আপাতত বিভিন্ন হলে যাতে ছবিটা চালু করা যায় সেই চেষ্টাই হচ্ছে। জানিয়েছেন এ ছবির পরিচালক অনীক দত্ত।
কলকাতার বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হল তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য শহর এবং সাগরপারের বিভিন্ন দেশ অনীক দত্তের ‘ভবিষ্যতের ভূত’ দেখতে আগ্রহী। সেই সঙ্গে কাদের কলকাঠিতে ভূতের এই নাজেহাল দশা, জোড়া মামলায় সেই রহস্যভেদের উদ্যোগ চলছে।
তারই মধ্যে আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহর থেকে ডাক পেয়েছে ‘ভবিষ্যতের ভূত’। আগামী ২৪ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিলের মধ্যে আমেরিকার ন’টি শহরে ছবিটি দেখানো হবে। সেই সঙ্গে একটি পরিবেশক সংস্থার মাধ্যমে আরও বেশ কয়েকটি শহরে শোয়ের তোড়জোড় চলছে। এ দেশেরও বিভিন্ন শহর ছবিটি দেখতে ও দেখাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চেন্নাইয়ে খুব শীঘ্রই ছবিটি দেখানোর কথা।
কিন্তু যে-শহর ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর আঁতুড়ঘর, সেই কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে ছবিটি দেখানো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে, সেটা এখনও ভেদ করা যায়নি। সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়েছিল। ছবিটি মুক্তিও পেয়েছিল বিভিন্ন হলে। তার পরে হঠাৎই সেটির প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার বা কাদের অঙ্গুলিহেলনে ছবিটি এখানে ব্রাত্য হয়ে গেল, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কোনও নিষেধ আছে কি না, সেই সব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে কিছু দর্শকের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে। প্রযোজকেরা এই নিয়ে বিভিন্ন সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখেও কোনও জবাব পাননি। কলকাতা-সহ বাংলার হল থেকে ছবিটি তুলে নেওয়া হল কেন, তার সদুত্তর চেয়ে এ বার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ছবিটির প্রযোজকেরা। আজ, শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতে তাঁদের আর্জির শুনানি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy