রানি
প্র: এ বারের জন্মদিনে আপনার প্ল্যান কী?
উ: এখন তো বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে সকলকে। তাই পরিবারের সঙ্গেই কাটাব সারাদিন। সাধারণত জন্মদিনটা মেয়ে, স্বামী আর মায়ের সঙ্গে খুব ঘরোয়া ভাবেই সেলিব্রেট করি। খেতে ভালবাসি, তাই ভালমন্দ রান্নাও হয়। আদিরা এখন চার বছরের, নার্সারিতে পড়ে। ও আগে থেকেই বুঝতে পারে যে, আমার জন্মদিন আসছে। তাই নিয়ে খুব এক্সাইটেড।
প্র: আপনি ছোটবেলায় কী ভাবে কাটাতেন দিনটা?
উ: প্রত্যেক বার আমাকে সবচেয়ে আগে উইশ করত বাবা। সেটা এখন আদি (আদিত্য চোপড়া, স্বামী) করে। বাবাকে খুব মিস করি জন্মদিনে। মনে আছে, আমার জন্মদিনের পরপরই গরম পড়ে যেত। আর সেই সময়ে আমরা সকলে মিলে কলকাতায় চলে যেতাম ছুটি কাটাতে। তখন খুব লোডশেডিং হতো কলকাতায়। আমরা থাকতাম দেশপ্রিয় পার্ক চত্বরে। রিকশায় চড়ে এ দিক ও দিক ঘুরতে যাওয়া, বিকেল হলেই নানা মুখরোচক খাবার... এ সব মিস করি। এখন শুধু কাজের জন্যই যাই কলকাতায়। তা-ও সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসি!
প্র: প্রায় পনেরো বছর পরে বাবলির চরিত্রে ফের একবার দেখা যাবে আপনাকে। আগের ছবির চেয়ে ‘বান্টি অওর বাবলি টু’ কতটা আলাদা হতে চলেছে?
উ: পুরোটাই। অনেক দিন পরে সেফের (আলি খান) সঙ্গে আমার জুটি দেখতে পাবেন ফ্যানরা। আমার নিজেরও এত বছর পরে চরিত্রটা নতুন করে পেয়ে দারুণ লাগছে। সিদ্ধান্ত আর শর্বরীও খুব ভাল কাজ করেছে। ‘গাল্লি বয়’-এর পর অনেকেই জেনে গিয়েছেন সিদ্ধান্ত কতটা ট্যালেন্টেড। শর্বরীও ‘দ্য ফরগটেন আর্মি’-তে খুব ভাল কাজ করেছে। সকলে মিলে আবু ধাবিতে খুব মজা করে শুটিং করে এলাম। তার উপরে শুটের জন্য ওয়েদারও ভাল পেয়েছিলাম আমরা। আবু ধাবি শহর হিসেবেও দুর্দান্ত, দুবাইয়ের চেয়ে একেবারেই আলাদা। ওখানে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ওয়র্ল্ডে আদিরাকে নিয়ে গিয়েছিলাম, খুব মজা পেয়েছে।
প্র: আদিরাকে পাপারাৎজ়ির হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখেন কী করে?
উ: আসলে মুম্বইয়ের চিত্রগ্রাহকরা এত দিনে জেনে গিয়েছেন, যেখানে সেখানে আদিরার ছবি তোলা যাবে না। ওঁরা সকলেই আমাদের প্রাইভেসিকে মর্যাদা দেন। প্রথম থেকেই আদি আর আমার সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল যে, আমাদের মেয়ে খুব সাধারণ পরিবেশে বড় হবে। মা-বাবার পরিচিতি যেন ওর উপরে বাড়তি বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে এখানে সকলেই সম্মান করেন। তাই মুম্বইয়ে আমি খুব সিকিয়োরড এবং সেফ ফিল করি।
প্র: ‘মর্দানি থ্রি’ নিয়ে পরিকল্পনা করছেন?
উ: প্ল্যানিং তো রয়েছে। বিশেষ করে ‘মর্দানি টু’-এর পরে সকলের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছে। ভাল গল্পের জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। ‘মর্দানি থ্রি’-এর কাহিনিও কোনও প্রাসঙ্গিক ঘটনা-নির্ভরই হবে।
প্র: তাহির রাজ ভাসিন না বিশাল জেঠওয়া, ভিলেন হিসেবে কে বেশি চ্যালেঞ্জিং?
উ: শিবানী শিবাজি রয়ের (‘মর্দানি’ সিরিজ়ে রানির চরিত্র) কাছে কেউই নয় (হাসি)! আসলে এই দু’জন ভিলেনের চরিত্রায়ণ একেবারেই আলাদা ছিল, তাই তুলনা করাটা বোধহয় ঠিক হবে না। তাহিরের চরিত্রটা ছিল ঠান্ডা মাথার, অন্য দিকে বিশাল এক সাইকোপ্যাথ ক্রিমিনালকে ফুটিয়ে তুলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy