সব সময়ই অকপট কাজল। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমকে পাত্তাই দেন না কাজল! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী সাফ জানালেন, গত ছ’বছর তিনি সমাজমাধ্যমে রয়েছেন, কিন্তু তাকে এতটা গুরুত্ব দেন না কখনও, যে কে কখন তাঁকে ট্রোল করলেন তা নিয়ে ভাবতে বসবেন।
চলতি বছরে অগস্টে পঞ্চাশ বছরে পা দিয়েছেন কাজল। মেয়ে নাইসা, ছেলে যুগ বড় হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। কিন্তু এখনও ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ অভিনেত্রীর ভিতরে রয়ে গিয়েছে এক ছটফটে কিশোরী। ১৯৯২ সাল থেকে বড় পর্দায় কাজ করছেন কাজল। ক্যামেরার সামনে তাঁর সাবলীল অভিনয় এখনও মুগ্ধ করে ভারতীয় দর্শককে। আবার ছবিশিকারিদের সামনে তাঁর ভণিতাহীন অভিব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটায়। পাশাপাশি স্পষ্টভাষী হিসাবেই পরিচিত কাজল।
সমাজমাধ্যমে তারকাদের প্রতি কটাক্ষ ধেয়ে আসা এখন খুব সাধারণ বিষয়। তারকারা কি আদৌ এর দ্বারা প্রভাবিত হন? এমন প্রশ্নের উত্তরে কাজল স্পষ্ট জানান, “আমার সৌভাগ্য যে গোটা জীবনটাই প্রায় সমাজমাধ্যম ছাড়া কাটিয়ে দিয়েছি আমি। মাত্র বছর ছয়েক আগে সমাজমাধ্যমে এসেছি। এটা মোটেও বাস্তব জীবন নয়। আপনি হয়তো আমার লাল গালিচায় হাঁটার ছবিটুকু দেখতে পান। কিন্তু দেখতে পান না, তার আগে আমাকে ভোর ৫টায় উঠে তৈরি হতে হয়। আবার রাত সাড়ে ১১টায় বিধ্বস্ত হয়ে বাড়ি ফিরি আমি। পরের দিন সকালে আবার কাজে বেরোতে হয়।”
কাজলের কথায় উঠে আসে তারকাদের নিত্য ব্যস্ততার কথা। তিনি বলেন, “আপনারা হয়তো আমাদের জীবনের একটা খণ্ডচিত্র দেখতে পান। বাস্তব হল আমরাও অন্যদের মতো পরিশ্রম করে থাকি। এক একটা দিন ভাল যায়, এক একটা দিন খারাপ থাকে। কিন্তু তার পরেও যখন আমরা কোনও ছবি পোস্ট করি, সেখানে মুখের হাসি বজায় থাকে।”
তবে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষ ধেয়ে এলেই যে তাকে মনের মধ্যে খারাপ লাগা হিসাবে গ্রহণ করতে হবে, তা-ও মনে করেন না কাজল। তিনি বলেন, “আমার একটু ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। যখন মানুষ আমাদের এতখানি ভালবেসে ফেলেন, তখন তাঁরা ভাবেন এইটুকু ঘৃণা করার অধিকারও তাঁদের রয়েছে। আমি বলছি না তাঁরা ঠিক ভাবছেন, তবে তারকা হিসাবে এই বিষয়গুলির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখতে হবে আমাদের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy