে যাওয়া হয় না।” তা হলে মুভি ডেটে যাওয়া যেতে পারে? সটান জবাব তাঁর, “মুভি ডেটে গিয়েছি। কিন্তু যাঁর সঙ্গে গিয়েছিলাম, তাঁর নাম প্রকাশ্যে বলতে পারব না”, ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন শিল্পী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy